Thikana News
১২ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
জুলাই বিপ্লবের চেতনা

ফ্যাসিবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি জাতির অঙ্গীকার

ফ্যাসিবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি জাতির অঙ্গীকার
অনেক সমস্যার আবর্তে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি হয়ে গেল। জুলাই বিপ্লবের সাফল্য একটি জাতির অদম্য চেতনা ও সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তির মহাকাব্যিক দলিল। এটি কোনো একক রাজনৈতিক দল, অভিজাত শ্রেণি বা মতাদর্শিক গোষ্ঠীর কৃতিত্ব ছিল না। বরং এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাকৃতিক জাতীয় জাগরণ-আঘাত, ক্ষোভ, আশা ও সংকল্পের একত্রিত বিস্ফোরণ, যা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্র করেছিল। এই বিপ্লব জন্ম নিয়েছিল বছরের পর বছর ধরে চলা নিপীড়ন, অবিচার ও রাজনৈতিক দমনের গভীর ক্ষত থেকে। এটি ছিল এমন একটি জাতির সম্মিলিত চিৎকার, যাদের দীর্ঘদিন ধরে নীরব করে রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন এক কণ্ঠে বলে উঠেছিল : আর না!
এই গণজাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ছাত্রসমাজÑজাতির বিবেক ও অগ্রভাগের যোদ্ধারা। তারা ভয় না পেয়ে রাজপথে নেমেছিল, কঠোর দমননীতির মুখেও পিছু হটেনি। তাদের সাহস অনুপ্রাণিত করেছিল দেশের তরুণ প্রজন্মকে। তাদের স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছিল শহর থেকে শহরে, ক্যাম্পাস থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং জাগিয়ে তুলেছিল অনেক ক্লান্ত, হতাশ হৃদয়কে। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, পেশাজীবী এবং শিশু কোলে মায়েরা, যারা সবাই একটি লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলÑস্বৈরশাসন থেকে মুক্তি ও গণতান্ত্রিক মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তারা সম্মিলিতভাবে ভেঙে দিয়েছিল সেই ভয়ের দুর্গ, যার ওপর দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা।
এই ঐতিহাসিক ও রূপান্তরকামী অর্জনের কৃতিত্ব কোনো একক নেতা বা সংগঠনের নয়, বরং প্রত্যেক সেই নাগরিকের, যারা মিছিল করেছে, প্রতিবাদ করেছে, প্রার্থনা করেছে, কর্মীদের আশ্রয় দিয়েছে, সত্য ছড়িয়েছে কিংবা শুধু ভয়কে না বলে দাঁড়িয়ে থেকেছে। এটি ছিল আত্মিক ও নৈতিক এক বিপ্লবÑনিরস্ত্র কিন্তু দৃঢ়। এটি কোনো বিদেশি সহায়তায় নয়, বরং দেশের মানুষের অভ্যন্তরীণ ন্যায়ের প্রতি তীব্র আকাক্সক্ষা ও স্বাধীনতার তৃষ্ণা থেকেই জন্ম নিয়েছিল।
আর তাই যখন বিপ্লবের পতাকা উড়ল এবং ভয়ভীতির প্রাচীর ভাঙতে শুরু করল, তখন জনগণ একটি জাতীয় শপথ নিলÑআর কখনো বিভাজন ও দাসত্বের শৃঙ্খলে ফিরে যাবে না। তারা অঙ্গীকার করল, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং গড়বে একটি নতুন বাংলাদেশÑএকটি দেশ, যেখানে থাকবে না বংশানুক্রমিক রাজনীতি, দুর্নীতি বা দমননীতি; থাকবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, মানবিকতা ও আইনের শাসন।
কিন্তু ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়, একটি শাসন পতনের পরই মূল সংগ্রাম শুরু হয়। সামনে যে পথ, তা কণ্টকাকীর্ণ-চোখে দেখা যায় এমন শত্রুর চেয়ে গোপন ষড়যন্ত্র আরও বিপজ্জনক। সেই পুরোনো শক্তিরাই এখন ছদ্মবেশে-কখনো আমলাতন্ত্রে, কখনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবক, আবার কখনো অভ্যন্তরীণ সুবিধাভোগী রূপেÑবিপ্লবের চেতনা হাইজ্যাক করার চক্রান্তে লিপ্ত। বিপ্লব কেবল প্রতীকী বিজয়ে থেমে থাকলে চলবে না। এই আগুনকে এখন জ্বালাতে হবে নীতিতে, সংস্কারে আর অদম্য সতর্কতায়।
এটি আত্মতৃপ্ত হওয়ার সময় নয়Ñএটি স্পষ্টতা, অঙ্গীকার এবং টানা লড়াইয়ের সময়। ঐক্যের যে শপথ জনগণ নিয়েছিল, সেটি যেন কেবল স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। তা প্রতিফলিত হোক প্রতিটি কাজে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে, প্রতিটি পরিবারে। যে স্বপ্নে লাখো মানুষ জেগে উঠেছিল, সেই স্বপ্নকেই এখন বাস্তব নির্মাণে রূপ দিতে হবেÑচিন্তায়, কাঠামোয় ও জাতীয় চরিত্রে। জুলাই বিপ্লব তার পূর্ণতা পাবে তখনই, যখন সেই নতুন বাংলাদেশ বাস্তবিক অর্থে গড়ে উঠবে। এবং এখন, যখন বিপ্লবের ধুলো একটু একটু করে বসে যাচ্ছে, ঠিক তখনই একটি ভয়ংকর নতুন যুদ্ধের মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছেÑএটি আর উন্মুক্ত দমন নয়, এটি আর রক্তাক্ত বিদ্রোহ নয়। এটি হচ্ছে তথ্যযুদ্ধ, মানসিক ধোঁয়াশা এবং কৌশলগত ষড়যন্ত্র।
