
শাকিব খান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক নম্বরে অবস্থান করছেন। তা তার অভিনয়, সম্মানী, দর্শকপ্রিয়তাসহ সব দিক দিয়েই। এ জন্য তার ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীর সংখ্যাও কম নয়। শাকিব খানকে জীবনে এই অবস্থানে আসতে গিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। দীর্ঘ ২৫টা বছর সময় লেগেছে তার। এই ২৫ বছরে কেবল যে ভালোবাসা, বাহবা, প্রশংসাই পেয়েছেন তা নয়; অনেক যন্ত্রণা, কষ্ট, বেদনাও তাকে সইতে হয়েছে।
তার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কষ্টের কথা মনে পড়লে তার মন খারাপ হয়। এ সময় তিনি একা থাকার চেষ্টা করেন। অপু ও বুবলীর কাছ থেকে তিনি কেবল ভালোবাসাই পেয়েছেন বিষয়টি এমন নয়, অনেক কষ্টও পেয়েছেন। তিল তিল করে ও অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন শাকিব। সিনেমায় তার অসাধারণ সব চরিত্রের জন্য দর্শকেরাও তাকে পছন্দ করেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু সিনেমায় শাকিবকে সন্ত্রাসী, খুনি, মাদকাসক্তসহ বিভিন্ন নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। তার এই অ্যাকশনধর্মী সিনেমাগুলো ব্যবসাসফল হচ্ছে। সাময়িকভাবে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কিন্তু তার মতো একজন নায়ক দিনের পর দিন নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজের অবস্থান নড়বড়ে করে দিচ্ছেন না তো। অনেকেই বলেন, শাকিব খানের ২৫ বছরের ক্যারিয়ারের জীবনে অনেক সাফল্য আছে। তিনি অর্থবিত্ত, সুনামও অর্জন করেছেন প্রচুর। এখন তার এমন সব সিনেমায় কাজ করা দরকার, যেখানে তাকে ইতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। যার মধ্যে থাকবে দেশপ্রেম, যে কিনা অপ্রতিরোধ্য, সচ্চরিত্রের অধিকারী, সকল অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, যিনি ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকেন, দেশ রক্ষা, দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য অবিচল থাকেন, এ জন্য তিনি প্রতিবাদী হয়ে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন ও লড়াই করছেন। সেখানেও অ্যাকশন দেখানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আসলে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে সিনেমা তৈরি হলে সেখানে তিনি অনেক দর্শকের আদর্শ হয়ে উঠবেন। এ ছাড়া সামাজিক ও লাভ স্টোরি টাইপের সিনেমাতেও তার ভালো সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি ইদানীং কেবল সন্ত্রাসী ও নেতিবাচক চরিত্রগুলোতে প্রাধান্য দেওয়াতে একটি টাইপড তৈরি হয়েছে। সাময়িকভাবে এসব সিনেমা মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে, বিনোদন দিচ্ছে, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে কিন্তু দর্শক কি তাকে ৫০ বছর পর এই চরিত্রের কথা মনে রাখবে? অবশ্যই রাখবে না। কারণ বেশির ভাগ মানুষই নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক চরিত্রে নায়ককে দেখতে চায়। বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের ভাবার অবকাশ আছে। সালমান খান ইতিবাচক চরিত্রের মধ্য দিয়ে বলিউডে তার সুপারস্টার অবস্থান ধরে রেখেছেন। শাহরুখ খান কয়েকটি হাতে গোনা সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাকি সব সিনেমায় পজিটিভ চরিত্রে। এই ইমেজই তাকে সুপারস্টার হিরো বানিয়েছে।
এবার আসা যাক সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের তাণ্ডব সিনেমা প্রসঙ্গে। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে যতটা তাণ্ডব বয়ে যাচ্ছে, এতটা তাণ্ডব দেখানোর মতো তেমন বিশেষ কিছু সিনেমাটিতে নেই। সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একেকটি ঘটনার সঙ্গে যে হারমোনি থাকার কথা, সেটিতে বারবার ছেদ পড়েছে। সিনেমার বিরতির পর কয়েক মিনিট পরপর মনে হয়েছেÑএটাই বুঝি সিনেমার শেষ দৃশ্য। কিন্তু দর্শক যখন ভাবছে এটাই শেষ দৃশ্য, এরপর সামনে আবার নতুন একটি প্লট তৈরি করা হয়েছে।
