Thikana News
০৫ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত কর হ্রাস ও সরকারি ব্যয় প্যাকেজ ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ কংগ্রেসে চূড়ান্ত বাধা পার করেছে। দেশটির প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিলটি ২১৮-২১৪ ভোটে পাস হয়। এর ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে বড় অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিলটি আগে মঙ্গলবার সিনেটে ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। সেখানে সমান ভোট পড়ায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স টাই ভেঙে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেন।

এই আইনের আওতায় ২০১৭ সালের কর ছাড় স্থায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যয় ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। তবে বিপরীতে কাটছাঁট করা হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেইড) ও খাদ্য সহায়তা খাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস জানিয়েছে, এই বিল বাস্তবায়িত হলে শুধু স্বাস্থ্য খাতেই প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার কমানো হবে। এতে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ (১২ মিলিয়ন) মানুষ স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবেন।

৮৬৯ পৃষ্ঠার বিলটিতে পরবর্তী দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ বেড়ে যাবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বিলটি পাসের আগে ট্রাম্প নিজ দল রিপাবলিকানদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও শেষ মুহূর্তে সব চাপ ও আলোচনা পেরিয়ে মাত্র দুই রিপাবলিকান বাদে বাকি সবাই বিলটির পক্ষে ভোট দেন।

বিলটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক জ্বালানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। তিনি বলেন, ‘এটি অর্থনীতির জন্য জেট ফুয়েল, যার সুফল সবার ঘরেই পৌঁছাবে।’

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়) এই বিলটিতে সই করবেন। তারপর এটি আইনে পরিণত হবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিজ বিলটির বিরুদ্ধে টানা ৮ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ধরে বক্তৃতা দিয়েছেন, যা কংগ্রেসের ইতিহাসে দীর্ঘতম ভাষণ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। তিনি বলেন, ‘বিলটির লক্ষ্য ধনীদের কর ছাড় দিয়ে সাধারণ আমেরিকানদের দুর্দশায় ফেলা।’

বিলটিতে অবসরে যাওয়া নাগরিক, বকশিশভিত্তিক আয়ের মানুষ এবং ওভারটাইম করা কর্মীদের জন্য কর ছাড় যুক্ত হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গাড়ি ঋণের ওপরও কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বিলটি পাস হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমাও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও এই নিয়ে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে সুদের হার বাড়তে পারে এবং মার্কিন বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পেতে পারে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স