ঠিকানা অনলাইন 
বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রেকর্ড পরিমাণ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নত দেশগুলো। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত এবারের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন (কপ-২৯) থেকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। বর্তমান বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন শীর্ষস্থানে রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্ব নেতৃত্ব। জাতিসংঘও জলবায়ুর এই পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশ জোড় দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে হুমকির মুখে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো কৃষি খাত। এই খাতে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে দেশগুলোর অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। তাই এবারের সম্মেলনে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক সহযোগিতার উপর বেশ জোর দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, এবছর প্রায় ৩৩ ঘণ্টা সময় ধরে চলেছে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে (কপ-২৯)। জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান সাইমন স্টিয়েল বলেছেন, এবারের সম্মেলনটি আগের তুলনায় একটু কঠিন ছিল, যেহেতু জলবায়ুর পরিবর্তন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন চুক্তিতে পৌঁছানোয় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা বেশ সহজ হবে বলে আশা করছেন সাইমন। অন্যদিকে হতাশার কথাও জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। সংস্থাটি গত বছর জলবায়ু সম্মেলনে ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার’ আহ্বান জানালেও এ বিষয়ে এবছরও কোনো উন্নতি হয়নি। কেননা শনিবার বিকেলে জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ক আলোচনার মাঝ থেকে নাটকীয়ভাবে বের হয়ে গিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ দেশগুলো।
ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র জোটের প্রধান সেড্রিক শুস্টার বলেছেন, যখন আমরা বলছি আমাদের দ্বীপগুলো ডুবে যাচ্ছে তখন আমি কোনো অত্যুক্তি করছি না! আপনারা কীভাবে আশা করছেন যে আমরা আমাদের নারী, পুরুষ এবং শিশুদের জন্য একটি ভিন্নরকম চুক্তি নিয়ে ফিরে যাব। শনিবার দুপুর তিনটার পরে জলবায়ু বিষয়ক কিছু চুক্তিতে পরিবর্তন আসে। বেশ কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে চুক্তিতে একমত হয়েছে। তবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলোর জন্য সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেগুলো। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা থেকে প্রায় বঞ্চিতই রয়ে গেছে বিশ্বের উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলো। মূলত এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এবারের সম্মেলনে আর্থিক সহায়তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
ঠিকানা/এসআর
