যুক্তরাষ্ট্রে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইরানকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছিল ইসরায়েল। দেশটির ধারণা ছিল, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারাই ইরানে হামলার পক্ষে অবস্থান নেবে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস এ তথ্য দিয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদনও করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। আর ওই ঘটনা ঘটলে তার দায় ইরানের ওপর পড়ত। ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত যুদ্ধে জড়ানো। হামলায় ইরান জড়িত এ ধরনের তথ্য-প্রমাণও হাজির করার পরিকল্পনা ছিল ইসরায়েলের। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রের জনমতও ইরানের বিপক্ষে যাওয়াটা সহজ হয়ে যেত।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ’ ওই তথ্য ইরানকে দিয়েছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে ইরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আপত্তি আছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত এপ্রিল থেকে এ নিয়ে ইরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ওমানের মধ্যস্থতায় পাঁচ দফা আলোচনাও হয়। এরই মধ্যে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ফলে ভেস্তে যায় ষষ্ঠ দফার আলোচনা।
ইরানে হামলা করে দেশটির শীর্ষ একাধিক সামরিক কর্মকর্তাসহ শীর্ষ বিজ্ঞানীদের হত্যা করে ইসরায়েল। ইরানও পাল্টা হামলা করে তেল আবিবে। পরে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতেও হামলা চালায় ইরান। শুরু থেকে ইসরায়েলই একতরফা হামলা চালায়। তবে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রও হামলা করে ইরানে। সেখানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১২ দিন যুদ্ধ চলার পর গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইরান ও ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির তথ্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ঠিকানা/এনআই