
টেস্টে ধুঁকছে ভারত, ইংল্যান্ড সফরে প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই ব্যর্থতার ঢেউও টলাতে পারছে না কোচ গৌতম গম্ভীরের অবস্থান। বিসিসিআই স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইংল্যান্ডে ০-৫ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলেও গম্ভীরকেই আস্থা রাখছে তারা।
২০২৪ সালের জুনে রাহুল দ্রাবিড় বিদায় নেওয়ার পর ভারতের কোচের দায়িত্ব নেন গম্ভীর। সেই সময় ভিভিএস লক্ষ্মণ আগ্রহ না দেখানোয় ও রিকি পন্টিংকে বাতিল করার পর গম্ভীরকেই উপযুক্ত মনে করে বোর্ড। সে সময় সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন বানানোর পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
প্রথম বছরে তার কোচিংয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও টেস্ট পারফরম্যান্সে খুশি নয় অনেকেই। এখন পর্যন্ত গম্ভীরের অধীনে ১১টি টেস্টে জয় মাত্র তিনটিতে—এর মধ্যে দুটি বাংলাদেশ ও একটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় চাপ আরও বেড়েছে। তবে বিসিসিআই সাফ জানিয়ে দিয়েছে—এ মুহূর্তে কোচিং বা নেতৃত্বে কোনো ‘স্প্লিট’-এর চিন্তা নেই। কোচ হোক বা অধিনায়ক, তারা পূর্ণকালীন ভাবনাতেই বিশ্বাসী। তাই গম্ভীরের জায়গা নিয়ে কোনো আলোচনা আপাতত হচ্ছে না।
বোর্ডের এক সূত্র বলেছে, এই দলে অনেক নতুন মুখ, একটি রূপান্তরের সময় পার করছে ভারত। ফল সবসময় পক্ষে আসবে না, সেটাই স্বাভাবিক। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডও এমন সময় পার করেছে। গম্ভীরের কাজকে তাই সময় দেওয়া উচিত বলেই মনে করছে বোর্ড।
এদিকে গম্ভীরের কোচিং অধ্যায় এত সহজও ছিল না। অস্ট্রেলিয়ায় ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হার, তারকা ক্রিকেটারদের টেস্ট থেকে অবসর, ড্রেসিংরুমের অভ্যন্তরীণ কথোপকথন ফাঁস—সব মিলিয়ে এক টালমাটাল সময়ের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে।
ইংল্যান্ড সফর শেষে ভারতের সামনে রয়েছে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, এরপর কঠিন নিউজিল্যান্ড সফর। এই সবগুলো পরীক্ষাই গম্ভীরের সামর্থ্য যাচাইয়ের মঞ্চ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে আপাতত বোর্ডের বার্তা একটাই—গম্ভীরই ভারতের কোচ, এবং তার ওপর আস্থা অটুট। ফলাফল যেমনই হোক, তিনি থাকছেন ডাগআউটে।
ঠিকানা/এএস