ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আজ ২৮ জুন (শনিবার) ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে ‘কুৎসিত এবং অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করার দাবি করার পর ইরান এই নিন্দা জানায়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে আরাকচি লিখেছেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে সৎ হন, তাহলে তার উচিত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির প্রতি অসম্মানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকা এবং তার লাখ লাখ সমর্থককে আঘাত করা বন্ধ করা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান ও শক্তিশালী ইরানি জনগণ, হুমকি এবং অপমানকে সদয়ভাবে গ্রহণ করবেন না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহান্তে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে, গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ১২ দিনের সংঘাতে ওয়াশিংটন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় যোগ দেয়।
শনিবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে খামেনির অকৃতজ্ঞতার অভিযোগ এনে ইরানি নেতাকে হত্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। এরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নিন্দা আসে।
ট্রাম্প পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ঠিক জানতাম, খামেনিকে কোথায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং আমি ইসরাইল বা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে ক্ষমতাধর মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দেব না।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও যোগ করেন, ‘আমি তাকে অত্যন্ত কুৎসিত এবং ঘৃণ্য মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি এবং এ জন্য তাকে বলতে হবে না যে মি. প্রেসিডেন্ট আপনাকে ধন্যবাদ।’
ট্রাম্প আরও বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কাজ করছেন, যা তেহরানের অন্যতম প্রধান দাবি। ট্রাম্প ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘কিন্তু না, বরং আমি রাগ, ঘৃণা এবং ঘৃণার একটি বিবৃতিতে আঘাত পেয়েছি এবং অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’ ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আবার আলোচনা শুরু হবে।
ট্রাম্পের এই কথা বলার পর ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার কথা অস্বীকার করেছে।
ঠিকানা/এসআর