ইগা সিওনতেক এর আগে ক্যারিয়ারে ৫টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। তবে উইম্বলডন ফাইনালটা ছিল তার জন্য বিশেষ, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফইনালে উঠেই ট্রফিটা হাতে তুললেন। ১২ জুলাই (শনিবার) যুক্তরাষ্ট্রের আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন এই পোলিশ তারকা।
সিওনতেক এর আগে কোন গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে হারেননি, আর এবার যা করলেন তা তো অবিশ্বাস্য।
উইম্বলডনের নারী এককের ফাইনালে দুজনই উঠেছেন প্রথমবার। একজন কোর্টে নামেন ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে আর অন্যজন প্রথম শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু সিওনতেক এতটাই দুর্দান্ত ছিলেন যে আনিসিমোভার স্বপ্নটা ভেঙেছে মাত্র ৫৭ মিনিটে।
আনিসিমোভাকে লড়াই করার কোনও সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম উইম্বলডন জিতলেন সিওনতেক। এর আগে চারবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ও একবার ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই পোলিশ তারকা।
উইম্বলডনের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে টানা ১৮ গেমে জয়ের ধারাটা অব্যাহত রাখলেন সিওনতেক। পোল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন তিনি। গ্র্যান্ড স্লামে ১২০ ম্যাচে এটি তার শততম জয়।
৩৭ বছর পর টেনিসের কোন গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ৬-০, ৬-০ স্কোরলাইন দেখা গেল। ইতহাসে এর আগে প্রতিপক্ষকে ‘ডাবল ব্যাগেল’ উপহার দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল আরও দুইবার। ১৯১১ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে ডোরা বুথবিকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছিলেন ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স এবং ১৯৮৮ সালের ফরাসি ওপেনের ফাইনালে বেলারুশের নাতাশা জেভেরেভাকে মাত্র ৩৪ মিনিটে হারিয়েছিলেন ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী জার্মান গ্রেট স্টেফি গ্রাফ।
সর্বশেষ আট আসরে আট নারী চ্যাম্পিয়নের দেখা পেল উইম্বলডন। ক্যারিরেয়ার প্রথম উইম্বলডন জিতে প্রাইজমানি হিসেবে সিওনতেক পেয়েছেন ৩০ লাখ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
প্রথমবার উইম্বলডন ট্রফি জয়েরে পর ২৪ বছর বয়সী সিওনতেক বলেন, ‘খুবই অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। এখানে দারুণ দুটি সপ্তাহ কাটানোর জন্য প্রথমেই আমান্ডাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করছি তুমি এখানে আরও অনেক ফাইনাল খেলবে। সত্যি বলতে এমন কিছু করার স্বপ্নও দেখিনি। আমার কাছে খুব বেশি মনে হচ্ছে। এর আগেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি, নিজেকে অভিজ্ঞ মনে হলেও উইম্বলডন আশা করিনি।’
ঠিকানা/এসআর