ঢাকার সাভারে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর জেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দেড় শতাধিক দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার আকরান বাজারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে বলে জানা গেছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাভার থানা-পুলিশ ও ইউনিভার্সিটি সূত্রে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর স্থানীয় কয়েকজন মিলে অন্তরকে বিরুলিয়া সেতুর নিচে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মারধর করে। মারধরে অন্তর অচেতন হয়ে পড়লে তাকে খাগানবাজারে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে অন্তরকে প্রথমে ড্যাফোডিল কেয়ারে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় রাজু মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মিছিল বের করে। পরে তারা হত্যার জন্য স্থানীয়দের দায়ী করে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বিরুলিয়া সাভার সড়কের আকরান বাজারে থাকা কয়েকটি দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দেড় শতাধিক দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটি পেট্রোলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।’
এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে স্থানীয় দেড় শতাধিক দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন রাহাত। পূর্বশত্রুতার জের ধরে অন্তরকে হত্যা করা হয়েছে।’
ঠিকানা/এনআই
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার আকরান বাজারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে বলে জানা গেছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাভার থানা-পুলিশ ও ইউনিভার্সিটি সূত্রে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর স্থানীয় কয়েকজন মিলে অন্তরকে বিরুলিয়া সেতুর নিচে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মারধর করে। মারধরে অন্তর অচেতন হয়ে পড়লে তাকে খাগানবাজারে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে অন্তরকে প্রথমে ড্যাফোডিল কেয়ারে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় রাজু মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মিছিল বের করে। পরে তারা হত্যার জন্য স্থানীয়দের দায়ী করে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বিরুলিয়া সাভার সড়কের আকরান বাজারে থাকা কয়েকটি দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দেড় শতাধিক দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটি পেট্রোলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।’
এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে স্থানীয় দেড় শতাধিক দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন রাহাত। পূর্বশত্রুতার জের ধরে অন্তরকে হত্যা করা হয়েছে।’
ঠিকানা/এনআই