বঙ্গবন্ধু’র মুছে দেওয়া ম্যুরালের সামনে হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫৩ , অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুছে ফেলা একটি ম্যুরালের পাদদেশে নির্মিত হচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। গত রোববার (১৩ জুলাই) নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আগামী রোববারের (২০ জুলাই) মধ্যে কাজ শেষ করে ৫ আগস্ট সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দিতে চায় রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১।
 
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সামনেই জায়গাটি জেলা পরিষদের। ৫ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনে দাবি, এটিই দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল। নির্মাণ শেষে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় অংশ নিতে রাজশাহী এসে ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল এবং তৎকালীন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ ফুট, চওড়া ৪০ ফুট। ম্যুরালের সীমানাপ্রাচীরের দুই পাশে ৭০০ বর্গফুট টেরাকাটার কাজ করা হয়। এক পাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের লোকজ সংস্কৃতির নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। টেরাকাটায় ছিল ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যও। ল্যান্ডস্কেপিংয়ে গ্রানাইট দিয়ে সজ্জিত করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই ম্যুরালও আক্রান্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় টেরাকাটাও। তবে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা যায়নি।

পরে গেল ফেব্রুয়ারিতে ম্যুরাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সাদা রং দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। প্রতিকৃতি ছাড়া ম্যুরালটি এখনো দাঁড়িয়ে।

আজ ১৬ জুলাই (বুধবার) সকালে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ম্যুরালের পাদদেশে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পেছনে দাঁড়িয়ে প্রতিকৃতি মুছে ফেলা ম্যুরাল। ম্যুরালের নিচের অংশে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। দুপাশে সীমানাপ্রাচীরের সঙ্গে থাকা টেরাকাটার কিছু অংশ তুলে ফেলা হয়েছে। ওপরের অংশে লেখা, ‘জালেমের ওপর অভিশাপ’।

সেখানে ছিলেন ঠিকাদারের ব্যবস্থাপক মো. সোহান। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘লেখেন মুনলাইট এন্টারপ্রইজ।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘এই নামটা কেটে দেন। এখনো টেন্ডার হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হচ্ছে। খরচাপাতি কত হবে তাও জানি না।’

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম জানান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এর ভিত্তিতে দেশের ৬৪ জেলায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে দ্রুত শেষ করার জন্য কাজ হচ্ছে ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম)। এটি নির্মাণ করতে ১২ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।

তিনি জানান, রাজশাহীর জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি হবে ১৮ ফুট উচ্চতার। গণ-অভ্যুত্থানে রাজশাহীর যতজন শহীদ হয়েছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকবে এর ওপরে। গেজেট থেকে তাঁরা পাঁচজনের নাম পেয়েছেন। এ ছাড়া জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জনপ্রিয় সব স্লোগান লিখে দেওয়া হবে স্মৃতিস্তম্ভে। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করে আগামী ৫ আগস্ট সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁরা স্মৃতিস্মম্ভটি উন্মুক্ত করে দিতে চান।

স্থান নির্বাচনের বিষয়ে প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম জানান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছিলেন। আলোচনায় কয়েকটি স্থানের কথা উঠে আসে। তবে সিঅ্যান্ডবি মোড়ের এই স্থানই চূড়ান্ত হয়।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078