আইনি জটিলতায় বিপাকে বিএনপি

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৪০ , অনলাইন ভার্সন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মরিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আরও সহিংস হয়ে উঠেছে। হরতাল-অবরোধে চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে চাইলেও দেশজুড়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কারণ, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই নানান অপরাধে জড়িত, যারা সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার পরিপন্থি।
জানা যায়, মামলা, গ্রেপ্তার এবং আদালতের সাজায় বড় নেতৃবৃন্দ রাজনীতির মাঠের বাইরে রয়েছেন। এরমধ্যে গত রোববার এবং সোমবারেই পুরোনো মামলায় ১৪০ জনের সাজা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সহিংসতায়ও রাজধানীতে থাকা শীর্ষ নেতাদের নামেও হয়েছে মামলা। যোগ্য প্রার্থীর সংকট এবং আইনি জটিলতার কারণেই বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, সংবিধান লঙ্ঘনে মামলা, সাজাসহ ফৌজদারি দন্ডে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের দফা (১) এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে বলা হয়েছে। সেখানে অযোগ্যতারও কিছু শর্ত রয়েছে যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ তে উল্লেখ করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) তে ১২ এর (১) এর (ঘ) অনুযায়ী, ‘সংবিধানের ৭৩, ৭৪, ৭৮, ৭৯ ,৮০, ৮১, ৮২, ৮৩, ৮৪ ও ৮৬ অনুচ্ছেদ এর অধীন কোন অপরাধে অপরাধী হইয়া অন্যুন দুই বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত হইয়া থাকেন এবং তাহা হইতে মুক্তি লাভের তারিখের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়’ তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে মামলা হলেও তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।‘ 
গত কয়েকদিনে রাজধানীতে নাশকতার অভিযোগে হওয়া পৃথক সাত মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ সহ অঙ্গসংগঠনের ১৪০ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব; এমনকি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও শীর্ষ নেতাদের অভাবে মনোনয়ন কিংবা সংলাপ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে দলটি। কারণে, প্রায় সকলেই মামলাজটে জর্জরিত।
গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ সদস্য খুন, নাশকতা, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায়ও বিপুল সিনিয়র নেতাকর্মী অগোচরে। এদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বাইরে রয়েছেন। কিন্তু, তার নামেও রয়েছে মামলা। তিনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবরোধ-হরতাল ঘোষণা করে চলেছেন। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর চালাচ্ছেন। এতে তাদের নামেও মামলা হচ্ছে। একদিকে মামলা এবং আইনি জটিলতায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিচারাধীন, অন্যদিকে তৃণমূল ব্যস্ত নাশকতায়। সব মিলিয়ে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে শীর্ষস্থানীয় দলটি।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041