রহমান আতাউর
প্রথম পুষ্পের পহিল গান এই শরতে
যূথিকার ম-ম গন্ধ
শ্যামরী অঞ্চল সুবাসে,
মেদুর মেঘে মেদুর পবনে ভেসে আসে।
অরুণ আলোর অমিতাভ পলতে,
করো না সমাবৃত শতেক পরতে।
আনন্দ অমৃতে, আনন্দধারা বহিছে বিবর্ত জগতে।
নবোদিত অরুণের অমেয় জীবন,
হিমকণা আবিল করে, কুহেলিকা কাঁপন।
বর্ষা শীতের মিলন মোহনার ক্ষণ,
পূজার পুষ্পবিকাশের কম্পন।
শান্ত শরৎ ত্বিষাস্পতি,
হিমিকা আঁধারে ঢাকা, তটিনী তটের বনস্পতি।
আজি মহোল্লাসে জাগিল রে অন্তর তিমিরে,
ঝিরঝির বরিষে পুষ্পিত অটবি বীথিরে।
আশ্বিনের অমৃতলহরী হয়েছে আজি শেষ,
কাশবনে ধূপছায়া মেঘে, জাগিল নব বঙ্গদেশ।
নিপানে নিবসন পানকৌড়ি
নিহাস নদীর ফটিক জলে, নিহার আবরিত মাতামুহুরী।
পুষ্পিত পুষ্প রংবাহারে উঠিছে ফুটি,
ধরিতে দাও শারদীয় আকাশে, সঞ্চানের পতত্র দুটি।
এসো হে, এসো হে, আশ্বিনের আঙিনায়
মেঘমল্লার মেঘ, প্রিয়ার নিচোলে লুকায়।
তটিনীর শান্ত নীড়,
চকাচকি পাখি হয়েছে অধীর।
পূরিত যৌবনা যামিনী,
ফুটেছে কেতকী কিঞ্জল, মাহালী, কদম, কামিনী।
শরৎ শেফালীর গন্ধচন্দনে
অমিয়ধারার অমিয় বন্ধনে
কলোক্কল নির্ঝর জাগিল রে,
শিশিরসিক্ত দূর্বাদলের পবনে।
সুদূরতা হতে আসে বনখঞ্জন পাখি
দেখি আমি নয়নানন্দে,
নীলাভ মাছরাঙার মায়াবী আঁখি।
হিমিকায় আবরিত শ্যাম দূর্বাঘাস,
পদ্মপুরাণে শ্রেষ্ঠ মাস।
যতই হোক, তমসা নীলাম্বর কালো,
মম নয়নোৎসবে দেখি, শারদীয় তারকার আলো।
কার্তিকে ফুটয় কোমলিকা
রজত শুভ্র মল্লিকা।
চণ্ডীদাস কহে-
‘আশ্বিন মাসের শেষে নিবড়ে বরিষী,
মেঘ বহির্জা গেলে ফুটিবেক কাশী।’
আশ্বিনের দোলায় দুলে, এলো কার্তিক,
শরৎ ঋতুর ঋত ঋত্বিক।
প্রথম পুষ্পের পহিল গান এই শরতে
যূথিকার ম-ম গন্ধ
শ্যামরী অঞ্চল সুবাসে,
মেদুর মেঘে মেদুর পবনে ভেসে আসে।
অরুণ আলোর অমিতাভ পলতে,
করো না সমাবৃত শতেক পরতে।
আনন্দ অমৃতে, আনন্দধারা বহিছে বিবর্ত জগতে।
নবোদিত অরুণের অমেয় জীবন,
হিমকণা আবিল করে, কুহেলিকা কাঁপন।
বর্ষা শীতের মিলন মোহনার ক্ষণ,
পূজার পুষ্পবিকাশের কম্পন।
শান্ত শরৎ ত্বিষাস্পতি,
হিমিকা আঁধারে ঢাকা, তটিনী তটের বনস্পতি।
আজি মহোল্লাসে জাগিল রে অন্তর তিমিরে,
ঝিরঝির বরিষে পুষ্পিত অটবি বীথিরে।
আশ্বিনের অমৃতলহরী হয়েছে আজি শেষ,
কাশবনে ধূপছায়া মেঘে, জাগিল নব বঙ্গদেশ।
নিপানে নিবসন পানকৌড়ি
নিহাস নদীর ফটিক জলে, নিহার আবরিত মাতামুহুরী।
পুষ্পিত পুষ্প রংবাহারে উঠিছে ফুটি,
ধরিতে দাও শারদীয় আকাশে, সঞ্চানের পতত্র দুটি।
এসো হে, এসো হে, আশ্বিনের আঙিনায়
মেঘমল্লার মেঘ, প্রিয়ার নিচোলে লুকায়।
তটিনীর শান্ত নীড়,
চকাচকি পাখি হয়েছে অধীর।
পূরিত যৌবনা যামিনী,
ফুটেছে কেতকী কিঞ্জল, মাহালী, কদম, কামিনী।
শরৎ শেফালীর গন্ধচন্দনে
অমিয়ধারার অমিয় বন্ধনে
কলোক্কল নির্ঝর জাগিল রে,
শিশিরসিক্ত দূর্বাদলের পবনে।
সুদূরতা হতে আসে বনখঞ্জন পাখি
দেখি আমি নয়নানন্দে,
নীলাভ মাছরাঙার মায়াবী আঁখি।
হিমিকায় আবরিত শ্যাম দূর্বাঘাস,
পদ্মপুরাণে শ্রেষ্ঠ মাস।
যতই হোক, তমসা নীলাম্বর কালো,
মম নয়নোৎসবে দেখি, শারদীয় তারকার আলো।
কার্তিকে ফুটয় কোমলিকা
রজত শুভ্র মল্লিকা।
চণ্ডীদাস কহে-
‘আশ্বিন মাসের শেষে নিবড়ে বরিষী,
মেঘ বহির্জা গেলে ফুটিবেক কাশী।’
আশ্বিনের দোলায় দুলে, এলো কার্তিক,
শরৎ ঋতুর ঋত ঋত্বিক।