
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র আইআরআইবি-এর ভবনে ইসরায়েলের একটি বিমান হামলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলায় রেডিও ও টেলিভিশনের একাধিক কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হামলার পরপরই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একটি সরাসরি সম্প্রচার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রচারের সময় এক নারী সংবাদ পাঠক ঘোষণা করছিলেন, ‘দেশে আগ্রাসনের শব্দ শোনা গেছে, স্টুডিও ধুলায় ভরে গেছে।’ তিনি কথা শেষ করার আগেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এবং পর্দার পেছনে আগুন দেখা যায়। এরপর সম্প্রচার দ্রুত প্রস্তুত করা পূর্ব-রেকর্ডকৃত প্রোগ্রামে পরিবর্তন করা হয়।
সরাসরি সম্প্রচারের মুহূর্তে হামলার ওই মুহূর্তটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
হামলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল তেহরানের যে এলাকাটিতে রাষ্ট্রীয় টিভি স্টুডিও অবস্থিত ওই এলাকাটি খালি করে দেওয়ার জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করেছিল। তার পরও হামলার সময় ভবনে কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর ইরানে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ হামলাকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে।
উল্লেখ্য, ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) ইরানের প্রধান ও একমাত্র রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা। এর দায়িত্ব সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অধীন।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর এটি বর্তমান কাঠামোয় রূপান্তরিত হয়েছিল। বিপ্লবের আগে এটি ন্যাশনাল ইরানিয়ান রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন নামে পরিচিত ছিল।
আইআরআইবি দেশব্যাপী দুই ডজনের বেশি টিভি চ্যানেল এবং ৩০টিরও বেশি রেডিও স্টেশন পরিচালনা করে। এর মধ্যে কিছু চ্যানেল আন্তর্জাতিক সম্প্রচারে নিয়োজিত, যেমন—ইংরেজি ভাষায় প্রচারিত ‘প্রেস টিভি’।
প্রায় ৩০টি ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা এই সম্প্রচারমাধ্যমের প্রচারের বিষয়বস্তু মূলত ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। সরকার ও শাসকগোষ্ঠীর মতাদর্শ প্রচারে আইআরআইবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং বিরোধী কণ্ঠ দমন করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত এই সম্প্রচারমাধ্যম। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এটির কর্তাদেরও নাম আছে, বিশেষ করে—মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।
ঠিকানা/এনআই
সোমবার (১৬ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হামলার পরপরই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একটি সরাসরি সম্প্রচার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রচারের সময় এক নারী সংবাদ পাঠক ঘোষণা করছিলেন, ‘দেশে আগ্রাসনের শব্দ শোনা গেছে, স্টুডিও ধুলায় ভরে গেছে।’ তিনি কথা শেষ করার আগেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এবং পর্দার পেছনে আগুন দেখা যায়। এরপর সম্প্রচার দ্রুত প্রস্তুত করা পূর্ব-রেকর্ডকৃত প্রোগ্রামে পরিবর্তন করা হয়।
সরাসরি সম্প্রচারের মুহূর্তে হামলার ওই মুহূর্তটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
হামলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল তেহরানের যে এলাকাটিতে রাষ্ট্রীয় টিভি স্টুডিও অবস্থিত ওই এলাকাটি খালি করে দেওয়ার জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করেছিল। তার পরও হামলার সময় ভবনে কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর ইরানে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ হামলাকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে।
উল্লেখ্য, ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) ইরানের প্রধান ও একমাত্র রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা। এর দায়িত্ব সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অধীন।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর এটি বর্তমান কাঠামোয় রূপান্তরিত হয়েছিল। বিপ্লবের আগে এটি ন্যাশনাল ইরানিয়ান রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন নামে পরিচিত ছিল।
আইআরআইবি দেশব্যাপী দুই ডজনের বেশি টিভি চ্যানেল এবং ৩০টিরও বেশি রেডিও স্টেশন পরিচালনা করে। এর মধ্যে কিছু চ্যানেল আন্তর্জাতিক সম্প্রচারে নিয়োজিত, যেমন—ইংরেজি ভাষায় প্রচারিত ‘প্রেস টিভি’।
প্রায় ৩০টি ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা এই সম্প্রচারমাধ্যমের প্রচারের বিষয়বস্তু মূলত ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। সরকার ও শাসকগোষ্ঠীর মতাদর্শ প্রচারে আইআরআইবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং বিরোধী কণ্ঠ দমন করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত এই সম্প্রচারমাধ্যম। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এটির কর্তাদেরও নাম আছে, বিশেষ করে—মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।
ঠিকানা/এনআই