ভিনদেশের নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্য না করতে ট্রাম্পের নির্দেশনা

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০১:২৫ , অনলাইন ভার্সন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বিদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কূটনীতিকদের ভিনদেশের নির্বাচন নিয়ে মতামত দিতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে চলল।

এদিকে রয়টার্সের হাতে আসা রুবিওর অভ্যন্তরীণ নোট থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিশ্বজুড়ে সব মার্কিন দূতাবাসে তারবার্তা পাঠানো হয়। বার্তাটি ‘সংবেদনশীল’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ‘সুস্পষ্ট ও জরুরি’ স্বার্থ জড়িত না থাকলে এখন থেকে এ দপ্তর নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো বিবৃতি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেবে না। যখন কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা যথাযথ বলে বিবেচিত হবে, তখন আমাদের বক্তব্য হবে সংক্ষিপ্ত।

নির্বাচন-সংক্রান্ত বক্তব্য কেমন হতে পারে তার একটি উদাহরণ দেওয়া হয়। বলা হয়, যথাযথ বলে বিবেচিত হলে মন্তব্যের ক্ষেত্রে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো যেতে পারে। সে সঙ্গে প্রয়োজনে অভিন্ন পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের উল্লেখ করার মধ্যে তা সীমাবদ্ধ থাকবে।

বার্তায় আরও বলা হয়, শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে অথবা দপ্তরের মুখপাত্র নির্বাচন-সংক্রান্ত যেকোনো মন্তব্য করবেন। কোনো মার্কিন কূটনীতিক শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া বিবৃতি দিতে পারবেন না। বিদেশের কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর মন্তব্য করা থেকে কূটনীতিকদের বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সৌদি আরবের রিয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ভাষণ দেন। সেই ভাষণের উল্লেখ নির্দেশনায় রয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কীভাবে শাসন চলবে তা ‘পশ্চিমা হস্তক্ষেপকারীরা’ বলে দিচ্ছে। এমনটা আর চলবে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন অংশীদারত্ব গড়তে চাচ্ছে। আগের পথে আর হাঁটছে না।

এই নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। ই-মেইলে তিনি বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর প্রশাসন জোর দিচ্ছে। তারবার্তায় বিষয়টিরই প্রতিফলন ঘটেছে।

ঠিকানা/এনআই
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078