Thikana News
১৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

অভিবাসী বহিষ্কারে অভিযান আরও জোরদারের নির্দেশ ট্রাম্পের

অভিবাসী বহিষ্কারে অভিযান আরও জোরদারের নির্দেশ ট্রাম্পের সংগৃহীত



 
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কারের অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ইতিহাসে এটিকে “সবচেয়ে বড় অভিবাসী বহিষ্কার কর্মসূচি” বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। খবর বিবিসির। 

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, “প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি—এই কাজটি শেষ করতে সব ধরনের সম্পদ ব্যবহার করো।” তিনি বিশেষভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও নিউ ইয়র্ক শহরকে টার্গেট করার কথা বলেন, যেখানে ৬ জুন থেকে অভিবাসীবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন চলছে।

এই ঘোষণার একদিন আগেই 'নো কিংস' আন্দোলনের ব্যানারে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা সামরিক প্যারেডের দিনটিতে ছিল ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিনও।

উটাহ অঙ্গরাজ্যের সাল্ট লেক সিটিতে এক প্রতিবাদ মিছিলে গুলিতে একজন নিহত হন।

প্রতিবাদ ঠেকাতে ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

নতুন নির্দেশনায় ট্রাম্প ‘সাংচুয়ারি সিটিগুলোর’ ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। এসব শহর অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহায়তায় সীমাবদ্ধতা রাখে এবং অভিবাসীদের নিরাপত্তা দেয়। এই শহরগুলো ফেডারেল সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তীব্র দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ), ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-সহ সব ফেডারেল অফিসকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প লিখেছেন, “তোমাদের পাশে আমি আছি। এখন এগিয়ে যাও, কাজটা শেষ করো!”

এই নীতিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া ট্রাম্পের মূল প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে সম্প্রতি অভিবাসী বহিষ্কারের ঘটনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদও তীব্র হয়েছে।

রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন একদিন আগেই হোটেল, কৃষিখামার, রেস্তোরাঁ ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় অভিযান কিছুটা থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে নতুন এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী বছরে প্রবেশ করেছে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স