
লন্ডনে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। এ বৈঠকের জন্য বিএনপি থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। বরং প্রধান উপদেষ্টার অভিলাষের (ইচ্ছা) কারণে এই বৈঠক হচ্ছে। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে এমন দাবি করলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তার ভাষ্যমতে, ‘আমরা কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানাইনি তারেক রহমান আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। তিনিই অভিলাষ প্রকাশ করেছেন লন্ডনে গেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।’
১০ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) হয়েছে এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যা সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যনেলে। যেখানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। দেশের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু তার দেশত্যাগের বিষয়টি সামনে এনেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ব্যাংককে যাওয়া-আসা পুরোটাই সরকারের অনুমোদনের ভিত্তিতেই হয়েছে। আবার সরকার নিজেই এনসিপিকে দিয়ে ‘নাটক মঞ্চস্থ’ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে। এটা বিএনপির কোনো বিষয় নয়।
গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদি সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে অত্যাচার-নিপীড়ন করেছে, এদিকটি তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো আঁতাত হতে পারে না। কারণ তারা গণতন্ত্রের শত্রু।’ এদিকে দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপি। ভারত সরকারও বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার দেখার আকাঙ্খার কথা প্রায়ই বলছে। তাই নির্বাচন দাবি যারা করছে, তাদেরই ভারত দোসর হিসেবে দেখাতে চাইছে একটি মহল। এ প্রসঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করে। এদেশকে তাদের ব্যবসার রাজ্য বানাতে চায়। এগুলোর বদলে ভারত যদি প্রতিবেশি দেশ হিসেবে দায়িত্বশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে, তবে তারা বন্ধু হিসেবে থাকবে। কিন্তু তারা শত্রু মনে করলে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলা যাবে না।
তবে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের দাবি যৌক্তিক বলেই মনে করেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে তিনি বলেন, ড. ইউনূস একজন বিশ্বনন্দিত ব্যক্তি। তিনি যদি সেই সুনাম ধরে রাখতে চান, তাহলে এপ্রিল মাস নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিবেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ যদি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেন, তাহলে ড. ইউনূস ১০ মাস পরও নির্বাচন দিতে পারছেন না কেন? দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে অবিলম্বে নির্বাচিত সরকার গঠনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা।
ঠিকানা/এএস
১০ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) হয়েছে এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যা সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যনেলে। যেখানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। দেশের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু তার দেশত্যাগের বিষয়টি সামনে এনেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ব্যাংককে যাওয়া-আসা পুরোটাই সরকারের অনুমোদনের ভিত্তিতেই হয়েছে। আবার সরকার নিজেই এনসিপিকে দিয়ে ‘নাটক মঞ্চস্থ’ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে। এটা বিএনপির কোনো বিষয় নয়।
গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদি সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে অত্যাচার-নিপীড়ন করেছে, এদিকটি তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো আঁতাত হতে পারে না। কারণ তারা গণতন্ত্রের শত্রু।’ এদিকে দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপি। ভারত সরকারও বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার দেখার আকাঙ্খার কথা প্রায়ই বলছে। তাই নির্বাচন দাবি যারা করছে, তাদেরই ভারত দোসর হিসেবে দেখাতে চাইছে একটি মহল। এ প্রসঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করে। এদেশকে তাদের ব্যবসার রাজ্য বানাতে চায়। এগুলোর বদলে ভারত যদি প্রতিবেশি দেশ হিসেবে দায়িত্বশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে, তবে তারা বন্ধু হিসেবে থাকবে। কিন্তু তারা শত্রু মনে করলে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলা যাবে না।
তবে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের দাবি যৌক্তিক বলেই মনে করেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে তিনি বলেন, ড. ইউনূস একজন বিশ্বনন্দিত ব্যক্তি। তিনি যদি সেই সুনাম ধরে রাখতে চান, তাহলে এপ্রিল মাস নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিবেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ যদি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেন, তাহলে ড. ইউনূস ১০ মাস পরও নির্বাচন দিতে পারছেন না কেন? দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে অবিলম্বে নির্বাচিত সরকার গঠনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা।
ঠিকানা/এএস