
বাংলাদেশে অটোরিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর নীতিমালা আসছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় সেইসঙ্গে করা হচ্ছে নানা নিয়ম।
মহাসড়ক বাদে নির্ধারিত রুটে চলতে পারবে এসব যানবাহন। তবে কত সংখ্যক অটোরিকশা চলবে, তা ঠিক করবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি মধ্যম গতির ও পাঁচটি ধীরগতির অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন। যাত্রাপথের ভাড়া নির্ধারণ করবে বিআরটিএ এবং এক বছরের মধ্যে সব অটোরিকশাকে নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করতে হবে। মধ্যম গতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার ও ধীরগতির জন্য ৩০ কিলোমিটার নির্ধারিত হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক নিয়মের মধ্যে আনতে ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’–এর খসড়া করেছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিবন্ধন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। কোনো এলাকায় কত সংখ্যক অটোরিকশা নিবন্ধন পাবে বা চলাচল করবে, সেই সীমা নির্ধারণ করবে সড়ক পরিবহণ আইন অনুযায়ী গঠিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি।
কোনো ব্যক্তি মধ্যম গতির ৩টি ও ধীরগতির ৫টির বেশি অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন না। এ যানগুলো কোথায় চলাচল করতে পারবে, কোথায় পারবে না—সেটিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জানা যায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী, এ জাতীয় মোটরযানকে ফিটনেস সনদ নিতে হবে। অটোরিকশা চালকেরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসবেন।
মধ্যম ও স্বল্পগতির অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক) রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও আন্দোলনের মুখে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারগুলোর জন্য কোনো আইন, নীতিমালা বা বিধিবিধানও নেই।
কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিআরটিএ বলছে, সারা দেশে ৬০ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রয়েছে। মনে করা হয়, এর মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে, কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত ডিজাইন অনুসরণ করে এসব যানবাহন তৈরি করে। সড়কের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ ধরনের যানের সংখ্যা নির্ধারণ করে মহাসড়ক ছাড়া সুনির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও সড়কের ধারণক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহসানুল হক বলেন, বহুসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি।
সচিব বলেন, থ্রি-হুইলার বা অটোরিকশাগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে একটি নীতিমালা করার দাবি ছিল। আমরা একটি নীতিমালার খসড়া করেছি। বাস্তবতার নিরিখেই খসড়াটি করা হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত নীতিমালাটি হলে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে বিশৃঙ্খলা, তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।
নীতিমালার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বল্প নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতাসম্পন্ন, ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের সঙ্গে একই মহাসড়কে চলাচলের সময় গতির পার্থক্যের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচল করায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে যা ভ্রমণ সময় ও বিদ্যুতের অপচয় বাড়াচ্ছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএ নির্ধারিত নমুনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার তৈরি হতে হবে এবং এর টাইপ বিআরটিএ অনুমোদিত হতে হবে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারে ব্যবহৃত দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক মোটর, কন্ট্রোলার, গিয়ার বক্স, এক্সেল, হুইল রিম, ব্রেক, স্পিডোমিটার, হেডলাইট, শক অ্যাবজরভার, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি বিএসটিআই অনুমোদিত হতে হবে। তবে বিএসটিআই এ ধরনের মোটরযানের যন্ত্রাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিআরটিএর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনুমোদিত মডেল বা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারককে বিআরটিএর তালিকাভুক্ত হতে হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত না হয়ে কোনো প্রস্তুতকারী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারবে না। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের মোটরযান বা এর যন্ত্রাংশ বাজারজাত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, উৎপাদনকারী অথবা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো আমদানিকারক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ আমদানি কিংবা বাজারজাত করলে বিআরটিএর অনুমোদন নিতে হবে। তবে শুধুমাত্র নতুন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা বিএসটিআই অনুমোদিত মানসম্পন্ন নতুন যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে। এ জাতীয় মোটরযানের নির্দিষ্ট স্থানে খোদাই করা বডি বা চেসিস নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযানের ব্যাটারি চার্জের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বৈদ্যুতিক যান চার্জিং নির্দেশিকা, ২০২১’ অনুসরণ করে নির্ধারিত স্থানে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে।
বিআরটিএ নিবন্ধন লাগবে
সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটির নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী বিআরটিএ মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা নিবন্ধন দেবে। তবে সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, সড়ক নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সীমা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি নিজের নামে মধ্যম গতির তিনটির বেশি বা গঠিত পরিবহণ কোম্পানির নামে ২৫টির বেশি অটোরিকশা ক্রয় ও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। অন্যদিকে ধীরগতির অটোরিকশার ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি কিনতে ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অনুমোদিত ডিলার বা বিক্রেতা নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যসম্পন্ন না করে মধ্যম ও ধীরগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন না।
