
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশে নির্বাচনী তৎপরতা জোরেশোরে শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম লেখাতে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। শোভাযাত্রাও হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তৎপর অনেকে।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়। তবে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে একসঙ্গে থাকা মিত্র দলগুলোকে নিয়েই সামনে চলতে চায় বিএনপি। সে ক্ষেত্রে মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির।
দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সময়সীমা ইস্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিছুটা ক্ষুব্ধ ও বিরক্তি প্রকাশ করলেও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৯৬ আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার জামায়াত ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ঐক্য’ গঠনের চেষ্টাও করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নিজেদের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা নিজ নিজ দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়বেন।
এনসিপি ঈদের আগে থেকেই সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এখন দলটি কমিটি গোছানোয় মনোনিবেশ করছে। নাগরিক ঐক্য ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। এলডিপির নির্বাচনী প্রস্তুতি থাকলেও তারা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপির সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল এবং গণঅধিকার পরিষদ দলগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটের আগে বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য হলে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা প্রার্থী দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশবাসীর দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা। ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করাটাই এখন অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনকে ওই সময়ে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়টিতে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে- এমন আশা করাও ঠিক নয়। বেশির ভাগ দলের সম্মতিটাই গ্রহণযোগ্য। দলগুলোর সবাই নির্বাচন চায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা না-ও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে জামায়াত-অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে। কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীর জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।
পর্যবেক্ষকেরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনগুলোর ভোটের ইতিহাস বলছে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে অথবা আওয়ামী লীগপন্থী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তিনি পাবেন। এখানে ইসলামপন্থী দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকে নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি- এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়। তবে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে একসঙ্গে থাকা মিত্র দলগুলোকে নিয়েই সামনে চলতে চায় বিএনপি। সে ক্ষেত্রে মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির।
দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সময়সীমা ইস্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিছুটা ক্ষুব্ধ ও বিরক্তি প্রকাশ করলেও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৯৬ আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার জামায়াত ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ঐক্য’ গঠনের চেষ্টাও করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নিজেদের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা নিজ নিজ দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়বেন।
এনসিপি ঈদের আগে থেকেই সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এখন দলটি কমিটি গোছানোয় মনোনিবেশ করছে। নাগরিক ঐক্য ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। এলডিপির নির্বাচনী প্রস্তুতি থাকলেও তারা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপির সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল এবং গণঅধিকার পরিষদ দলগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটের আগে বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য হলে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা প্রার্থী দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেশবাসীর দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা। ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করাটাই এখন অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনকে ওই সময়ে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করতে দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়টিতে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে- এমন আশা করাও ঠিক নয়। বেশির ভাগ দলের সম্মতিটাই গ্রহণযোগ্য। দলগুলোর সবাই নির্বাচন চায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা না-ও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে জামায়াত-অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে। কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীর জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।
পর্যবেক্ষকেরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনগুলোর ভোটের ইতিহাস বলছে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে অথবা আওয়ামী লীগপন্থী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তিনি পাবেন। এখানে ইসলামপন্থী দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকে নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি- এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।