এই যুদ্ধ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিদেশি সংবাদপত্রে, কূটনৈতিক চ্যানেলে এবং এমনকি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কাঠামোর মধ্যেও। এখানেই এখন বাংলাদেশের আত্মার জন্য চলছে এক নতুন যুদ্ধ।
বর্তমানে এটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে বিদূরিত সরকারের প্রতি অনুগত গোষ্ঠীগুলো এবং সীমান্তপারের প্রভাবশালী শক্তিগুলো একত্রে কাজ করছে-নতুন করে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যকে ধ্বংস করতে এবং জনগণের বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে। এই অভ্যন্তরীণ সুযোগসন্ধানী ও বিদেশি ষড়যন্ত্রীদের জোট এখন একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-ট্যাঙ্ক বা পুলিশি দমন-পীড়নের মাধ্যমে নয়, বরং প্রচারণা, গুজব, ছলনামূলক কূটনীতি এবং মানসিক যুদ্ধের মাধ্যমে। তাদের লক্ষ্য অত্যন্ত সরল কিন্তু মারাত্মক : বিপ্লবের চেতনাকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেওয়া, জনগণের মধ্যে আবার বিভাজন সৃষ্টি করা এবং নতুন বাংলাদেশের অঙ্কুরোদ্গম হওয়ার আগেই তাকে ধ্বংস করে দেওয়া।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক ও অস্বীকারযোগ্য নয় এমন সত্য হলো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সরাসরি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। বহুদিন ধরেই তারা ঢাকা শহরের রাজনৈতিক কাঠামোয় ছায়াময় প্রভাব বিস্তার করে আসছে, কিন্তু এখন তারা প্রকাশ্যেই তৎপরÑআসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার পরিকল্পিত চেষ্টায়। তাদের উদ্দেশ্য কৌশলগত ও লেনদেনভিত্তিকÑবাংলাদেশে এমন একটি সরকার নিশ্চিত করা, যা ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে, জনগণের ইচ্ছা প্রকাশ করে কি না তা তাদের কাছে গৌণ। এ উদ্দেশ্যে তারা ব্যবহার করছে সাইবার অনুপ্রবেশ, কূটনৈতিক চাপ, অর্থনৈতিক ব্ল্যাকমেল, এমনকি মাটিতে বিশৃঙ্খলাকারী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন।
তারা সমন্বিতভাবে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেÑরাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ব্যাহত করা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সাজানো ঘটনা ও প্রভাবিত মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশ করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যেগুলো জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা, সেগুলোর অনেকগুলো আজও আগের সরকারের নিযুক্ত অনুগতদের দ্বারা দখলীকৃতÑযাদের নিয়োগ হয়েছিল দক্ষতার জন্য নয়, বরং অন্ধ আনুগত্যের বিনিময়ে। এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী আজও নীরব, নিষ্ক্রিয় কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাদানকারী হয়ে আছেÑযখন দেশটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য, দক্ষতা ও সংস্কারের। তাদের এই নিষ্ক্রিয়তা নিরপেক্ষ নয়, এটি ধীর বিষক্রিয়ার মতো বিশ্বাসঘাতকতা।
কিন্তু এর চেয়েও বেশি মারাত্মক হলো ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক বয়ান তৈরির আন্তর্জাতিক প্রচারণা। একটি সুস্পষ্ট প্যাটার্ন লক্ষ করা যাচ্ছেÑপুনরাবৃত্তি ও কৃত্রিমভাবে তৈরি কিছু বিষয়ের জোরালো প্রচার চালানো হচ্ছে :
‘ইসলামিক মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে’Ñএই ভীতিজনক বয়ানটি পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা মনস্তত্ত্বকে ঘোচাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাকিস্তানের আইএসআই সক্রিয়Ñএ ধরনের অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই, তবু আঞ্চলিক নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি হস্তক্ষেপের পথ তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগÑযেগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে অতিরঞ্জিত বা সম্পূর্ণ মনগড়া, যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ আহ্বান করা যায়।
