যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক এড়াতে আলোচনা অব্যাহত, চলবে শুক্রবারও

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৮ , অনলাইন ভার্সন
বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনভর আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও চলমান শুল্ক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময়) আলোচনা পুনরায় শুরু হয় এবং শুক্রবারও তা চলবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন শেখ বশিরউদ্দিন। ঢাকায় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকমবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও আলোচনায় অংশ নেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউএসটিআর, কৃষি, শ্রম, পরিবেশ, অর্থ, উদ্ভাবন ও মেধাস্বত্ব এবং বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতের সিনিয়র কর্মকর্তারা।

গত ২ এপ্রিল স্থানীয় শিল্প রক্ষার যুক্তিতে শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ তালিকায় বাংলাদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং নতুন করে ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়। এতে বাংলাদেশের গড় শুল্কহার দাঁড়াতে যাচ্ছে ৫০ শতাংশে, যা সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখা হলেও শেষ মুহূর্তে তা পরিবর্তনের কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং ৭ জুলাই বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে ট্রাম্প এক চিঠিতে জানিয়ে দেন, ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো ওই চিঠিতে ট্রাম্প আলোচনার দরজা খোলা রাখার বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যেসব দেশ আরও ছাড় দিতে রাজি, তাদের প্রতি আমরা সদয় হবো। পরিস্থিতি বুঝে কিছুটা সমন্বয় করা যেতে পারে... আমরা অবিচার করব না।’

প্রথম দফার আলোচনায় কোনো সুবিধা আদায় না করতে পারলেও এবার দ্বিতীয় দফায় নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাড়তি শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রপ্তানি খাতকে রক্ষার লক্ষ্যেই চলছে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078