এ জাতীয় মোটরযান বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধীরগতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার, প্রস্থ ১.৫ মিটার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উচ্চতা ২.১ মিটার, সর্বোচ্চ ওজন (ব্যাটারিসহ) ৫০০ কেজি হবে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত হারে কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ, হালনাগাদ ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন আবশ্যক হবে।
সর্বোচ্চ গতিসীমা
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, মোটরক্যাব রিকশা ও অটো-টেম্পু এবং থ্রি-হুইল ভ্যান সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ধীরগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
এ জাতীয় মোটরযানের ইকনোমিক লাইফ ‘সড়ক পরিবহণ আইন–২০১৮’ এবং ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
কোথায় চলাচল করবে, কোথায় চলতে পারবে না
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। তবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে।
মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। সিটি করপোরেশন ও ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভার ভেতরে মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, অটো-টেম্পু ও মোটরক্যাব রিকশা এবং থ্রি-হুইল ভ্যান চলাচল করতে পারবে। এর বাইরে জেলা ও উপজেলার নির্ধারিত রুটেও চলাচল করতে পারবে।
ধীরগতির অটোরিকশা শুধু জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে চলাচল করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি এ জাতীয় মোটরযানের সংখ্যার সীমা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রুট নির্ধারণ করবে বলে জানানো হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিমালায়।
অপরাধের শাস্তি কী
বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করে অটোরিকশা মোটরযান চলাচল করবে এবং এর কোনো ধরনের ব্যত্যয় হলে ‘সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮’-এ বর্ণিত অপরাধের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটির পরামর্শে বিআরটিএ জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ জাতীয় মোটরযানের অভ্যন্তরে যাত্রীর দৃশ্যমান স্থানে মোটরযানের মালিক ও চালকের মোবাইল ফোন নম্বর প্রদর্শন করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযান চালকের জন্য বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। চালনার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই চালকের সঙ্গে থাকতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরাপদ মডেলে রূপান্তরে সময় এক বছর
বিদ্যমান অনিরাপদ ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে স্বউদ্যোগে নিরাপদ মডেলের থ্রি-হুইলার মোটরযানে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় পার হওয়ার পর অননুমোদিত মোটরযানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষিকাজে ও নৌযানে ব্যবহৃত ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিন দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা অননুমোদিত যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি উপযুক্ত অনুমোদিত যানবাহন চালুর উদ্যোগ নেবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঠিকানা/এসআর
মহাসড়ক বাদে নির্ধারিত রুটে চলতে পারবে এসব যানবাহন। তবে কত সংখ্যক অটোরিকশা চলবে, তা ঠিক করবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি মধ্যম গতির ও পাঁচটি ধীরগতির অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন। যাত্রাপথের ভাড়া নির্ধারণ করবে বিআরটিএ এবং এক বছরের মধ্যে সব অটোরিকশাকে নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করতে হবে। মধ্যম গতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার ও ধীরগতির জন্য ৩০ কিলোমিটার নির্ধারিত হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক নিয়মের মধ্যে আনতে ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’–এর খসড়া করেছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিবন্ধন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। কোনো এলাকায় কত সংখ্যক অটোরিকশা নিবন্ধন পাবে বা চলাচল করবে, সেই সীমা নির্ধারণ করবে সড়ক পরিবহণ আইন অনুযায়ী গঠিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি।
কোনো ব্যক্তি মধ্যম গতির ৩টি ও ধীরগতির ৫টির বেশি অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন না। এ যানগুলো কোথায় চলাচল করতে পারবে, কোথায় পারবে না—সেটিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জানা যায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী, এ জাতীয় মোটরযানকে ফিটনেস সনদ নিতে হবে। অটোরিকশা চালকেরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসবেন।
মধ্যম ও স্বল্পগতির অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক) রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও আন্দোলনের মুখে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারগুলোর জন্য কোনো আইন, নীতিমালা বা বিধিবিধানও নেই।
কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিআরটিএ বলছে, সারা দেশে ৬০ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রয়েছে। মনে করা হয়, এর মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে, কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত ডিজাইন অনুসরণ করে এসব যানবাহন তৈরি করে। সড়কের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ ধরনের যানের সংখ্যা নির্ধারণ করে মহাসড়ক ছাড়া সুনির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও সড়কের ধারণক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহসানুল হক বলেন, বহুসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি।
সচিব বলেন, থ্রি-হুইলার বা অটোরিকশাগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে একটি নীতিমালা করার দাবি ছিল। আমরা একটি নীতিমালার খসড়া করেছি। বাস্তবতার নিরিখেই খসড়াটি করা হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত নীতিমালাটি হলে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে বিশৃঙ্খলা, তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।