এই গল্পগুলো সত্য বা সহানুভূতির জায়গা থেকে তৈরি নয়, বরং এগুলো কৌশলগতভাবে তৈরি করা মিথ্যা, যার উদ্দেশ্য হলো সন্দেহ সৃষ্টি, জনগণকে বিভক্ত করা, বিপ্লবকে অবৈধ প্রমাণ করা এবং ‘সহানুভূতির ছায়ায়’ বিদেশি হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করা। যারা এই বয়ানগুলোর কারিগর,     তারা জানে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর ওপর কীভাবে আন্তর্জাতিক প্রচারণাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। তারা ভাবছে বাংলাদেশকেও আগের মতো ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছেÑএটা আর সেই পুরোনো বাংলাদেশ নয়।
আজকের জনগণ অনেক বেশি সচেতন। তারা দেখতে পেয়েছে কীভাবে আগের সরকার ছিল বিদেশি স্বার্থের প্রতিনিধি। তারা বুঝে গেছেÑপ্রকৃত হুমকি কেবল বাইরের কোনো শক্তির নয়, বরং তাদের মধ্যেই রয়েছে, যারা রাজনৈতিক সুবিধা বা বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতার জন্য নিজেদের বিবেক বিক্রি করে দেয়। এই বিপ্লব শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি কৌশলগত জাগরণও বটে। এখনকার দেশপ্রেমিকরা জানেÑমুক্তি কোনো এক দিনের ঘটনা নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা প্রতিদিন রক্ষা করতে হয় মিথ্যা, ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসঘাতকদের হাত থেকে।
এই সময় আমাদের দরকার শুধু আবেগতাড়িত ঐক্য নয়, কৌশলগত স্পষ্টতা, তথ্য-সচেতনতা, প্রাতিষ্ঠানিক সতর্কতা ও সত্যের প্রতি আপসহীন দায়বদ্ধতা।
কোনো গুজব যেন প্রশ্নহীন না থাকে, কোনো চক্রান্ত যেন অবহেলায় পার পেয়ে না যায়, কোনো বিশ্বাসঘাতক যেন চিহ্নিত না হয় এমনভাবে।
এই দেশের শত্রুÑতারা হোক বিদেশি দূতাবাসে কিংবা স্থানীয় বোর্ডরুমেÑতাদেরকে সাহসিকতা, প্রমাণ এবং জাতীয় সংকল্পের মাধ্যমে মোকাবিলা করতেই হবে।
বাংলাদেশ রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে তার বিপ্লব অর্জন করেছে। এখন সময় এসেছে সেই বিপ্লবকে শৃঙ্খলা, প্রজ্ঞা ও অবিচল ঐক্যের মাধ্যমে রক্ষা করার। যাত্রা কেবল স্বৈরাচার অপসারণে শেষ নয়Ñএর পরিণতি হতে হবে একটি সার্বভৌম, সত্যনিষ্ঠ ও জনগণনির্ভর প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।
এই সংকটময় সময়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদের থাকতে হবে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ। সংগ্রাম এখন শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি অস্তিত্বের প্রশ্ন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ভেতরের বিশ্বাসঘাতকদের ও বাইরের হুমকির প্রতি। যারা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কাজ করেÑতাদের পরিচয়, পদ বা পতাকা যা-ই হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে। এটি কোনো দলের দায়িত্ব নয়, এটি জাতীয় দায়িত্বÑরাজনীতির ঊর্ধ্বে, পক্ষপাতিত্বের বাইরের একটি কর্তব্য।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিহিত রয়েছে ঐক্য, সততা ও সংস্কারের মধ্যে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন দায়িত্ব নিতে হবে-ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং নিজেদের শুদ্ধ করতে, দুর্নীতি দূর করে নিঃস্বার্থভাবে দেশের সেবা করতে।
বিভেদের রাজনীতি, তোষণের সংস্কৃতি এবং বিদেশি স্বার্থে আপসের ঐতিহ্য-এসব এখনই বন্ধ করতে হবে। তাহলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব এক নতুন যুগে-ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও প্রকৃত জনগণের শাসনের যুগে।
আমরা এই পর্যন্ত এসেছি শুধু টিকে থাকার জন্য নয়, পরিবর্তনের জন্য। এখন আর পিছিয়ে যাওয়ার সময় নয়।
এসো, একসঙ্গে গড়ি এমন এক বাংলাদেশ, যে দেশ গর্বের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকবে, থাকবে না কোনো স্বৈরাচার, থাকবে না কোনো বিদেশি প্রভাব, থাকবে শুধু এ দেশের মানুষের স্বপ্ন ও আদর্শের প্রতিফলন।
 

কমেন্ট বক্স