যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সময় কেউ স্পাউসের নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে বিয়ের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে। এটাও প্রমাণ করতে হবে, তারা যেখান থেকে এসেছেন সেখানে বিয়েটি হয়েছে এবং বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করা হয়েছে। কেউ যদি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে বিয়েটি টেলিফোনে হয়েছে, তাহলে ওই বিয়ে বৈধ হয়েছে বলে ধরা হবে না।
ইউএসসিআইএস বিদেশি শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিয়ের বৈধতা সম্পর্কিত নির্দেশিকা আপডেট করেছে। আপডেট করা নির্দেশিকা অনুসারে, অভিবাসন সুবিধার উদ্দেশ্যে বৈধ বিবেচিত হওয়ার জন্য প্রধান আশ্রয়প্রার্থী বা প্রধান শরণার্থী এবং তাদের দাবি করা ডেরিভেটিভ স্বামী/স্ত্রীর মধ্যে বিয়ে অবশ্যই সেই অধিক্ষেত্রের আইনের অধীনে বৈধ হতে হবে, যেখানে বিয়েটি উদ্যাপন করা হয়েছিল। এই নির্দেশিকা ৩ মার্চ ২০২৫ থেকে কার্যকর এবং সেই তারিখে বা তার পরে মুলতবি থাকা বা দায়ের করা অনুরোধগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ বিষয়ে খ্যাতনামা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, নতুন নীতি আপডেট করার ফলে একজন অ্যাসাইলি কিংবা শরণার্থী, যিনি মূল আবেদনকারী, তিনি যদি তার স্পাউসকে সম্পৃক্ত করতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই তাদের বিয়ে বৈধভাবে হয়েছে বলে প্রমাণ করতে হবে। কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসে টেলিফোনে বাংলাদেশে বিয়ে করেছেন বলে দেখাতে চান, তাহলে সেই বিয়ে বৈধ হবে না। এই বিয়ে কোনোভাবেই ইউএসসিআইএস গ্রহণ করবে না। এখান থেকে কেউ যদি অন্য দেশে গিয়ে বিয়ে করে আসেন, তাহলে তাকে সেই দেশ অনুযায়ী বৈধ বিয়ের নথিপত্র দিতে হবে। এখানে আসার পর যদি কেউ বিয়ে করেন, তাহলে এখানকার বিয়ের সব বৈধ নথিপত্র দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বোনাফাইড ম্যারেজ প্রমাণ করা জরুরি বিষয়। তাই যাদের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে, তাদের দেখাতে হবে, সকল আইন মেনে তারা বিয়ে করেছেন এবং অনুষ্ঠান করেছেন। কেউ যদি বিয়ের বৈধতা দেখাতে না পারেন, তাহলে অভিবাসন সুবিধা পাবেন না।