Thikana News
২৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করবে সৌদি আরব, রুখতে চায় ভারত-ইংল্যান্ড 

টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করবে সৌদি আরব, রুখতে চায় ভারত-ইংল্যান্ড  সংগৃহীত



 
টেনিসের গ্র্যান্ড স্লামের আদলে বছরের চারটি ভিন্ন সময়ে চারটি ভিন্ন দেশে টি–টোয়েন্টি লিগ চালু করতে চায় সৌদি আরব। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রীড়া বিনিয়োগকারী সংস্থা এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টসের মাধ্যমে ছয় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে দেশটির। 

তবে এই লিগ আলোর মুখ দেখলে তা আইপিএল ও দ্য হান্ড্রেডের জন্য ‘নেতিবাচক’ হবে বলে মনে করছে  ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। প্রভাবশালী দুই ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরিকল্পিত টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ালে তারা নিজেদের ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দেবে না।
 
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সৌদি আরবের পরিকল্পিত টি–টোয়েন্টি লিগ নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আগ্রহ আছে। চার লিগের একটি তারা আয়োজনও করতে চায়। এর মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে লাভবান হওয়া যাবে বলে ভাবছে সিএ। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ লিগ নামে টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চালু আছে। এটির মালিকানায় ক্রিকেট বোর্ড ও রাজ্য দলগুলো। যে কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আইপিএল, পিএসএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আয় খুব বেশি নয়।

তবে আইপিএলের মাধ্যমে বিসিসিআই এবং দ্য হান্ড্রেডের মাধ্যমে ইসিবির আয়ের অঙ্কটা বেশ বড়। আইপিএল প্রথম থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক, মালিকানায় আছে বড় ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো। এদিকে দ্য হান্ড্রেডের দলগুলোর মালিকানার ৪৯ শতাংশ সম্প্রতি বিক্রি করে দিয়েছে ইসিবি। ভারত ও ইংল্যান্ড মনে করছে, সৌদি আরবের বড় বিনিয়োগে টি–টোয়েন্টি লিগ চালু হলে আইপিএল ও দ্য হান্ড্রেডের জন্য তা ইতিবাচক হবে না।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এ মাসের মাঝামাঝিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সময় বিসিসিআই ও ইসিবি একমত হয়েছে যে তারা নতুন লিগের বিরোধিতা করবে। দুই বোর্ডই খেলোয়াড়দের ‘অনাপত্তিপত্র’ না দেওয়ার বিষয়ে একমত এবং আইসিসির কাছে লিগটি অনুমোদন না দেওয়ার জন্য তদবির করবে।

প্রস্তাবিত লিগের ক্ষেত্রে বিসিসিআই ও ইসিবির অবস্থান সৌদি আরবের জন্য বড় ধাক্কা। আইপিএলের বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টিতে ভারতের ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর দল আছে।

আইসিসির নিয়ম অনুসারে, অনুমোদিত টুর্নামেন্টে একটি দলকে ম্যাচে চারজনের বেশি বিদেশি খেলতে দেওয়া হয় না। সৌদি আরবের নিজস্ব ক্রিকেটার কম থাকায় ভারত ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি দেশটির লিগ আয়োজনকে বড় চ্যালেঞ্জে ফেলবে। প্রতি দলে সাতজন স্থানীয় ক্রিকেটার রাখা এবং ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো দুটি বড় দলের খেলোয়াড় না থাকা পৃষ্ঠপোষক ও সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহও কমিয়ে দিতে পারে। সব মিলিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পিত টি–টোয়েন্টি লিগের ভাগ্যে কী আছে, তা দেখার বিষয়।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স