
ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য চাউর হলো। ইরান দাবি করেছে, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে যে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রস্তুতির আড়াল হিসেবে কূটনৈতিক প্রস্তাব ব্যবহার করছে। ইরানের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি এই তথ্য জানিয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে প্রেস টিভি জানিয়েছে, আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ওয়াশিংটন শান্তি নয়, যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য আলোচনা চায়।
ইরানি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি তাই হয় তাহলে সময় নষ্ট করার কোনো কারণ দেখছি না বরং আমরা সংঘাতের জন্য প্রস্তুতির উপর মনোনিবেশ করব।
কর্মকর্তারের বরাতে প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরান মনে করে আলোচনার উদ্দেশ্য হলো পরবর্তী যুদ্ধে ইসরায়েলের দুর্বলতা পুষিয়ে নিতে ইরানকে নিরস্ত্র করা।
নাম প্রকাশ না করা এই কর্মকর্তার বরাতে প্রেস টিভি আরও জানায়, যেকোনো নতুন আলোচনার (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুতর ও বাস্তবসম্মত নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেন নিশ্চিত করা যায় যে প্রক্রিয়াটি নিরাপত্তা প্রতারণার আবরণ নয়।
তবে ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গত মাসে মার্কিন হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অপূরণীয় আঘাত পেয়েছে এবং তেহরানের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো নেই।
প্রেস টিভিকে ইরানের এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের অবশ্যই এই নিশ্চয়তা পেতে হবে যে স্টিভ উইটকফ (ট্রাম্পের বিশেষ দূত) যেন যুদ্ধের জন্য আগুন জ্বালানোর পাত্র না হয়ে সমাধানের জন্য একজন মধ্যস্থতাকারী হন।
'আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকবার সুযোগ দিতে চাই এবং শুনতে চাই যে তাদের এই বিষয়ে কী বলার আছে এবং তাদের বাস্তবিক পদক্ষেপ কী হয়', বলেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের সময় আলোচনার জন্য তেহরানকে দুই সপ্তাহের দেন ট্রাম্প। তবে সময়সীমা শেষ না হতেই আকস্মিক তেহরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় ২২ জুন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
এরপর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না ইরান।
ঠিকানা/এসআর
১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে প্রেস টিভি জানিয়েছে, আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ওয়াশিংটন শান্তি নয়, যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য আলোচনা চায়।
ইরানি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যদি তাই হয় তাহলে সময় নষ্ট করার কোনো কারণ দেখছি না বরং আমরা সংঘাতের জন্য প্রস্তুতির উপর মনোনিবেশ করব।
কর্মকর্তারের বরাতে প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরান মনে করে আলোচনার উদ্দেশ্য হলো পরবর্তী যুদ্ধে ইসরায়েলের দুর্বলতা পুষিয়ে নিতে ইরানকে নিরস্ত্র করা।
নাম প্রকাশ না করা এই কর্মকর্তার বরাতে প্রেস টিভি আরও জানায়, যেকোনো নতুন আলোচনার (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুতর ও বাস্তবসম্মত নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেন নিশ্চিত করা যায় যে প্রক্রিয়াটি নিরাপত্তা প্রতারণার আবরণ নয়।
তবে ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গত মাসে মার্কিন হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অপূরণীয় আঘাত পেয়েছে এবং তেহরানের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করার জন্য কোনও তাড়াহুড়ো নেই।
প্রেস টিভিকে ইরানের এই সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের অবশ্যই এই নিশ্চয়তা পেতে হবে যে স্টিভ উইটকফ (ট্রাম্পের বিশেষ দূত) যেন যুদ্ধের জন্য আগুন জ্বালানোর পাত্র না হয়ে সমাধানের জন্য একজন মধ্যস্থতাকারী হন।
'আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকবার সুযোগ দিতে চাই এবং শুনতে চাই যে তাদের এই বিষয়ে কী বলার আছে এবং তাদের বাস্তবিক পদক্ষেপ কী হয়', বলেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের সময় আলোচনার জন্য তেহরানকে দুই সপ্তাহের দেন ট্রাম্প। তবে সময়সীমা শেষ না হতেই আকস্মিক তেহরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় ২২ জুন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
এরপর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না ইরান।
ঠিকানা/এসআর