ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় নিউইয়র্কে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ৮ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলে ইসলামিক স্কলাররা বলেছেন, পবিত্র আশুরা বা কারবালার ঘটনা মুসলিম জাহানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এ শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে প্রত্যেক মুসলিমের ব্যক্তি জীবনে। কারবাবালায় যে ত্যাগের মহিমার উদাহারণ সৃষ্টি হয়েছিল এ বিয়োগাত্মক ঘটনা মুসলিম জাহানকে এখনো কাঁদিয়ে বেড়ায়।
আশুরা উদযাপন কমিটি, নিউইয়র্ক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উডসাইডের আহলে বাইয়াত মসজিদের পেশ ইমাম ড. সাইয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. সাইয়্যেদ আনসারুল করিম আল আজহারী।
আলোচনায় অংশ নেন আবু হুরাইরা মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন, মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, মোহাম্মদী সেন্টারের ইমাম কাজী কায়্যূম, আয়োজকদের পক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও নুরুল আজিম।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর। কেরাত পাঠ করেন সাইয়্যেদ মুনতাজির বিল্লাহ রাব্বানী। নাতে রাসুল (সা.) পাঠ করেন ওমর ফারুক। কমিউনিটির বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সভাপতি দুলাল বেহেদু, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার কাজী এলিন, স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার এনায়েত, স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার ফরহাদ খন্দকার, ব্যবসায়ী রফিকুল হক টিটো প্রমুখ।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়।
তিনি বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে।