
নিউইয়র্ক স্টেটের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্তোনিও ডেলগাডো আগামী নির্বাচনে গভর্নর পদে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গত ২ জুলাই বুধবার বিকেলে তার নির্বাচনী ফান্ড রেইজিংয়ের আয়োজন করে বাংলাদেশি সমাজসেবী এবং মূলধারার স্বেচ্ছাসেবী নন- প্রফিট প্রতিষ্ঠান ‘ভালো’। এ আয়োজনটি করা হয় জ্যামাইকার ভালো’র কার্যালয়ে।
ফান্ড রেইজিয়ের পরপরই মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে মিলিত হন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্তোনিও ডেলগাডোর। এসময় তার সাথে ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস এবং ব্রুকলিন থেকে নির্বাচিত সিটি কাউন্সিল সদস্য রিটা জোসেফ। এছাড়াও সেখানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্তোনিও ডেলগাডোকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘ভালো’র প্রধান শাহরিয়ার রহমান। তিনি বলেন, হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট এই অত্যন্ত মেধাবী অ্যাটর্নি আমাদের কমিউনিটির হার্টবিট সম্পর্কে জানেন। তিনি জানেন ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটির সুবিধা ও সমস্যার কথা। এমন একজন ব্যক্তিকেই আমরা গভর্নর হিসাবে দেখতে চাই।
অ্যান্তোনিও ডেলগাডো বলেন, আমাদের স্টেটের সবচেয়ে বড় দুরবস্থা হলো সবচেয়ে সুবিধাভোগীরা সরকারের কাছাকাছি যেতে পারে। অন্যরা বঞ্চিত হয়। আমি এই দেয়াল ভাঙতে চাই। আলবেনি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই।
ডেলগাডো গভর্নর বলেন, আমি আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য দেখছি- তা আমাকে আশাবাদী করে তুলছে। আপনারা যদি সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের নিজেকে চিনতে হবে আগে। জানতে হবে কে আমি, কে আপনি? অন্যের জীবনযাপন ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত করা ঠিক নয়।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর আরো বলেন, আমি গভর্নর হলে আপনাদের মত কম্যুনিটি নিয়ে কাজ করব। কারণ আপনারা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিজেদের কম্যুনিটিকে যেভাবে গড়ে তুলছেন, সেই প্রক্রিয়া আমরা স্টেটের উন্নয়নে প্রয়োগ করব। সেই জন্য সিটি থেকে হেইট ক্রাইমকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করব।
তিনি বলেন, আমার যে নীতি আগেও ছিল এখনো আছে, তাহলো জনগণ সবার আগে- ‘পিপল ফাস্টর্’, পাওয়ার বা ক্ষমতা নয়। জনগণ পাশে থাকলে অন্য কিছু চিন্তা করতে হয় না। সেই জন্য জনগণের প্রতি মনোযোগ দেয়াই আমার মূল লক্ষ্য। তবে যারা ধনী, সম্পদশালী তাদের তেলে মাথায় তেল দিতে চাই না।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, আমি জানি পলিটিক্সের মধ্যেই আমি আছি। কিন্তু কোনোভাবেই অতিরিক্ত পলিটিক্স চাই না।
মূলধারার বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার গিয়াস আহমেদ প্রশ্ন করেন, গভর্নর হোকুল আমাদের কাছ থেকে হোমকেয়ার বিজনেস ছিনিয়ে নিয়েছেন। গভর্নর হলে আপনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন? উত্তরে মি. ডেলগাডো বলেন, যখন একটার পর একটা ভুল হতে থাকে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক আমার কাছে সব কিছু। আমি নিউইয়র্ক বাদ দিয়ে কিছুই ভাবি না। এই স্টেট এবং এই স্টেটের জনগণের জন্য যা মঙ্গলজনক আমি তা করব।
অপর মূলধারার কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার গত ২৪ জুনের মেয়র প্রাইমারিকে সামনে রেখে প্রশ্ন করেন এটা নির্বাচন ছিল না, আমাদের কাছে এটা এসেছিল অনেক বড় ইস্যু নিয়ে। তাই নির্বাচনকে আমরা মুভমেন্টে পরিণত করেছিলাম। আমার গত ২৫ বছরের কমিউনিটি একটিভিজমে এমন এর আগে দেখিনি। আপনি কী মনে করেন?
