৪ উইকেটে ৪৫৮ রান। উইকেটে থিতু হওয়া অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। অনায়াসে ৬০০ রানে পৌঁছাবে বাংলাদেশ, এমনই মনে হচ্ছিল! কিন্তু আসা-যাওয়ার প্রতিযোগিতায় সেই ধারণা পাল্টে দেন সফরকারী ব্যাটাররা। গলে বৃষ্টির পর শুরু হয় বাংলাদেশের উইকেট বৃষ্টি। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলেছে তারা। স্কোর ৫০০ হবে কি না, সেই শঙ্কাই তৈরি হয়েছে এখন। শেষ ২৬ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেট। লেজের দুই ব্যাটার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রানের খাতা খোলার জন্য মাঠে নামবেন।
গলের ফ্ল্যাট উইকেটের ধরন বদলে যায় আবহাওয়ার প্রভাবে। বৃষ্টির পর আর্দ্র উইকেটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তোপ দাগেন শ্রীলঙ্কার পেস বোলাররা। বলের মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে ৫ উইকেটের মধ্যে ৪টি নিয়েছেন তারা। দ্বিতীয় সেশনের অনেকটা সময় চলে যায় বৃষ্টির পেটে।
ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে বৃষ্টির পর খেই হারান মুশফিক। ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আসিতা ফার্নান্দোর এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। ইনিংসে ছিল ৯টি চার। পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-লিটন গড়েন ১৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। দলীয় ৪৫৮ রানে মুশফিকের পর ফেরেন লিটনও। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে তারিন্দু রত্নায়েকের শিকার হন তিনি। বলে হাত লেগে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন লিটন। ১২৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রানে বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের সপ্তম ওভারেই অতিথিরা হারায় অধিনায়ক শান্তর উইকেট। শান্তকে (১৪৮) ফেরান আসিতা। শান্তর বিদায়ের পর মুশফিক-লিটনের জুটি। এ দুজন আউট হলে মিলান রত্নায়েকের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। উইকেটে মুভমেন্ট পেয়ে টানা তিন উইকেট তুলে নেন বৃষ্টির আগ পর্যন্ত হতাশায় পোড়া মিলান। জাকের আলী অনিক (৮), নাঈম হাসান (১১) ও তাইজুল ইসলামকে (৬) ফেরান তিনি। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মিলান, আসিতা ও তারিন্দু।
ঠিকানা/এনআই