Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
‘চরম বামপন্থার অনুপ্রবেশ’

জোহরান মামদানিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র বিতর্ক

জোহরান মামদানিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র বিতর্ক সংগৃহীত



 
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য ও ডেমোক্র্যাট নেতা জোহরান মামদানিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কট্টর রক্ষণশীল মহল তাঁকে “চরম বামপন্থার প্রতীক” বলে আখ্যা দিয়ে অভিযোগ তুলেছে, তিনি শুধুমাত্র একটি ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদই প্রচার করছেন না—বরং তার অবস্থান দেশের আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
সম্প্রতি জোহরান মামদানি প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একইসঙ্গে তিনি সরকার পরিচালিত গ্রোসারি স্টোর চালুর প্রস্তাব এবং মার্কসবাদ ঘেঁষা সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
এসব অবস্থানকে ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রয়োগ হলেও, অন্যপক্ষ একে দেখছে মতাদর্শিক অনুপ্রবেশ হিসেবে—যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী।
জর্জিয়াভিত্তিক Colquitt County Republican Party এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,জোহরান মামদানি আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে এমন মতবাদ প্রচার করছেন, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, মূল্যবোধ ও নিরাপত্তার পরিপন্থী।সংগঠনটি আরও দাবি করে, ১৯৫৪ সালের Communist Control Act প্রয়োগ করে মামদানির মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল ও তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত।
জোহরান মামদানির সমর্থকরা বলছেন, তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী তাঁর রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তাঁরা একে গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদেরই অংশ হিসেবে দেখছেন।
তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এ ধরনের মতবাদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নতা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে মামদানিকে ঘিরে চলমান বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুমাত্রিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে অভিবাসী রাজনীতিকদের ভূমিকা, মতপ্রকাশের সীমা ও জাতীয় নিরাপত্তা—এই তিনটি প্রশ্ন একত্রে উঠে আসছে এই বিতর্কে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক শুধু মামদানিকে ঘিরেই নয়, বরং এটি মার্কিন রাজনীতিতে মতাদর্শিক বিভক্তির একটি বড় প্রমাণ।

কমেন্ট বক্স