
ফল খাওয়ার পর পানি খেতে নেই। ছোটবেলা থেকে এই কথাটাই বার বার শুনেছেন। যেকোনো খাবার খাওয়ার পরেই একটু পানি খেলে তৃপ্তি হয়। ভাত খাওয়ার সময়েও পানি খান অনেকে। তবে তাতে যতটা না ক্ষতি, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি ফল খাওয়ার পরে পানি পান করলে। কিছু কিছু ফল খাওয়ার পরে তো পানি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। জেনে নিন এর পিছনের বৈজ্ঞানিক কারণ।
ফল শরীরের জন্য ভালো ঠিকই, কিন্তু তা হজম করা কঠিন। বেশ কিছুটা সময় লাগে ফল হজম হতে। ওই সময়ে নানা ধরনের উৎসেচক ও অম্লরস বের হয় পাকস্থলী থেকে। তার মধ্যে যদি পানি খান, তাহলে অম্লরসের সঙ্গে পানি মিশে গিয়ে হজমের প্রক্রিয়াই দুর্বল হয়ে যাবে। এতে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হবে পেটে, ফলে গ্যাসের সমস্যা বাড়বে।
হজম না হওয়া ফলের অংশ খাদ্যনালিতে থেকে গেলে তার থেকে হতে পারে সংক্রমণ। তখন প্রবল পেট ব্যথা হতে পারে। অ্যাসিডিটিও হতে পারে। শসা, তরমুজ, কমলালেবু, পাকা পেঁকে, আনারস, আমের মতো ফলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাবধান হওয়া জরুরি।
হজমের জন্য শরীরের নির্দিষ্ট পিএইচ মাত্রার প্রয়োজন। যে সব খাবারে পানি রয়েছে তার সঙ্গে যদি আবার পানি খাওয়া হয়, তাহলে পিএইচ মাত্রা কমে যায়। ফলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফাইবার ও পানি থাকার কারণে পেঁপের মতো ফল খালি পেটে খেতে বারণ করা হয়। ফল ঠিক মতো হজম না হলে তা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
সকালের নাশতা এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হালকা খিদে পায়? এই সময়েও ফল খেতে পারেন। তবে ওই সময়ে ফল খেয়ে পানি খাবেন না ভুলেও। এতে বিপাকক্রিয়ায় সাহায্যকারী উৎসেচকগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
রাতে শোয়ার আগে ফল না খাওয়াই ভাল। ফলের মধ্যে থাকা অ্যাসিডের কারণে পাকস্থলীর অস্বস্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে ঘুমের সমস্যা হয়। আর যদি রাতে ফল খেয়ে পানি খেয়ে ফেলেন, তা হলেই মুশকিল। এতে অ্যাসিডের মাত্রা দ্বিগুণ হব। ফলে রাতে শুয়ে গলা-বুক জ্বালার সমস্যা বাড়বে।
ঠিকানা/এসআর
ফল শরীরের জন্য ভালো ঠিকই, কিন্তু তা হজম করা কঠিন। বেশ কিছুটা সময় লাগে ফল হজম হতে। ওই সময়ে নানা ধরনের উৎসেচক ও অম্লরস বের হয় পাকস্থলী থেকে। তার মধ্যে যদি পানি খান, তাহলে অম্লরসের সঙ্গে পানি মিশে গিয়ে হজমের প্রক্রিয়াই দুর্বল হয়ে যাবে। এতে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হবে পেটে, ফলে গ্যাসের সমস্যা বাড়বে।
হজম না হওয়া ফলের অংশ খাদ্যনালিতে থেকে গেলে তার থেকে হতে পারে সংক্রমণ। তখন প্রবল পেট ব্যথা হতে পারে। অ্যাসিডিটিও হতে পারে। শসা, তরমুজ, কমলালেবু, পাকা পেঁকে, আনারস, আমের মতো ফলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাবধান হওয়া জরুরি।
হজমের জন্য শরীরের নির্দিষ্ট পিএইচ মাত্রার প্রয়োজন। যে সব খাবারে পানি রয়েছে তার সঙ্গে যদি আবার পানি খাওয়া হয়, তাহলে পিএইচ মাত্রা কমে যায়। ফলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফাইবার ও পানি থাকার কারণে পেঁপের মতো ফল খালি পেটে খেতে বারণ করা হয়। ফল ঠিক মতো হজম না হলে তা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
সকালের নাশতা এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হালকা খিদে পায়? এই সময়েও ফল খেতে পারেন। তবে ওই সময়ে ফল খেয়ে পানি খাবেন না ভুলেও। এতে বিপাকক্রিয়ায় সাহায্যকারী উৎসেচকগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
রাতে শোয়ার আগে ফল না খাওয়াই ভাল। ফলের মধ্যে থাকা অ্যাসিডের কারণে পাকস্থলীর অস্বস্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে ঘুমের সমস্যা হয়। আর যদি রাতে ফল খেয়ে পানি খেয়ে ফেলেন, তা হলেই মুশকিল। এতে অ্যাসিডের মাত্রা দ্বিগুণ হব। ফলে রাতে শুয়ে গলা-বুক জ্বালার সমস্যা বাড়বে।
ঠিকানা/এসআর