লিফটে তিন দিন আটকে থাকার পর শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন ৩২ বছর বয়সী উজবেক তরুণী ওলগা লেওনতিয়েভা। ছয় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে তার। তাকে রেখেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ওলগা। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি নয়তলা ভবনের উপরের তলায় উঠেছিলেন ওলগা। নামার সময় আটকা পড়েন লিফটে। তিন দিন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কারও কানে ঢোকেনি সেই আবেদন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ঘরে ছিলেন না ওলগা। ধরছিলেন না ফোনও। একপর্যায়ে ওলগার মা-বাবা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান থানায়। শুরু হয় তল্লাশি। ঠিক সেই সময় খবর পাওয়া যায় ভবনের লিফটের মধ্যে পাওয়া গেছে ওলগার নিথর দেহ।
ওলগার ছয় বছর বয়সী মেয়ে আপাতত স্বজনদের কাছেই থাকছে। কিন্তু কীভাবে তিনি লিফটে আটকা পড়েছিলেন, তা জানতে চলছে তদন্ত। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা জানিয়েছে, এক মুহূর্তের জন্যও ওই ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। ফলে বিদ্যুতের কারণে লিফট আটকে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
জানা গেছে, লিফটি তৈরি করেছিল এক চীনা সংস্থা। প্রাথমিকভাবে সরকারি ইঞ্জিনিয়ররা ধারণা করছেন, অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণেই মাঝপথে লিফট আটকে যায়। একই কথা বলছেন আশপাশের লোকজনও। তবে এর আগে এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই।
ঠিকানা/এনআই