যেসব কারণে বাদ পড়লেন হেভিওয়েট মন্ত্রীরা  

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫৬ , অনলাইন ভার্সন
দ্বাদশ সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছে। শেখ হাসিনা তার টানা চার মেয়াদের মন্ত্রিসভায় বড় চমক দেখিয়েছেন। একাদশ সংসদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন হেভিওয়েট কয়েক মন্ত্রী। এ নিয়ে দেশজুড়ে সব মহলে নানা আলোচনা চলছে।   

মন্ত্রিসভা গঠনের পুরোপুরি এখতিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি কাকে অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং কাকে বাদ দেবেন সেটি তার এখতিয়ার। তবে, বেশ কিছু মন্ত্রীর বাদ পড়ার কারণ নিয়ে দলের ভেতরে নানা আলোচনা ও অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রথমবার ভোটে এমপি হয়েই বাজিমাত, কে এই রুমানা টুসি?

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাচ্ছে, এই মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।

প্রথমত, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রী গঠন করা। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো মন্ত্রিসভা হয়েছে তার সবগুলোতে নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দলটির নেতারা বলছেন।

দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক হিসাব-নিকাশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাতে মন্ত্রিসভার প্রতিনিধিত্ব থাকে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

তৃতীয়ত, দীর্ঘদিন মন্ত্রিসভায় থাকা ব্যক্তিদের এবার কম বিবেচনা করা হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

চতুর্থত, এবারের মন্ত্রিসভায় কেউ কেউ স্থান পেয়েছেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, যারা বাদ পড়েছেন তারা যে আবার ফিরে আসবেন না— এমন কোনো কথা নেই।

তিনি বলেন, তারা হয়তো কিছু দিন পর ফিরেও আসতে পারেন। যারা বাদ পড়েছেন, তারা আবারও ফিরে আসতে পারেন। সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 

এবারের মন্ত্রিসভায় পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে যারা নতুন এসেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়া তার জন্য একবারেই অপ্রত্যাশিত।

তিনি বলেন, আমি কল্পনাই করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর যে আশা সেটি যাতে আমি ফুলফিল (পূরণ) করতে পারি। গতকাল যখন ক্যাবিনেট ডিভিশন থেকে ফোন এলো, তখন আমি খুবই আশ্চর্য হয়ে গেছি, নার্ভাস হয়ে গেছি।

আমি হয়তো সিনসিয়ারলি কাজ করেছি সারাজীবন, উনি হয়তো দেখেছেন। 

চিকিৎসক সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে। অনেকে মনে করেন তিনি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।

এ বিষয়টি মন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করেছে কিনা?

এমন প্রশ্নে সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি ঠিক বলতে পারব না।  সূত্র: বিবিসি বাংলা। 

ঠিকানা/এসআর
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041