শাকিব খান এই সিনেমায় মূলত মিখাইল নামের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যিনি পুলিশের খাতায় পলাতক। তিনি গুমঘরে বন্দী থাকা অবস্থায় গ্রামের সহজ-সরল স্বাধীনের জীবনকাহিনি শোনেন। স্বাধীন সেখানে তার পাশের রুমে ছিলেন। দেয়ালের পাশ থেকে তাদের মধ্যে কথা হতো। পুরো স্বাধীনের জীবনকাহিনি ও তার প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে চান, সেটাই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূলত স্বাধীনের চরিত্র ঘিরেই এই ছবিটির কাহিনি এগিয়ে গেছে। শাকিব খান দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। একটি তার পাশের রুমে বন্দী থাকা স্বাধীন চরিত্রের কাল্পনিক চরিত্রে, অপরটি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিখাইল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও প্রকাশ করা হয়নি তিনি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিখাইল।
তাণ্ডব সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফি। আর প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিয়ার শাকিল। রায়হান রাফি একজন ভালো নির্মাতা। তিনি এর আগে বারবার ভালো ছবি তৈরি করেছেন। ‘তুফান’ ছবিতে শাকিব খানকে তুফান চরিত্রে নেগেটিভ ও শান্ত চরিত্রে পজিটিভ, ‘বরবাদ’ ছবিতে বড় লোকের খুনি, মাদক ও হেরোইনসেবী বেপরোয়া চরিত্রে দেখানো হয়। ‘তাণ্ডব’ ছবিতে শাকিব খানকে স্বাধীন চরিত্রে পজিটিভের পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী, খারাপ ও ভিলেন চরিত্রে দেখানো হয়েছে। সিনেমাতে তার চরিত্রগুলো একই ধাঁচের হয়ে যাচ্ছে। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার শাকিব খানকে সেখানে পাওয়া যায় না।
তবে যেসব বিষয়ের প্রশংসা করতে হবে, তা হলো তাণ্ডব সিনেমায় দেশের মানুষকে মিথ্যা মামলায় আটক করা, গুম করে রাখা, সেখানে নির্যাতন করা, বেকার ছেলের চাকরি না পাওয়া, অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাওয়া, ঘুষ বাণিজ্য, বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলে কর্তৃক বিদেশি খুন, টিভিতে খুনের সত্য খবর প্রকাশ করতে না দেওয়া, মামলার মোড় ঘোরাতে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা, মন্ত্রী ও আইজির ঘুষ খাওয়ার বিষয়, নিরপরাধ মানুষকে কীভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, গুম ঘরে মানুষ হত্যা, মানুষকে আটকে রাখার পর সেখানে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায়, নির্যাতনসহ অনেকেই কিছুই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটা ইতিবাচক।
একাধিক দর্শক বলেছেন, শাকিব খান বারবার এ ধরনের নেগেটিভ চরিত্রে, অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে একটি টাইপড তৈরি করছেন। এটা তার জন্য মোটেই ভালো হচ্ছে না। তার এমন চরিত্রে অভিনয় করা দরকার, যা দেখে মানুষ কিছু শিখতে পারবে।
আরেকজন দর্শক বলেন, তাণ্ডব সিনেমা দেখে কিছু শেখার নেই। অ্যাকশন বেশি দেখাতে গিয়ে অনেক কিছুই ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না।
আরেক দর্শক বলেন, শাকিব খানকে ভিলেন চরিত্রে দেখাতে গিয়ে অনেক রূঢ় ও খারাপ লেগেছে। শাকিব খানের যে নায়কী একটি চেহারা ও ফিগার রয়েছে, সেটা এই সিনেমায় দেখা যায়নি। কারণ এখানে তাকে দুটি চরিত্রে দেখানো হয়েছেÑএকটি স্বাধীন, অপরটি মিখাইল। দুটি চরিত্রের মধ্যে চেহারার লুক প্রায় একই রকমের ছিল।
অন্য এক দর্শক বলেন, টাইপড ও নেতিবাচক চরিত্রে শাকিব খানের অভিনয় না করে পরিবারের সবাই মিলে দেখা যাবে, যে ছবিতে খারাপ কোনো অঙ্গভঙ্গি ও গালিগালাজ নেই, একটি বাস্তব গল্প রয়েছে, শিক্ষণীয় কিছু আছে, এমন চরিত্রে অভিনয় করা দরকার।
