১৫ মের মধ্যে সবাইকে পিপিএলে যেতে হবে

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৭ , অনলাইন ভার্সন
সিডিপ্যাপ সেবা নিতে যারা এখনো পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তর করেননি এবং যারা নিবন্ধন-প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন কিন্তু বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি, তারা আপাতত পুরোনো এজেন্সিতেই সেবা নিতে পারবেন। বিলও পাবেন পুরোনো এজেন্সি থেকেই। তবে তাদের সবাইকে আগামী ১৫ মের মধ্যে পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তর করতে হবে। তখন সবাই পিপিএলের অধীনে সিডিপ্যাপ সেবা নিতে পারবেন। পিপিএলের একক সিডিপ্যাপ সেবা দেওয়ার বিষয়ে ও বর্তমান এজেন্সির মধ্যে কয়েকটি সেবা দেওয়ার বিষয়ে মামলা হওয়ার পর আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন এবং সমঝোতার জন্য সুযোগ দেন। এরপর নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ সমঝোতায় পৌঁছায় মামলার পক্ষগুলোর সঙ্গে। সমঝোতায় পিপিএলে যারা সেবা নিতে শুরু করেছেন, তাদেরকে ‘এ’ ক্যাটাগরি ধরা হয়। যারা কেস স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কিন্তু এখনো সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেননি, তারা ‘বি’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। যারা এখনো পিপিএলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি, পুরোনো এজেন্সির কাছেই আছেন, তারা ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন। এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে এখন সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিপিএল। ‘বি’ এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্তরা যেসব হোম কেয়ার এজেন্সির মাধ্যমে এত দিন সেবা নিয়ে আসছিলেন, তারা ১৪ মে পর্যন্ত সেবা নিতে পারবেন। তবে তাদেরকে ১৫ মে থেকে পিপিএলের মাধ্যমে সেবা নিতে হবে। ১৪ মের আগ পর্যন্ত পুরোনো এজেন্সির মাধ্যমে সেবাদাতাদেরকে বিল দেওয়ার জন্য তাদের এমএলটিএস কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করতে হবে। ১৫ মের আগ পর্যন্ত সেবা নেওয়ার জন্য এমএলটিএস কোম্পানিগুলো ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
এদিকে যারা পিপিএলের মাধ্যমে সিডিপ্যাপ সেবা নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে যারা টাইমফোরকেয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করে ক্লক ইন ও ক্লক আউট করতে পারছেন, তারা নিয়মিত পেমেন্ট পাচ্ছেন। যারা পিপিএলে কেস স্থানান্তর করেছেন কিন্তু টাইমফোরকেয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করেননি বা করতে পারছেন না, তারা সিডিপ্যাপের জন্য কোনো অর্থ পাচ্ছেন না। তবে যারা পিপিএলে কেস স্থানান্তর করেছেন, পিপিএলের কোনো সমস্যার কারণে যদি তাদের সেবা দেওয়ার বিষয়টি ব্যাহত হয়, তাহলে সেটি পিপিএল দেখবে। বেক পেমেন্ট পাওয়ার যোগ্য যারা হবেন, তারা বেক পেমেন্টও পাবেন। তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, পিপিএলের সেবা প্রদানের বিষয়টি কেবল পিপিএলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলেও চূড়ান্ত আদেশ না হওয়া পর্যন্ত অন্য হোম কেয়ার এজেন্সিতে থাকা ব্যক্তিরা এখন আর সিডিপ্যাপে কোনো সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন না। কোনো টাইম আউট ও টাইম ইনও করতে পারবেন না। কেউ যদি একবার লগইন করতে পারেন, তাহলে আউট হতে পারবেন না। কারণ ওই সব এজেন্সির অ্যাপগুলো এখন আর চালু নেই। ফলে তারা কোনো বেতন দিতে পারবে না। তা ছাড়া এর জন্য ওই সব এজেন্সির কোনো বাজেটও নেই।
