মামুন জামিল
গা ভর্তি ছিল মখমলি পশম, বাহারি লম্বা লেজ
লেজ নাড়িয়া, ভেংচি কাটিয়া দেখাইতাম সকল তেজ!
বাঘের সাথেও দুষ্টুমি চলিত মাথায় মারিয়া ‘চাটি’
‘ন্যাংটা’ হইলেও থাকিতাম আমি পরিষ্কার পরিপাটি!
কলা খাইতাম ইচ্ছামতো গৃহস্থের গাছের পাড়িয়া
এক লম্পে পালাইয়া যাইতাম পারিত না নিতে কেউ কাড়িয়া!
গাছের ডালে হেলিয়া দুলিয়া খেলিয়া কাটিত দিন
পৃথিবীটা ছিল শুধুই আনন্দের, সুখে ভরা রঙিন।
এমনি করিয়া কখন যে হায় খসিয়া পড়িল লেজ
লোমও ঝরিল মনুষ্য হইলাম, হারাইলাম সকল তেজ!
সংসার পাতিলাম সভ্য জগতে ধরিয়া মানুষের রূপ
এখন দেখি মানুষই অসভ্য, হানাহানি করে খুব!
নেত্রী নেতারা খেলিতেছে লইয়া, খেলিতেছে চিন্তাবিদ
উজাড় হইতেছে সভ্য মানবীয় বাগানের উদ্ভিদ!
বিবর্তন নিয়া কথা বলিতেছে, বাঁদরকে করিতেছে ঘৃণা
কী করে বুঝি ‘কুল মাখলুকাতে’ মানুষই শ্রেষ্ঠ কি না!
মানুষ যদি শ্রেষ্ঠই হবে তবে কেন এত সংশয়
তাঁদের সমাজে বসবাসে কেন মনে জাগে দ্বিধা ভয়?
কী যে সুখ ছিল বাঁদরের জীবন, বাঁদরের বাঁদরামি
হাসিয়া খেলিয়া চলিতে পারিতাম নির্ভয়ে দিবাযামী!
মানুষ হইয়াও মনুষ্য সমাজে নিশ্চিত পাই না ঠাঁই
ইচ্ছে করে আগের জীবনে জঙ্গলে ফিরিয়া যাই!!