
নিউইয়র্কে ‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া পূরণে আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে।
‘দেই-দিচ্ছি’ বলে বিগত সকল সরকারের মত প্রবাসীরা এই সরকারের কাছেও অবহেলিত। সেমিনারে প্রবাসীদের দাবি প্রসঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচেনাধীন রয়েছে।
প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল ‘নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’, যেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি সেন্টারে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভোটাধিকারের পূর্বশর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র না থাকলে ভোটাধিকারের কোন প্রয়োজন নেই। বিগত সরকারের আমলে ভোটের কোন প্রয়োজন ছিল না। এমন কি- গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষের যখন কথা বলার অধিকার ছিল না, তখন প্রবাসীরা সোচ্চার ছিলেন। তাদের ভূমিকা খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তাই প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এখন সময়ের দাবি। জাতীয় সংসদেও প্রবাসীদের জন্যে কোটা সরক্ষণের দাবি জানান বক্তারা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রবাসীদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ সমীপে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫টি দেশে কাজ চলছে। খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্রে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিয়ে ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে তার দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে আরা বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা ও প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ খান তাসের, প্রবীণ প্রবাসী নাসির আলী খান পল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, টাস্ট্রি বোর্ড সদস্য আহসান হাবীব, মূলধারার রাজনীতিক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের সিইও মোহাম্মদ মালেক, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার অ্যাডভোকেট এন মজুমদার, বিশিষ্ট রাজনীতিক শামসুদ্দীন আজাদ ও আব্দুস সবুর, জাকির চৌধুরী সিপিএ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল চৌধুরী লিটন ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট সৈয়দ আল আমীন রাসেল।
বক্তারা বলেন, একটি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্য আর সংস্কারের মধ্যদিয়ে চলছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে দেশ গড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদান কম নয়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখন ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সময়ে হয়েছে প্রবাসীদের মূল্যায়নের। প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার এখন সময়ের দাবী। তবে কিভাবে, কোন সহজ পদ্ধতিতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া যায় তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌছতে হবে।
সেমিনারে কোন কোন বক্তা প্রবাসীদের সত্যিকারের সম্মান জানাতে জাতীয় সংসদে অন্তত ১০টি আসন ‘প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের। তবে এটি পড়ে শোনান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ জহিরুল হক বশির। এরপর সাম্প্রতিককালে দেশ ও বিদেশে নিহত সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সেমিনারে নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক এবং ক্লাব সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
‘দেই-দিচ্ছি’ বলে বিগত সকল সরকারের মত প্রবাসীরা এই সরকারের কাছেও অবহেলিত। সেমিনারে প্রবাসীদের দাবি প্রসঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচেনাধীন রয়েছে।
প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল ‘নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’, যেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি সেন্টারে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভোটাধিকারের পূর্বশর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র না থাকলে ভোটাধিকারের কোন প্রয়োজন নেই। বিগত সরকারের আমলে ভোটের কোন প্রয়োজন ছিল না। এমন কি- গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষের যখন কথা বলার অধিকার ছিল না, তখন প্রবাসীরা সোচ্চার ছিলেন। তাদের ভূমিকা খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তাই প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এখন সময়ের দাবি। জাতীয় সংসদেও প্রবাসীদের জন্যে কোটা সরক্ষণের দাবি জানান বক্তারা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রবাসীদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ সমীপে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫টি দেশে কাজ চলছে। খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্রে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিয়ে ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে তার দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে আরা বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা ও প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ খান তাসের, প্রবীণ প্রবাসী নাসির আলী খান পল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, টাস্ট্রি বোর্ড সদস্য আহসান হাবীব, মূলধারার রাজনীতিক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের সিইও মোহাম্মদ মালেক, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার অ্যাডভোকেট এন মজুমদার, বিশিষ্ট রাজনীতিক শামসুদ্দীন আজাদ ও আব্দুস সবুর, জাকির চৌধুরী সিপিএ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল চৌধুরী লিটন ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট সৈয়দ আল আমীন রাসেল।
বক্তারা বলেন, একটি গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্য আর সংস্কারের মধ্যদিয়ে চলছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে দেশ গড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদান কম নয়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখন ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সময়ে হয়েছে প্রবাসীদের মূল্যায়নের। প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার এখন সময়ের দাবী। তবে কিভাবে, কোন সহজ পদ্ধতিতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া যায় তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌছতে হবে।
সেমিনারে কোন কোন বক্তা প্রবাসীদের সত্যিকারের সম্মান জানাতে জাতীয় সংসদে অন্তত ১০টি আসন ‘প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের। তবে এটি পড়ে শোনান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ জহিরুল হক বশির। এরপর সাম্প্রতিককালে দেশ ও বিদেশে নিহত সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সেমিনারে নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক এবং ক্লাব সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।