Thikana News
২৭ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনো পাইনি : নাহিদ ইসলাম

নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনো পাইনি : নাহিদ ইসলাম ছবি সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আফসোসের বিষয়, আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনো পাইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ নতুন দেশ না গড়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলতে থাকবে।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাত নয়টায় কিশোরগঞ্জে সারা দেশে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে যখন দেখেছি গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। যখন আমরা দেখেছি রাষ্ট্রযন্ত্র থাকে দুর্নীতিকে চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়নি। আমরা বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরোনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়েছে শেখ হাসিনার সংবিধানসহ সরকার ব্যবস্থা ছিল এসব নিয়ম পাল্টিয়ে নতুন রাষ্ট্র, নতুন সরকার তৈরি করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা তো এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা মানুষের নাগরিকের মর্যাদা পাবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে শিক্ষক নাই, হাসপাতাল আছে চিকিৎসক নাই, যুবসমাজ আছে কিন্তু কর্মসংস্থান নাই, অনেক বাজেট আছে রাস্তা নাই। আপনাদের এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি এই বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়েছিল। মানুষের মানবাধিকার, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। এই কিশোরগঞ্জ থেকেই আপনারা সেই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

তরুণ নেতৃত্বকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তরুণদের নেতৃত্বে। তরুণদের ওপর আস্থা রেখে বাংলাদেশের মানুষ নেমে এসেছিল। আমরা আবারও বলছি এই তরুণদের ওপর আস্থা রেখে আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করুন। তরুণরা রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি। গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি তরুণদের কাজে লাগাতে না পারি, এই তারুণ্যের শক্তিকে যদি দেশ গঠনের কাজে লাগানো না যায়, বাংলাদেশকে আর কখনো গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। সংস্কার, বিচার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। এই কিশোরগঞ্জে এখনো অনেক মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। শহীদ পরিবারকে এখনো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আহত যোদ্ধাদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা দেখতে চাই এই সকল সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে। যারা শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এর আগে রাত আটটায় শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা করে তারা পুরান থানা এলাকায় সমাবেশস্থলে যান। এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো শহর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে। শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশের আয়োজন করায় সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকে।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্যসচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক খায়রুল কবির বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স