চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে স্টুডেন্টরা কলেজ, ইউনিভার্সিটির ডর্মে কিংবা অফ ক্যাম্পাস হাউজিংয়ে মুভ করা শুরু করবে। এখন চলছে সেই প্রস্তুতি। যারা ডর্মে থাকবেন তাদের কথা আলাদা। তারা কলেজের নিরাপত্তায় থাকেন। যারা বাইরে থাকেন নিজের মতো করে বাসা , রুম ভাড়া কিংবা কারো সাথে রুম শেয়ার করে, তাদের বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। অনেকেই চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে অফ ক্যাম্পাসে বাসা, রুম ভাড়া নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রুমমেট হিসাবে শেয়ারে রুম ভাড়া নিচ্ছেন। যাদের বাসা কিংবা আলাদা রুম ভাড়া করার মতো অবস্থা নেই কিংবা খরচ কমানোর জন্য অন্য কারো সাথে রুমমেট হিসাবে রুম শেয়ার করে থাকার পরিকল্পনা করছেন এই জন্য অপরিচিত কারো সাথে রুমমেট হওয়ার জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। তাদের বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। যেসব স্টুডেন্টরা বিভিন্ন স্টেটে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাওয়ার জন্য মুভারের সহযোগিতা লাগবে। অনেক কোম্পানী আছে যারা স্টুডেন্টেদের মুভ করার জন্য সহযোগিতা করে থাকে। যারা যে কলেজে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন সেখানের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোলাবেরেশন রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে রুম ভাড়া নিলে, রুমমেট হলে কিংবা মুভার কোম্পানী ব্যবহার করলে সাধারণত সমস্যা হয় না। তবে খরচ একটু বেশি।
অনেকেই আছেন খরচ একটু কমানোর জন্য সাধ্য মতো সব কিছু করার জন্য রিনাউনড নয় এমন মুভার ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এখানে বেশিরভাগ পরিবারই তাদের সন্তানকে ডর্মে দিয়ে আসেন কিংবা অফ ক্যাম্পাস হাউজে দিয়ে আসেন। সমস্যা হয় যে সব স্টুডেন্টরা তার স্টেট ছেড়ে বেশি দূরে কোথাও থাকেন তাদের জন্য। সেই সব ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের পক্ষে সেখানে গিয়ে তার সন্তানকে রেখে আসা সম্ভব হয় না। এখন এই মুভিং মৌসুমে বিভিন্ন ধরণের স্ক্যাম হচ্ছে ও হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই কারণে কোন স্টুডেন্ট যাতে রুমমেট হতে গিয়ে, বাসা, রুম কিংবা রুমেমেটর সাথে রুম নিয়ে ভাড়া শেয়ার করতে গিয়ে স্ক্যামারের শিকর না হন এবং মুভিং করার জন্য স্ক্যামের শিকার না হন সেই জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটস ডিভিশন অব কনজিউমার প্রোটেকশন থেকে এই সব ব্যাপারে সতর্ক থাকার বিষয়ে বলেছে। কিভাবে এগুলো এড়ানো যেতে পারে সেই ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্ক্যামার এড়ানোর জন্য তাদের টিপস অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই সপ্তাহে মঙ্গলবার তারা এই টিপস জারি করে।
এদিকে বাসা, বাড়ির ও অফিসের ইন্টারনেটের পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে। এবং সেটি চুরি করে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অর্থ চুরি করতে পারে। স্ক্যামাররা বিভিন্ন মাধ্যমে এখন অনেক বেশি সক্রিয়। তাদেরকে ঠেকানোর জন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে ইন্টারনেট প্রোভাইডার কোম্পানীর কাছ থেকে। এই কারণে বিভিন্ন ইন্টারনেট প্রোভাইডার কোম্পানীর কাছ থেকে ইন্টানেটের লাইন এর জন্য সতর্কবাতা পাঠানো হচ্ছে বলা হচ্ছে আপনি আপনার ইন্টারনেটের লাইন নিরাপদ রাখতে সপ্তাহে সপ্তাহে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে পারেন। যাতে করে স্কামাররা পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে না পারে। ইন্টারেনট কোম্পানীর এমন বার্তা পেয়ে অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু কোনটি স্ক্যাম আর কোনটি স্ক্যাম নয় এটাও বোঝা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, স্টুডেন্টদের ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময়, নিউ ইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ডিভিশন অফ কনজিউমার প্রোটেকশন রুমমেট, ভাড়া এবং মুভিং স্ক্যাম এড়াতে টিপস অফার করছে। রুমমেট/ভাড়া স্ক্যাম ঘটে যখন স্ক্যামাররা এমন বাড়ি দেখানো বা ভাড়া দেওয়ার বিনিময়ে ভোক্তাদে অর্থ দেওয়ার জন্য প্রতারণা করে যেসব বাসা কিংবা রুম খালি নেই। অন্যের দখলে আছে। মঙ্গলবারের টিপস এর জন্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম -এ নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট অনুসরণ করা যাবে। বিভিন্ন বিষয়ে নিউ ইয়র্কের কাস্টমারদের শিক্ষিত ও ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহারিক টিপস দেয়া হয়।
সেক্রেটারি রদ্রিগেজ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে সাহায্য করার জন্য, স্ক্যাম প্রতিরোধ এবং সুরক্ষা টিপস শিক্ষার্থীদের একটি সম্ভাব্য স্ক্যামিং সনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। যাতে তারা তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ডিভিশন অফ কনজিউমার প্রোটেকশন রুমমেট, ভাড়া এবং মুভিং স্ক্যাম এড়াতে সাহায্য করার জন্য টিপস দিয়েছে। বলছে, আগামী সপ্তাহে, অনেক শিক্ষার্থী কলেজ, ভোকেশনাল বা স্নাতক স্কুল প্রোগ্রামে যাবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষের শুরুতে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য স্ক্যামিং ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সতর্কবার্তা অনুসরণ করার পাশাপাশি ইমেল বা ফোনে সরাসরি ভোক্তা সতর্কতা পেতে সাইন আপ করা যাবে।
একটি নতুন স্কুল বছরের শুরু স্টুডেটদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময় । কারণ তারা এই সময়ে শিখে কিভাবে তাদের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। প্রথমবার বাড়ি থেকে দূরে থাকার সময় কিভাবে থাকতে হয় তা বুঝতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ফোন আসছে। ফোন করার পর না ধরলে ভয়েজ ম্যাসেজ রাখছে। কল করার জন্য বলছে। আর কেউ যদি ভয়েজ ম্যাসেজের উপর ভিত্তি করে ফিরতি কল করেন তাহলেই বিপদে পড়তে পারেন। কারণ ফোন করার সাথে সাথেই তার ফোন নম্বর ক্লোন করে নেয়। আর ক্লোন করেই সব অর্থ চুরি করে।
সম্প্রতি জ্যামাইকাতে এমনটি হয়েছে। একজন বাংলাদেশী আমেরিকানকে অন্য একজন বাঙ্গালী ফোন করেন। পরিচয় জানতে চান ওই ব্যক্তি। তখন অপরপ্রান্তের ব্যক্তি ওই ব্যক্তির পরিচিত একজনের নাম বলে পরিচয় দেন। স্ক্যামার যার নাম বলে নিজের পরিচয় দেন তখনই ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে আসলে কোন স্ক্যামার ফোন করেছে। আর এটি বোঝার সাথে সাথে দেখতে পান তার ফোন হ্যাক হয়েছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে তারা ফোন এর সিম পরিবর্তন করেন।