
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা ও ওয়াদি গাজা সেতুর কাছে দুটি মার্কিন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের আশায় জড়ো হওয়া জনতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে সেনারা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ১৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় সময় ৮ জুন (রবিবার) ভোরে ঘটে যাওয়া এই হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ের ‘সর্বশেষ বেসামরিক গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে গাজার কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। এর আগেও এসব কেন্দ্রে ১৩০ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৯ জন।
গাজার গণমাধ্যম দপ্তর এই কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এখানে ক্ষুধার্ত মানুষদের ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তারা ঘটনাটিকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিতর্কিত ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবারের ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকেই রাফার আল-আলাম এলাকায় শত শত মানুষ খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোর ৬টার পরপরই তারা কিছুটা এগোতেই হঠাৎ গুলি শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদাল্লাহ নুর আল দ্বীন বলেন, ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর আমরা একটু এগোতেই সেনারা গুলি চালায়। আহত আদহাম দাহমান বলেন, এটা আমাদের জন্য সাহায্য নয়, এটা ফাঁদ। তিনি জানান, সেনারা ট্যাংক থেকে গুলি ছুড়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, ঘটনাস্থলটি রাতের জন্য ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে হামলা হয়েছে সূর্য ওঠার পর।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা এমএসএফ জানিয়েছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় তাদের ক্লিনিকে ১৩ জন আহত এবং একজনের মরদেহ আনা হয়। আহতরা সৌদি গ্রামে খাবার সংগ্রহে যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেককে গাধার গাড়ি, সাইকেল বা হেঁটে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের বাইরে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, স্বজনরা রক্তমাখা কাপড়ে মোড়ানো মরদেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেছেন, জিএইচএফ কার্যক্রম মানবিকতার মুখোশে গণহত্যার কৌশল। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বিশ্বের নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতাকে’ দায়ী করেন।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, জিএইচএফ-এর বিতরণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আজকের হামলা সেটিই প্রমাণ করে। উত্তরের মানুষদের অবস্থা আরও করুণ- তারা দিনভর খাবার খোঁজে, কিন্তু খালি হাতে, ক্ষুধা ও ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরে।
তবে জিএইচএফের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রবিবার তাদের তিনটি কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ সফলভাবে হয়েছে, কোনো সহিংসতা হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৮৮০ জন নিহত এবং ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ঠিকানা/এএস
স্থানীয় সময় ৮ জুন (রবিবার) ভোরে ঘটে যাওয়া এই হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ের ‘সর্বশেষ বেসামরিক গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে গাজার কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। এর আগেও এসব কেন্দ্রে ১৩০ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৯ জন।
গাজার গণমাধ্যম দপ্তর এই কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এখানে ক্ষুধার্ত মানুষদের ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। তারা ঘটনাটিকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিতর্কিত ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবারের ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকেই রাফার আল-আলাম এলাকায় শত শত মানুষ খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোর ৬টার পরপরই তারা কিছুটা এগোতেই হঠাৎ গুলি শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদাল্লাহ নুর আল দ্বীন বলেন, ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর আমরা একটু এগোতেই সেনারা গুলি চালায়। আহত আদহাম দাহমান বলেন, এটা আমাদের জন্য সাহায্য নয়, এটা ফাঁদ। তিনি জানান, সেনারা ট্যাংক থেকে গুলি ছুড়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, ঘটনাস্থলটি রাতের জন্য ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে হামলা হয়েছে সূর্য ওঠার পর।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা এমএসএফ জানিয়েছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় তাদের ক্লিনিকে ১৩ জন আহত এবং একজনের মরদেহ আনা হয়। আহতরা সৌদি গ্রামে খাবার সংগ্রহে যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেককে গাধার গাড়ি, সাইকেল বা হেঁটে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের বাইরে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, স্বজনরা রক্তমাখা কাপড়ে মোড়ানো মরদেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেছেন, জিএইচএফ কার্যক্রম মানবিকতার মুখোশে গণহত্যার কৌশল। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বিশ্বের নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতাকে’ দায়ী করেন।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, জিএইচএফ-এর বিতরণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আজকের হামলা সেটিই প্রমাণ করে। উত্তরের মানুষদের অবস্থা আরও করুণ- তারা দিনভর খাবার খোঁজে, কিন্তু খালি হাতে, ক্ষুধা ও ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরে।
তবে জিএইচএফের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রবিবার তাদের তিনটি কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ সফলভাবে হয়েছে, কোনো সহিংসতা হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৮৮০ জন নিহত এবং ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ঠিকানা/এএস