জানা গেছে, ৮ এপ্রিল নিউইয়র্কের একজন ফেডারেল বিচারকের জারি করা একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ (টিআরও) এখনো কার্যকর রয়েছে, যা কনজিউমার ডাইরেক্টেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামকে (সিডিপ্যাপ) একটি একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির (পিপিএল) কাছে স্থানান্তর করার স্টেটের পরিকল্পনাকে আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং ১৪ এপ্রিল একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার শুনানির জন্য ছিল। তবে ডিপার্টমেন্ট অব হোম সমঝোতা করতে সক্ষম হওয়ায় এই বিষয়টি তারা আদালতে অবহিত করে।
এদিকে সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা পিপিএলের কাছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেস স্থানান্তর করতে পারবেন, এমন কথা থাকলেও এখন ১৪ মের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে কমিটেড হেলথ কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ বলেন, পিপিএলের কাছে নাম নিবন্ধনের বিষয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বলা হলেও এখন যারা সিডিপ্যাপে আছেন ও পিপিএলের কাছে নাম নিবন্ধন করতে পারছেন না, তারা যেসব হোম কেয়ার এজেন্সির অধীনে আছেন, তারা সেখানে থাকলেও ওই সব রোগীর জন্য সেবাদাতাদের নামে বিল করা যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো বিল করতে না পারলে যারা পিপিএলে না গিয়ে সেবা নিচ্ছেন, তারা বেতন পাচ্ছেন না। কারণ এমএলটিএস কোম্পানিগুলোতে সিডিপ্যাপ সেবার জন্য বিল করতে হবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিপিএল নিবন্ধন করার সময় বাড়ালেও যদি এমএলটিএসগুলো এখন সিডিপ্যাপের জন্য বিল করতে না পারে, তাহলে সমস্যা হবে। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, এখনো যারা পিপিএলে নিবন্ধন করেননি, তাদেরকে আদতে এখন হোক আর পরে হোক, পিপিএলের কাছে যেতে হবে। এ জন্য এমএলটিএসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সিডিপ্যাপ ৯০-৯৩ শতাংশ সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা ও পিএরা সেবা নিতে ও সেবা দিতে পিপিএলে কেস স্থানান্তর করেছেন। ফলে আর মাত্র ১০ থেকে ৭ শতাংশ বাকি আছে। তারা সংখ্যায় বেশি নয়। পিপিএলের অধীনে সব সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতারা চলে আসবেন। এটি এখন আদালতের ওপর নির্ভর করছে, চূড়ান্ত শুনানিতে কী আদেশ আসে। ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন না আনলে সবাইকে পিপিএলের অধীনেই যেতে হবে।
বেস্টকেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. আল আমীন রাসেল বলেন, গত বছর যখন বাজেট হয়, তখন সিডিপ্যাপের বাজেট পিপিএলের জন্য করা হয়। সে হিসেবে এখন থেকে যেসব সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা এখনো পিপিএলের কাছে নিবন্ধন করেননি, তাদের জন্য ওই সব হোম কেয়ার এজেন্সির কাছে কোনো বাজেট নেই। তা ছাড়া ১ এপ্রিল থেকে সব সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহিতাকে পিপিএলের কাছে স্থানান্তর হতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে এখনো যারা সিডিপ্যাপে আছেন, তারা তো আর ১ এপ্রিলের পর থেকে পেমেন্টের জন্য প্রক্রিয়া করতে পারবেন না। ফলে সমস্যা হবেই।
তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ নিউইয়র্ক এবং যারা মামলায় পক্ষ ছিলেন তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা এখনো নিবন্ধন করেননি, তারা করতে পারবেন। তবে যারা এখনো তাদের নিজেদের হোম কেয়ারের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা তাদের এমএলটিএসের মাধ্যমে বেতন পাবেন। এ জন্য এমএলটিএস উদ্যোগ নেবে। তবে তাদেরকে আগামী ১৪ মের মধ্যে কেস পিপিএলের কাছে স্থানান্তর করতেই হবে।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078