চীন থেকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৯ , অনলাইন ভার্সন
চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার নতুন সম্পর্ক চিন্তা ধরাচ্ছে প্রতিবেশী দেশের থিংকট্যাংকে। মাস দেড়েক আগেই বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল চীনের অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনার বিষয়টি। এমনকি পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইতালির কাছ থেকেও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে এ সরকার। 

এরই মধ্যে নতুন খবর, এবার চীনের কাছ থেকে ভয়ংকর এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার বরাতে ২ নভেম্বর (রবিবার) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা খাতের জন্য যত আমদানি করেছে, তার ৭০ শতাংশেরও বেশি এসেছে বেইজিং থেকে। চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির খবরটি বেরোনোর কিছুদিন পরই এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণের খবরটি সামনে এসেছে।

চীনে স্থানীয়ভাবে ডিএফ-১২এ নামে পরিচিত এসওয়াই-৪০০ সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ২০০৮ সালে; ঝুহাই এয়ারশোতে। চীনা পিএলএ ছাড়াও বর্তমানে কাতার এবং মিয়ানমার এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। এসওয়াই-৪০০ এর আধুনিক ভার্সনগুলোর পাল্লা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। এর স্ট্যান্ডার্ড কনফিগারেশনে কঠিন জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রসহ আটটি ক্যানিস্টার রয়েছে। কেনার সময় প্রজেক্টাইলগুলি এই পাত্রে কারখানায় লাগানো হয় এবং অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ছয় মিটার লম্বা এবং ০.৪ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট। ওয়ারহেড কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে এগুলো ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কেজি পর্যন্ত ভারী হতে পারে। ওয়ারহেড বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ-বিস্ফোরক ফ্র্যাগমেন্টেশন, সাবমিনিশন ডিসপেন্সার এবং ক্লাস্টার পেলোড।

এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোতে সক্রিয় রাডার বা প্যাসিভ রাডার বা আইআইআর সিকার রয়েছে, যার টার্মিনাল পর্যায়ে লক্ষ্য-শনাক্তকরণ ক্ষমতা রয়েছে। 

অসমর্থিত এ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এসএএম-এর বাধা এড়াতে কিছুটা হলেও টার্মিনাল কৌশল করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ম্যাক ৫.৫ পর্যন্ত গতিতে পৌঁছাতে পারে এবং একটি হাইব্রিড গাইডেন্স স্যুট দিয়ে সজ্জিত, যা ইনর্শিয়াল নেভিগেশন এবং স্যাটেলাইট অগমেন্টেশন বা জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয় করে।

প্রতিটি এসওয়াই-৪০০ মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ছোট রকেট দিয়ে দ্রুত পুনরায় লোড করতে পারে। 

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041