আরেকজন দর্শক বলেন, তুফান, বরবাদ, তাণ্ডব প্রভৃতি ব্যবসাসফল ছবির জন্য শাকিব খান কিছু দর্শকের বাহবা কুড়ালেও সব শ্রেণির দর্শক এসব সিনেমা পছন্দ করবে না। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের জন্য এসব সিনেমায় শিক্ষণীয় কিছু নেই।
তার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কষ্টের কথা মনে পড়লে তার মন খারাপ হয়। এ সময় তিনি একা থাকার চেষ্টা করেন। অপু ও বুবলীর কাছ থেকে তিনি কেবল ভালোবাসাই পেয়েছেন বিষয়টি এমন নয়, অনেক কষ্টও পেয়েছেন। তিল তিল করে ও অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন শাকিব। সিনেমায় তার অসাধারণ সব চরিত্রের জন্য দর্শকেরাও তাকে পছন্দ করেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু সিনেমায় শাকিবকে সন্ত্রাসী, খুনি, মাদকাসক্তসহ বিভিন্ন নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। তার এই অ্যাকশনধর্মী সিনেমাগুলো ব্যবসাসফল হচ্ছে। সাময়িকভাবে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কিন্তু তার মতো একজন নায়ক দিনের পর দিন নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজের অবস্থান নড়বড়ে করে দিচ্ছেন না তো। অনেকেই বলেন, শাকিব খানের ২৫ বছরের ক্যারিয়ারের জীবনে অনেক সাফল্য আছে। তিনি অর্থবিত্ত, সুনামও অর্জন করেছেন প্রচুর। এখন তার এমন সব সিনেমায় কাজ করা দরকার, যেখানে তাকে ইতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। যার মধ্যে থাকবে দেশপ্রেম, যে কিনা অপ্রতিরোধ্য, সচ্চরিত্রের অধিকারী, সকল অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, যিনি ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকেন, দেশ রক্ষা, দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য অবিচল থাকেন, এ জন্য তিনি প্রতিবাদী হয়ে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন ও লড়াই করছেন। সেখানেও অ্যাকশন দেখানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আসলে দেশপ্রেমকে সামনে রেখে সিনেমা তৈরি হলে সেখানে তিনি অনেক দর্শকের আদর্শ হয়ে উঠবেন। এ ছাড়া সামাজিক ও লাভ স্টোরি টাইপের সিনেমাতেও তার ভালো সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি ইদানীং কেবল সন্ত্রাসী ও নেতিবাচক চরিত্রগুলোতে প্রাধান্য দেওয়াতে একটি টাইপড তৈরি হয়েছে। সাময়িকভাবে এসব সিনেমা মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে, বিনোদন দিচ্ছে, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে কিন্তু দর্শক কি তাকে ৫০ বছর পর এই চরিত্রের কথা মনে রাখবে? অবশ্যই রাখবে না। কারণ বেশির ভাগ মানুষই নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক চরিত্রে নায়ককে দেখতে চায়। বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের ভাবার অবকাশ আছে। সালমান খান ইতিবাচক চরিত্রের মধ্য দিয়ে বলিউডে তার সুপারস্টার অবস্থান ধরে রেখেছেন। শাহরুখ খান কয়েকটি হাতে গোনা সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাকি সব সিনেমায় পজিটিভ চরিত্রে। এই ইমেজই তাকে সুপারস্টার হিরো বানিয়েছে।
এবার আসা যাক সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের তাণ্ডব সিনেমা প্রসঙ্গে। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে যতটা তাণ্ডব বয়ে যাচ্ছে, এতটা তাণ্ডব দেখানোর মতো তেমন বিশেষ কিছু সিনেমাটিতে নেই। সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একেকটি ঘটনার সঙ্গে যে হারমোনি থাকার কথা, সেটিতে বারবার ছেদ পড়েছে। সিনেমার বিরতির পর কয়েক মিনিট পরপর মনে হয়েছেÑএটাই বুঝি সিনেমার শেষ দৃশ্য। কিন্তু দর্শক যখন ভাবছে এটাই শেষ দৃশ্য, এরপর সামনে আবার নতুন একটি প্লট তৈরি করা হয়েছে।
