
ভুলে যাওয়া মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা। বিশেষ করে বড় হয়ে ওঠার পর নতুন কিছু শেখা যেমন কঠিন, তেমনি তা মনে রাখাও আরও চ্যালেঞ্জিং। পড়াশোনার চাপ, পেশাগত দায়িত্ব বা ব্যক্তিগত ব্যস্ততার ভিড়ে অনেক কিছুই ভুলে যাই আমরা। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, আমাদের মস্তিষ্ককে খানিকটা কৌশলে ‘ট্রেইন’ করলেই স্মরণশক্তি হতে পারে আগের চেয়েও ধারালো। আর এই কৌশলই হলো ‘২-৭-৩০ রুল’ ।
জার্মান মনোবিজ্ঞানী হারম্যান এববিংহাউস ১৮৮০ সালের দিকে প্রথম তুলে ধরেন আমাদের ভুলে যাওয়ার এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে, যেটি পরিচিত ‘ফরগেটিং কার্ভ’ নামে। গবেষণায় দেখা যায়, শেখার পরের প্রথম কয়েক দিনেই আমরা বেশিরভাগ তথ্য ভুলে যাই। এক মাস পেরিয়ে গেলে, মোট শেখা তথ্যের মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশই আমাদের মনে থাকে।
তবে এই ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এববিংহাউসের পরামর্শ অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে বারবার শেখা ও মনে করা প্রক্রিয়া মস্তিষ্ককে মনে রাখতে সাহায্য করে। একবার শেখার পর কয়েকদিন পরপর তা রিভিশন দিলে, মস্তিষ্ক সেই তথ্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
এই পদ্ধতিকে আরও সহজভাবে বাস্তবায়ন করেছেন হিলেল নামের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভাষা শিক্ষার্থী, যিনি “২-৭-৩০ রুল” নামে একটি নিয়ম তৈরি করেছেন। নিয়মটি অনুযায়ী, আপনি যে তথ্য শিখেছেন তা প্রথমে শেখার দুই দিন পর, তারপর সাত দিন পর এবং তারপর ৩০ দিন পর আবার স্মরণ করে দেখবেন আপনি কতটুকু মনে রাখতে পেরেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি বই পড়ে থাকেন, তবে তা পড়ে একটি এক পৃষ্ঠার সারাংশ লিখে নিন। এরপর ২, ৭ এবং ৩০ দিন পর সেই সারাংশ আবার লিখে দেখুন, তবে নোট না দেখে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কোন তথ্য মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে এবং কোন অংশ আরও রিভিশনের দরকার।
এই নিয়মটি শুধুমাত্র ভাষা শেখার ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রফেশনাল পরীক্ষা, কোড শেখা বা যেকোনো ধরনের তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর। আপনি চাইলে স্মার্টফোন বা ক্যালেন্ডারে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন এই দিনগুলোতে রিভিশনের জন্য।
শুধুমাত্র মাত্র তিনটি নির্দিষ্ট দিনে রিভিশনের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো সম্ভব— শুনতে সহজ মনে হলেও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বেশ মজবুত। মস্তিষ্কের ভুলে যাওয়ার স্বাভাবিকতা বুঝে সেটিকে জয় করাই এই কৌশলের মূল উদ্দেশ্য। প্রযুক্তি বা স্মার্ট অ্যাপের ওপর ভরসা না রেখে যদি একটু কৌশলে নিজের মেমোরি শার্প করা যায়, তবে শেখা হবে আরও টেকসই, আরও কার্যকর। স্মৃতিশক্তিকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে ২-৭-৩০ কৌশলটি অনুসরণ করুন। সূত্র: এইএনসি
ঠিকানা/এএস
জার্মান মনোবিজ্ঞানী হারম্যান এববিংহাউস ১৮৮০ সালের দিকে প্রথম তুলে ধরেন আমাদের ভুলে যাওয়ার এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে, যেটি পরিচিত ‘ফরগেটিং কার্ভ’ নামে। গবেষণায় দেখা যায়, শেখার পরের প্রথম কয়েক দিনেই আমরা বেশিরভাগ তথ্য ভুলে যাই। এক মাস পেরিয়ে গেলে, মোট শেখা তথ্যের মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশই আমাদের মনে থাকে।
তবে এই ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এববিংহাউসের পরামর্শ অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে বারবার শেখা ও মনে করা প্রক্রিয়া মস্তিষ্ককে মনে রাখতে সাহায্য করে। একবার শেখার পর কয়েকদিন পরপর তা রিভিশন দিলে, মস্তিষ্ক সেই তথ্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
এই পদ্ধতিকে আরও সহজভাবে বাস্তবায়ন করেছেন হিলেল নামের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভাষা শিক্ষার্থী, যিনি “২-৭-৩০ রুল” নামে একটি নিয়ম তৈরি করেছেন। নিয়মটি অনুযায়ী, আপনি যে তথ্য শিখেছেন তা প্রথমে শেখার দুই দিন পর, তারপর সাত দিন পর এবং তারপর ৩০ দিন পর আবার স্মরণ করে দেখবেন আপনি কতটুকু মনে রাখতে পেরেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি বই পড়ে থাকেন, তবে তা পড়ে একটি এক পৃষ্ঠার সারাংশ লিখে নিন। এরপর ২, ৭ এবং ৩০ দিন পর সেই সারাংশ আবার লিখে দেখুন, তবে নোট না দেখে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কোন তথ্য মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে এবং কোন অংশ আরও রিভিশনের দরকার।
এই নিয়মটি শুধুমাত্র ভাষা শেখার ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রফেশনাল পরীক্ষা, কোড শেখা বা যেকোনো ধরনের তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর। আপনি চাইলে স্মার্টফোন বা ক্যালেন্ডারে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখতে পারেন এই দিনগুলোতে রিভিশনের জন্য।
শুধুমাত্র মাত্র তিনটি নির্দিষ্ট দিনে রিভিশনের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো সম্ভব— শুনতে সহজ মনে হলেও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বেশ মজবুত। মস্তিষ্কের ভুলে যাওয়ার স্বাভাবিকতা বুঝে সেটিকে জয় করাই এই কৌশলের মূল উদ্দেশ্য। প্রযুক্তি বা স্মার্ট অ্যাপের ওপর ভরসা না রেখে যদি একটু কৌশলে নিজের মেমোরি শার্প করা যায়, তবে শেখা হবে আরও টেকসই, আরও কার্যকর। স্মৃতিশক্তিকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে ২-৭-৩০ কৌশলটি অনুসরণ করুন। সূত্র: এইএনসি
ঠিকানা/এএস