চারদিকেই চাপ বাংলাদেশের ওপর

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:২৬ , অনলাইন ভার্সন
যে দেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়, সে দেশকেই উন্নয়নের সূচকে অগ্রসরমান একটি দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। সেদিক থেকে বাংলাদেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন নিয়ে যত দাবিই করা হোক, প্রকৃত উন্নয়নের তালিকার মধ্যে পড়বে না। দৃশ্যমান উন্নয়নকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই মেগা মেগা উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেসব স্থাপনার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছ থেকে পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেলের শিরোপা। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে রাজনীতি ও অর্থনীতির যে চাপ সামলাতে হচ্ছে, তাতে অনেক বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদই মত প্রকাশ করছেন, রাজনীতি ও অর্থনীতির এই চাপ বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনেকটাই ম্লান করে দিচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ব্যর্থ হলে দেশকে তার মূল্য দিতে হবে বলেও মনে করেন।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় দৃশ্যমান চাপ রাজনৈতিক চাপ। বিরোধী দল বিএনপি এক দফার সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছে। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের চলছে শান্তি সমাবেশ। এক দফার সমাবেশ এবং শান্তি সমাবেশের ধাক্কায় ইতিমধ্যেই জনতার সামনে যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই গোলাগুলি, অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়ে গেছে, তাতে মানুষের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। একটি দেশের অর্থনীতি হচ্ছে সেই দেশের শ্বাস-প্রশ্বাস। অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে এলে স্বাভাবিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাসও সংকুচিত হয়ে আসে।

বাংলাদেশের মতো একটি দেশের কত রকম সমস্যা। একদিকে ডলার সংকট, অন্যদিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দাবি সত্ত্বেও চাল-ডাল, তেল-নুন, ডিম-মাংস, পেঁয়াজ-রসুন সবই আমদানি করতে হচ্ছে। এদিকে এলসি খোলার জন্য ডলারের টানাটানি। বিদেশি নতুন ঋণের তো কোনো খবর নেই, উল্টো পুরোনো ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ। অন্যদিকে চারদিকে সংকট। ডলার সংকট, গ্যাস সংকট, জ্বালানি সংকট। চাল সংকট, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, চারদিকেই সংকট বাংলাদেশ যেন সবকিছুতেই আমদানি-নির্ভর হয়ে পড়ছে। যে রকম চারদিকে টানাটানি চলছে, তাতে অচিরেই যেন অর্থনীতির রশি ছিঁড়ে না যায়।

একটি খবর ‘বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপে বাংলাদেশ।’ সেখানে বলা হচ্ছে : ‘ডলার সংকটের মধ্যে চাপ বাড়াচ্ছে বিদেশি ঋণ ও সুদ পরিশোধ। এক বছরের ব্যবধানে শুধু সুদ পরিশোধই বেড়েছে তিনগুণ। কিন্তু কাক্সিক্ষত পরিমাণ ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফলে প্রভাব পড়ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে।’ বলা হচ্ছে, ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধির এ ধারা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। আরেকটি খবর : ‘গ্যাস সংকটে বিপাকে আবাসিক ও শিল্প খাত’। অন্যান্য বছর শীত মৌসুমে গ্যাসের চাপ কম থাকে। এবার শীত আসার এক মাস আগে থেকেই সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় চুলা দিনের বেলায় জ্বলে না। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বলেন, তিতাস গ্যাসের কাছে লাখ লাখ গ্রাহক জিম্মি হয়ে পড়েছে। অথচ গ্রাহকদের গ্যাস না পেয়েও বিল দিয়ে যেতে হচ্ছে। মাসের পর মাস গ্যাসবঞ্চিত থেকেও বিলের ঘানি নিয়মিত টেনে যেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় চাহিদা চাল। সেই চালের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৫ লাখ টন চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেদ্ধ ৩ লাখ টন, আতপ ২ লাখ টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এতেও চালের বাজার কতটা স্থিতিশীল রাখা যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আসলে বাংলাদেশে সব লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে। এই পিঁপড়ার দলকে কেউ বলে গডফাদার, কেউ বলে মাফিয়া চক্র, আবার কেউ বলে মধ্যস্বত্বভোগী। সরকার নাকি এদের কারণে অসহায়। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078