শাকিব খান এই সিনেমায় মূলত মিখাইল নামের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যিনি পুলিশের খাতায় পলাতক। তিনি গুমঘরে বন্দী থাকা অবস্থায় গ্রামের সহজ-সরল স্বাধীনের জীবনকাহিনি শোনেন। স্বাধীন সেখানে তার পাশের রুমে ছিলেন। দেয়ালের পাশ থেকে তাদের মধ্যে কথা হতো। পুরো স্বাধীনের জীবনকাহিনি ও তার প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে চান, সেটাই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূলত স্বাধীনের চরিত্র ঘিরেই এই ছবিটির কাহিনি এগিয়ে গেছে। শাকিব খান দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। একটি তার পাশের রুমে বন্দী থাকা স্বাধীন চরিত্রের কাল্পনিক চরিত্রে, অপরটি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিখাইল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও প্রকাশ করা হয়নি তিনি দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিখাইল।
তাণ্ডব সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফি। আর প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিয়ার শাকিল। রায়হান রাফি একজন ভালো নির্মাতা। তিনি এর আগে বারবার ভালো ছবি তৈরি করেছেন। ‘তুফান’ ছবিতে শাকিব খানকে তুফান চরিত্রে নেগেটিভ ও শান্ত চরিত্রে পজিটিভ, ‘বরবাদ’ ছবিতে বড় লোকের খুনি, মাদক ও হেরোইনসেবী বেপরোয়া চরিত্রে দেখানো হয়। ‘তাণ্ডব’ ছবিতে শাকিব খানকে স্বাধীন চরিত্রে পজিটিভের পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী, খারাপ ও ভিলেন চরিত্রে দেখানো হয়েছে। সিনেমাতে তার চরিত্রগুলো একই ধাঁচের হয়ে যাচ্ছে। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার শাকিব খানকে সেখানে পাওয়া যায় না।
তবে যেসব বিষয়ের প্রশংসা করতে হবে, তা হলো তাণ্ডব সিনেমায় দেশের মানুষকে মিথ্যা মামলায় আটক করা, গুম করে রাখা, সেখানে নির্যাতন করা, বেকার ছেলের চাকরি না পাওয়া, অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাওয়া, ঘুষ বাণিজ্য, বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলে কর্তৃক বিদেশি খুন, টিভিতে খুনের সত্য খবর প্রকাশ করতে না দেওয়া, মামলার মোড় ঘোরাতে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা, মন্ত্রী ও আইজির ঘুষ খাওয়ার বিষয়, নিরপরাধ মানুষকে কীভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, গুম ঘরে মানুষ হত্যা, মানুষকে আটকে রাখার পর সেখানে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায়, নির্যাতনসহ অনেকেই কিছুই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটা ইতিবাচক।
একাধিক দর্শক বলেছেন, শাকিব খান বারবার এ ধরনের নেগেটিভ চরিত্রে, অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে একটি টাইপড তৈরি করছেন। এটা তার জন্য মোটেই ভালো হচ্ছে না। তার এমন চরিত্রে অভিনয় করা দরকার, যা দেখে মানুষ কিছু শিখতে পারবে।
আরেকজন দর্শক বলেন, তাণ্ডব সিনেমা দেখে কিছু শেখার নেই। অ্যাকশন বেশি দেখাতে গিয়ে অনেক কিছুই ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না।
আরেক দর্শক বলেন, শাকিব খানকে ভিলেন চরিত্রে দেখাতে গিয়ে অনেক রূঢ় ও খারাপ লেগেছে। শাকিব খানের যে নায়কী একটি চেহারা ও ফিগার রয়েছে, সেটা এই সিনেমায় দেখা যায়নি। কারণ এখানে তাকে দুটি চরিত্রে দেখানো হয়েছেÑএকটি স্বাধীন, অপরটি মিখাইল। দুটি চরিত্রের মধ্যে চেহারার লুক প্রায় একই রকমের ছিল।
অন্য এক দর্শক বলেন, টাইপড ও নেতিবাচক চরিত্রে শাকিব খানের অভিনয় না করে পরিবারের সবাই মিলে দেখা যাবে, যে ছবিতে খারাপ কোনো অঙ্গভঙ্গি ও গালিগালাজ নেই, একটি বাস্তব গল্প রয়েছে, শিক্ষণীয় কিছু আছে, এমন চরিত্রে অভিনয় করা দরকার।
আরেকজন দর্শক বলেন, তুফান, বরবাদ, তাণ্ডব প্রভৃতি ব্যবসাসফল ছবির জন্য শাকিব খান কিছু দর্শকের বাহবা কুড়ালেও সব শ্রেণির দর্শক এসব সিনেমা পছন্দ করবে না। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের জন্য এসব সিনেমায় শিক্ষণীয় কিছু নেই।