নীতিমালার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বল্প নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতাসম্পন্ন, ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের সঙ্গে একই মহাসড়কে চলাচলের সময় গতির পার্থক্যের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচল করায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে যা ভ্রমণ সময় ও বিদ্যুতের অপচয় বাড়াচ্ছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএ নির্ধারিত নমুনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার তৈরি হতে হবে এবং এর টাইপ বিআরটিএ অনুমোদিত হতে হবে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারে ব্যবহৃত দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক মোটর, কন্ট্রোলার, গিয়ার বক্স, এক্সেল, হুইল রিম, ব্রেক, স্পিডোমিটার, হেডলাইট, শক অ্যাবজরভার, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি বিএসটিআই অনুমোদিত হতে হবে। তবে বিএসটিআই এ ধরনের মোটরযানের যন্ত্রাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিআরটিএর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনুমোদিত মডেল বা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারককে বিআরটিএর তালিকাভুক্ত হতে হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত না হয়ে কোনো প্রস্তুতকারী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারবে না। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের মোটরযান বা এর যন্ত্রাংশ বাজারজাত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, উৎপাদনকারী অথবা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো আমদানিকারক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ আমদানি কিংবা বাজারজাত করলে বিআরটিএর অনুমোদন নিতে হবে। তবে শুধুমাত্র নতুন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা বিএসটিআই অনুমোদিত মানসম্পন্ন নতুন যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে। এ জাতীয় মোটরযানের নির্দিষ্ট স্থানে খোদাই করা বডি বা চেসিস নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযানের ব্যাটারি চার্জের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বৈদ্যুতিক যান চার্জিং নির্দেশিকা, ২০২১’ অনুসরণ করে নির্ধারিত স্থানে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে।
বিআরটিএ নিবন্ধন লাগবে
সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটির নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী বিআরটিএ মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা নিবন্ধন দেবে। তবে সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, সড়ক নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সীমা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি নিজের নামে মধ্যম গতির তিনটির বেশি বা গঠিত পরিবহণ কোম্পানির নামে ২৫টির বেশি অটোরিকশা ক্রয় ও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। অন্যদিকে ধীরগতির অটোরিকশার ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি কিনতে ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অনুমোদিত ডিলার বা বিক্রেতা নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যসম্পন্ন না করে মধ্যম ও ধীরগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন না।
এ জাতীয় মোটরযান বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধীরগতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার, প্রস্থ ১.৫ মিটার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উচ্চতা ২.১ মিটার, সর্বোচ্চ ওজন (ব্যাটারিসহ) ৫০০ কেজি হবে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত হারে কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ, হালনাগাদ ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন আবশ্যক হবে।
সর্বোচ্চ গতিসীমা
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, মোটরক্যাব রিকশা ও অটো-টেম্পু এবং থ্রি-হুইল ভ্যান সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ধীরগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
এ জাতীয় মোটরযানের ইকনোমিক লাইফ ‘সড়ক পরিবহণ আইন–২০১৮’ এবং ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
কোথায় চলাচল করবে, কোথায় চলতে পারবে না
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। তবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে।
মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। সিটি করপোরেশন ও ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভার ভেতরে মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, অটো-টেম্পু ও মোটরক্যাব রিকশা এবং থ্রি-হুইল ভ্যান চলাচল করতে পারবে। এর বাইরে জেলা ও উপজেলার নির্ধারিত রুটেও চলাচল করতে পারবে।
ধীরগতির অটোরিকশা শুধু জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে চলাচল করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি এ জাতীয় মোটরযানের সংখ্যার সীমা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রুট নির্ধারণ করবে বলে জানানো হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিমালায়।
অপরাধের শাস্তি কী
বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করে অটোরিকশা মোটরযান চলাচল করবে এবং এর কোনো ধরনের ব্যত্যয় হলে ‘সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮’-এ বর্ণিত অপরাধের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটির পরামর্শে বিআরটিএ জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ জাতীয় মোটরযানের অভ্যন্তরে যাত্রীর দৃশ্যমান স্থানে মোটরযানের মালিক ও চালকের মোবাইল ফোন নম্বর প্রদর্শন করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযান চালকের জন্য বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। চালনার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই চালকের সঙ্গে থাকতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরাপদ মডেলে রূপান্তরে সময় এক বছর
বিদ্যমান অনিরাপদ ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে স্বউদ্যোগে নিরাপদ মডেলের থ্রি-হুইলার মোটরযানে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় পার হওয়ার পর অননুমোদিত মোটরযানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষিকাজে ও নৌযানে ব্যবহৃত ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিন দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা অননুমোদিত যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমিটি উপযুক্ত অনুমোদিত যানবাহন চালুর উদ্যোগ নেবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঠিকানা/এসআর