উত্তরে অ্যান্তোনিও ডেলগাডো বলেন, যেভাবে ইসলামোফোবিয়া বেড়ে গেছে, তা আমাদের সকলের জন্য লজ্জাজনক। আমরা চুপ থাকলে চলবে না। সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, মামদানি জনগণকে বুঝিয়ে দিয়েছে কী করতে হবে। কী করা উচিত। আপনারা মামদানিকে ভোট দিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাতেই হবে। এইসাথে পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস বলেন, মামদানির ক্যাম্পেইন এ্যাপ্রোচ সঠিক ছিল বলেই তিনি জয়ী হয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা কৃষ্ণাঙ্গ নেতারা কালোদেরই স্বার্থ দেখে। এটা ঠিক নয়।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল উয়োম্যান রিটা জোসেফ।
ফান্ড রেইজিয়ের পরপরই মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে মিলিত হন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্তোনিও ডেলগাডোর। এসময় তার সাথে ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস এবং ব্রুকলিন থেকে নির্বাচিত সিটি কাউন্সিল সদস্য রিটা জোসেফ। এছাড়াও সেখানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্তোনিও ডেলগাডোকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘ভালো’র প্রধান শাহরিয়ার রহমান। তিনি বলেন, হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট এই অত্যন্ত মেধাবী অ্যাটর্নি আমাদের কমিউনিটির হার্টবিট সম্পর্কে জানেন। তিনি জানেন ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটির সুবিধা ও সমস্যার কথা। এমন একজন ব্যক্তিকেই আমরা গভর্নর হিসাবে দেখতে চাই।
অ্যান্তোনিও ডেলগাডো বলেন, আমাদের স্টেটের সবচেয়ে বড় দুরবস্থা হলো সবচেয়ে সুবিধাভোগীরা সরকারের কাছাকাছি যেতে পারে। অন্যরা বঞ্চিত হয়। আমি এই দেয়াল ভাঙতে চাই। আলবেনি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই।
ডেলগাডো গভর্নর বলেন, আমি আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য দেখছি- তা আমাকে আশাবাদী করে তুলছে। আপনারা যদি সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের নিজেকে চিনতে হবে আগে। জানতে হবে কে আমি, কে আপনি? অন্যের জীবনযাপন ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত করা ঠিক নয়।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর আরো বলেন, আমি গভর্নর হলে আপনাদের মত কম্যুনিটি নিয়ে কাজ করব। কারণ আপনারা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিজেদের কম্যুনিটিকে যেভাবে গড়ে তুলছেন, সেই প্রক্রিয়া আমরা স্টেটের উন্নয়নে প্রয়োগ করব। সেই জন্য সিটি থেকে হেইট ক্রাইমকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করব।
তিনি বলেন, আমার যে নীতি আগেও ছিল এখনো আছে, তাহলো জনগণ সবার আগে- ‘পিপল ফাস্টর্’, পাওয়ার বা ক্ষমতা নয়। জনগণ পাশে থাকলে অন্য কিছু চিন্তা করতে হয় না। সেই জন্য জনগণের প্রতি মনোযোগ দেয়াই আমার মূল লক্ষ্য। তবে যারা ধনী, সম্পদশালী তাদের তেলে মাথায় তেল দিতে চাই না।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, আমি জানি পলিটিক্সের মধ্যেই আমি আছি। কিন্তু কোনোভাবেই অতিরিক্ত পলিটিক্স চাই না।
মূলধারার বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার গিয়াস আহমেদ প্রশ্ন করেন, গভর্নর হোকুল আমাদের কাছ থেকে হোমকেয়ার বিজনেস ছিনিয়ে নিয়েছেন। গভর্নর হলে আপনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন? উত্তরে মি. ডেলগাডো বলেন, যখন একটার পর একটা ভুল হতে থাকে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক আমার কাছে সব কিছু। আমি নিউইয়র্ক বাদ দিয়ে কিছুই ভাবি না। এই স্টেট এবং এই স্টেটের জনগণের জন্য যা মঙ্গলজনক আমি তা করব।
অপর মূলধারার কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার গত ২৪ জুনের মেয়র প্রাইমারিকে সামনে রেখে প্রশ্ন করেন এটা নির্বাচন ছিল না, আমাদের কাছে এটা এসেছিল অনেক বড় ইস্যু নিয়ে। তাই নির্বাচনকে আমরা মুভমেন্টে পরিণত করেছিলাম। আমার গত ২৫ বছরের কমিউনিটি একটিভিজমে এমন এর আগে দেখিনি। আপনি কী মনে করেন?
উত্তরে অ্যান্তোনিও ডেলগাডো বলেন, যেভাবে ইসলামোফোবিয়া বেড়ে গেছে, তা আমাদের সকলের জন্য লজ্জাজনক। আমরা চুপ থাকলে চলবে না। সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, মামদানি জনগণকে বুঝিয়ে দিয়েছে কী করতে হবে। কী করা উচিত। আপনারা মামদানিকে ভোট দিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাতেই হবে। এইসাথে পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস বলেন, মামদানির ক্যাম্পেইন এ্যাপ্রোচ সঠিক ছিল বলেই তিনি জয়ী হয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা কৃষ্ণাঙ্গ নেতারা কালোদেরই স্বার্থ দেখে। এটা ঠিক নয়।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল উয়োম্যান রিটা জোসেফ।