
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এতে একাত্তরের ভূমিকার বিষয়টিও আছে- সেই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাতচল্লিশ থেকে এখন পর্যন্ত যদি জামায়াতের কোনো কাজে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন- সবকিছুর জন্য মাফ চেয়েছি।’ তিনি আরো বলেন,
ব্যক্তিগতভাবে যে কারো যেমন ভুল হতে পারে, তেমনি সমষ্ঠিগতভাবে যে সংগঠন, সেই সংগঠনও ভুল করতে পারে। এক্ষেত্রে মাফ চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, লজ্জা নেই- মনে করেন ইসলামপন্থী এই দলটির প্রধান। গত ২১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রথম ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চান দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেদিন লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার কোনো প্রসঙ্গ আলাদা করে আনেননি তিনি। বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও নেননি। গত ২৪ জুন ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন জামায়াতের আমির। নিউইয়র্ক সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যেখানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দেশ, রাজনীতি ও নিজ দলের নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। আলোচনা শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশে হঠাৎ হামলা করেছে ইসরায়েল। এক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের আছে। তাই যুদ্ধাবস্থার জন্য ইরানকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না। প্রথমেই যুদ্ধ থামানোর ভূমিকা না নিয়ে আমেরিকাও ইরানে হামলা করেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্য আরব দেশগুলোর ভূমিকা দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
এসব ঘটনায় বাংলাদেশও সাধারণত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে। এবার অন্তর্বর্তী সরকার ইরানের পক্ষে জোরালোভাবে কথা বলছে না। কারণ তারা মার্কিন সরকারের বিরাগভাজন হতে চায় না- এমন আলোচনা রয়েছে কূটনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সরকার যদি এমন অবস্থান নিয়ে থাকে, সেটা ভালো কিছু নয়। ফিলিস্তিনের পক্ষে, ইরানের পক্ষে অবশ্যই আরো বেশি ভূমিকা নিতে হবে। গাজায় শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, যেকোনো বিবেকবান মানুষ তার নিন্দা করবেই। দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জামায়াত প্রায় সব আসনেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে দলটির প্রধান বলেন, যদি জোটবদ্ধভাবে ভোট করা হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে শরিক দলকে নিজের আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছেন। দলীয় সব প্রার্থীকেই বিষয়টি জানিয়ে রাখা হচ্ছে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সময় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিদেশে থেকেই একজন ভোটার কীভাবে দেশে ভোট দিতে পারবেন, এ প্রক্রিয়া উন্নয়নে কাজও করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এতে অগ্রগতি না থাকার বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন জামায়াতের আমীর। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি রয়েছে। নিজেদের ভোটের অধিকার আদায়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ব্যক্তিগতভাবে যে কারো যেমন ভুল হতে পারে, তেমনি সমষ্ঠিগতভাবে যে সংগঠন, সেই সংগঠনও ভুল করতে পারে। এক্ষেত্রে মাফ চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, লজ্জা নেই- মনে করেন ইসলামপন্থী এই দলটির প্রধান। গত ২১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রথম ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চান দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেদিন লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার কোনো প্রসঙ্গ আলাদা করে আনেননি তিনি। বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও নেননি। গত ২৪ জুন ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন জামায়াতের আমির। নিউইয়র্ক সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যেখানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দেশ, রাজনীতি ও নিজ দলের নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। আলোচনা শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশে হঠাৎ হামলা করেছে ইসরায়েল। এক্ষেত্রে আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের আছে। তাই যুদ্ধাবস্থার জন্য ইরানকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না। প্রথমেই যুদ্ধ থামানোর ভূমিকা না নিয়ে আমেরিকাও ইরানে হামলা করেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্য আরব দেশগুলোর ভূমিকা দুর্বল বলে মনে করেন তিনি।
এসব ঘটনায় বাংলাদেশও সাধারণত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে। এবার অন্তর্বর্তী সরকার ইরানের পক্ষে জোরালোভাবে কথা বলছে না। কারণ তারা মার্কিন সরকারের বিরাগভাজন হতে চায় না- এমন আলোচনা রয়েছে কূটনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সরকার যদি এমন অবস্থান নিয়ে থাকে, সেটা ভালো কিছু নয়। ফিলিস্তিনের পক্ষে, ইরানের পক্ষে অবশ্যই আরো বেশি ভূমিকা নিতে হবে। গাজায় শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, যেকোনো বিবেকবান মানুষ তার নিন্দা করবেই। দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জামায়াত প্রায় সব আসনেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে দলটির প্রধান বলেন, যদি জোটবদ্ধভাবে ভোট করা হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে শরিক দলকে নিজের আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছেন। দলীয় সব প্রার্থীকেই বিষয়টি জানিয়ে রাখা হচ্ছে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সময় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিদেশে থেকেই একজন ভোটার কীভাবে দেশে ভোট দিতে পারবেন, এ প্রক্রিয়া উন্নয়নে কাজও করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এতে অগ্রগতি না থাকার বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন জামায়াতের আমীর। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি রয়েছে। নিজেদের ভোটের অধিকার আদায়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।