Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচন

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই মাঠে থাকছেন অ্যান্ড্রু ক্যুমো

  ‘স্পয়লার’ সমালোচনায় তুঙ্গে বিতর্ক
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই মাঠে থাকছেন অ্যান্ড্রু ক্যুমো সংগৃহীত



 
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়াইয়ে থেকে যাচ্ছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির কাছে পরাজয়ের পর অনেকেই তাঁর সরে যাওয়ার প্রত্যাশা করলেও, নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে ২৭ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত তিনি নাম প্রত্যাহার করেননি।
অ্যান্ড্রু ক্যুমো এবার ‘Fight and Deliver’ নামক নিজস্ব ব্যালট লাইনে নভেম্বরের নির্বাচনে প্রার্থী থাকছেন। যদিও তিনি এখনো সক্রিয় নির্বাচনী প্রচারে যাবেন কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ডেমোক্রেটিক দল ও কনজারভেটিভ মহলের অনেকেই ক্যুমোর এই অবস্থানকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করছেন। নিউইয়র্ক স্টেট কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান জেরার্ড কাসার বলেন, ক্যুমো যদি দৌড়ে থাকেন, তাহলে তিনিই মামদানিবিরোধী ভোট ভাগ করে দেবেন এবং এতে মামদানিকেই সুবিধা হবে। এটা শতভাগ স্পয়লার ভূমিকা। তিনি আরও বলেন, তার জয়ের কোনো সুযোগ নেই। তিনি শুধু এরিক অ্যাডামস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার ভোট কাটবেন।
এ নির্বাচনে শুধু কুয়োমোই নন, আইনজীবী জিম ওয়ালডেনও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে, মেয়র এরিক অ্যাডামস নিজেও এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির বাইরে একটি স্বতন্ত্র ব্যালট লাইন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভিড়ে ভোট বিভক্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্যুমো মাঠে থাকা মামদানিকে জয়ের পথে সহায়তা করতে পারে, কারণ ডেমোক্রেটিক ও মধ্যপন্থী ভোটের একটি বড় অংশ আদর্শগত কারণে তাঁকে ভোট দিতেও পারে না, আবার ক্যুমো বা অ্যাডামসের মাঝে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
এটি প্রথমবার নয়, যখন অ্যান্ড্রু ক্যুমো পরাজয়ের পরও স্বতন্ত্র ব্যালটে থেকে যান। ২০০২ সালে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে কার্ল ম্যাককেলের কাছে হার মানার পরও তিনি লিবারেল পার্টির ব্যালটে থেকে যান—যদিও পরে তিনি ম্যাককেলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
নির্বাচনী লড়াই ক্রমেই জটিল ও বহুমাত্রিক হয়ে উঠছে। কুয়োমোর মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন নির্বাচনের রসায়ন বদলে দিচ্ছে, তেমনি প্রশ্ন তুলছে—রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও নেতৃত্বের দায় সম্পর্কে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স