
নিউইয়র্ক সিটির ব্যস্ত এলাকা ম্যানহাটনের মিডটাউনের একটি ভবনে বন্দুক হামলায় নিহত বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামকে ‘বীর’ আখ্যা দিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেছেন, আমরা তাকে যে কাজ করতে বলেছিলাম, তিনি সেই কাজটিই করছিলেন। তিনি নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেঁচে আছেন - তিনি একজন বীর।
নিউইয়র্ক পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছে, কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এবং সমগ্র নিউইয়র্কবাসীর শোকে শরিক। ৪৭তম প্রিসিঙ্কটের ৩৬ বছর বয়সী একজন স্বামী এবং বাবা দিদারুল নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে সাড়ে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। তিনি তার স্ত্রী, দুই ছোট ছেলে এবং এক অনাগত শিশুকে রেখে গেছেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ আরও বলেছে, এই ভয়াবহ ঘটনায় তিনজন নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটে। আমাদের হৃদয় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ এই গভীর ক্ষতির সময়ে শোকাহত সকলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অফিসার দিদারুলের সেবা এবং ত্যাগ কখনো ভোলা যাবে না।
এদিকে ম্যানহাটন হাসপাতাল থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘তিনি জীবন রক্ষা করছিলেন। তিনি নিউইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরের আসল ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।’
মেয়র জানান, হামলার পর তিনি দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি তার বাবার একমাত্র ছেলে ছিলেন। আমি আমার সন্তান জর্ডানের কথা ভাবছি...। এত বড় ক্ষতি অকল্পনীয়।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাস ভেগাস থেকে একজন বন্দুকধারী গাড়ি চালিয়ে একটি অফিস ভবনের বাইরে গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে এবং নিজেও আত্মহত্যা করে। তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। দিদারুলই প্রথম মারা যান।
দিদারুলের বেসমেন্টের ভাড়াটে ৪৯ বছর বয়সী শুয়েব চৌধুরী বলেছেন, তিনি পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। সে খুব ছোট ছিল। আজ সকালে আমি তাকে দেখেছি...১২ ঘণ্টা পরে মারা গেল।’
দিদারুলের ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু ৩১ বছর বয়সী মারজানুল করিম বলেন, দিদারুল (নিউইয়র্কে) বাংলাদেশি কমিউনিটির তরুণদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি একজন অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন। একটি স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি পরিবারকে সাহায্য করতে এবং আরও ভালো অবস্থানে থাকতে চেয়েছিলেন।
মারজানুল করিম আরও বলেন, নিরাপত্তার কাজ করার সময় তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়, আমার মা তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি একটি স্কুলে নিরাপদ চাকরি ছেড়ে দিয়েছ...পুলিশ হওয়া বিপজ্জনক। তুমি কেন এমন করলে?’ তিনি মাকে বলেছিলেন, তার পরিবারের জন্য এমন একটি উত্তরাধিকার রেখে যেতে চান, যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।
নিউইয়র্ক পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছে, কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এবং সমগ্র নিউইয়র্কবাসীর শোকে শরিক। ৪৭তম প্রিসিঙ্কটের ৩৬ বছর বয়সী একজন স্বামী এবং বাবা দিদারুল নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে সাড়ে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। তিনি তার স্ত্রী, দুই ছোট ছেলে এবং এক অনাগত শিশুকে রেখে গেছেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ আরও বলেছে, এই ভয়াবহ ঘটনায় তিনজন নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটে। আমাদের হৃদয় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ এই গভীর ক্ষতির সময়ে শোকাহত সকলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অফিসার দিদারুলের সেবা এবং ত্যাগ কখনো ভোলা যাবে না।
এদিকে ম্যানহাটন হাসপাতাল থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘তিনি জীবন রক্ষা করছিলেন। তিনি নিউইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরের আসল ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।’
মেয়র জানান, হামলার পর তিনি দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি তার বাবার একমাত্র ছেলে ছিলেন। আমি আমার সন্তান জর্ডানের কথা ভাবছি...। এত বড় ক্ষতি অকল্পনীয়।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাস ভেগাস থেকে একজন বন্দুকধারী গাড়ি চালিয়ে একটি অফিস ভবনের বাইরে গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে এবং নিজেও আত্মহত্যা করে। তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। দিদারুলই প্রথম মারা যান।
দিদারুলের বেসমেন্টের ভাড়াটে ৪৯ বছর বয়সী শুয়েব চৌধুরী বলেছেন, তিনি পরিবারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। সে খুব ছোট ছিল। আজ সকালে আমি তাকে দেখেছি...১২ ঘণ্টা পরে মারা গেল।’
দিদারুলের ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু ৩১ বছর বয়সী মারজানুল করিম বলেন, দিদারুল (নিউইয়র্কে) বাংলাদেশি কমিউনিটির তরুণদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি একজন অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন। একটি স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি পরিবারকে সাহায্য করতে এবং আরও ভালো অবস্থানে থাকতে চেয়েছিলেন।
মারজানুল করিম আরও বলেন, নিরাপত্তার কাজ করার সময় তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময়, আমার মা তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি একটি স্কুলে নিরাপদ চাকরি ছেড়ে দিয়েছ...পুলিশ হওয়া বিপজ্জনক। তুমি কেন এমন করলে?’ তিনি মাকে বলেছিলেন, তার পরিবারের জন্য এমন একটি উত্তরাধিকার রেখে যেতে চান, যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।