যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) হেফাজতে থাকা অবস্থায় আরও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। তাঁদের একজন কিউবা এবং অন্যজন কানাডার। গত বছর অক্টোবরে অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত আইসের হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, আইসে আটক অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সী একজন কিউবান ব্যক্তি মারা গেছেন। এর কিছুদিন আগে গত ২৩ জুন মায়ামির একটি কারাগারে কানাডার নাগরিক ৪৯ বছর বয়সী জনি নভিয়েলোকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধার ফলে মৃত্যুর হার নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জন অভিবাসন বন্দী মারা গেছে, যার মধ্যে অন্তত দুটি ছিল আত্মহত্যার ঘটনা।
আইসের হেফাজতে এসব মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। আমেরিকানস ফর ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিসের মামলা ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক পল শ্যাভেজ বলেন, আমি আমার ২০ বছরের পেশাজীবনে এমন খারাপ পরিস্থিতি আগে দেখিনি। আগেও অবস্থা ভালো ছিল না, তবে বর্তমানের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আইসের প্রতিদিন ৩ হাজার আটকের লক্ষ্যমাত্রার অভিবাসন অভিযানে কারাগারগুলোর উপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ৫৬ হাজার ৩৯৭ জন অভিবাসী বন্দি রয়েছেন। যা আইসের ধারণক্ষমতার চেয়ে ১৪০ শতাংশ বেশি। আইসের আগ্রাসী নীতি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।