Thikana News
২২ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে ইজিপ্ট এয়ার ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে ইজিপ্ট এয়ার ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
কী দুর্ভাগ্য আমাদের বাংলাদেশের মানুষের। কত প্রতীক্ষার পর চালু হয়েছিল ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট। বিশেষ করে, প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির আনন্দের সীমা ছিল না নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায়। প্রবাসী বাঙালিরা যে দেশে যাওয়ার অসুবিধার জন্যই কেবল বিমান চলাচল শুরু হওয়ায় আনন্দিত ছিলেন, তা নয়। বিমান যখন ছিল না, তখনো বাংলাদেশিরা দেশ ভ্রমণ করেছেন। এখন যে বন্ধ হয়ে গেছে, তার পরও বাংলাদেশিরা সন্তানসন্ততি, আত্মীয়-পরিজন নিয়ে দেশে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশিদের কষ্ট অন্যখানে। কষ্ট নস্টালজিয়া। কষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করার জন্য। কষ্ট পুনরায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু করার ক্ষেত্রে বারবার অসত্য বলায়। একই রুটে কত দেশের বিমানের ফ্লাইট চলছে নিরুপদ্রবে। লোকসানের কোনো অজুহাত নেই। কোনো ওজর-আপত্তি নেই। এক-দুটি ফ্লাইট চলছে না নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে। ইত্তেহাদ, টার্কি এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া, সিঙ্গাপুর, থাই এয়ারলাইন্সÑআরও হয়তো দু-একটা আছে। কেউই লোকসানে তাদের বিমান এই রুটে চালাচ্ছে না। এখনো কোন দেশ নতুন নতুন এয়ার ফ্লাইট চালানো শুরু করছে।
সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, ‘নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু করছে ইজিপ্ট এয়ার’। খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ঠিকানার ৩ মে সংখ্যায়। চালু হওয়ার কথা ১৩ মে থেকে। খবরে বলা হয়, ১৩ মে (শনিবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজিপ্ট এয়ার শুরু করবে এই যাত্রা। নতুন যাত্রা শুরু উপলক্ষে যাত্রীদের জন্য আকর্ষণীয় সব অফার ঘোষণা করা হয় ইজিপ্ট এয়ারের পক্ষ থেকে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘রাজধানী কায়রোতে যাত্রাবিরতি ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণসহ আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে নিউইয়র্ক-ঢাকা রিটার্ন ফ্লাইট চালু করছে মিসরের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইজিপ্ট এয়ার।’ তাদের ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে শুভযাত্রার এই ঘোষণা দেন ইজিপ্ট এয়ারের জিএসএ বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও পরিচালক সৈয়দ আলী সামী। সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণায় তুলনামূলক কম ভাড়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। ১২০ ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য মিসর ভ্রমণের স্পেশাল প্যাকেজ। হোটেলে এক রাত থাকা-খাওয়া এবং ঐতিহাসিক পিরামিড দেখার সুযোগ। ২ দিন এবং ৩ দিনের আরও অধিক সুবিধার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য ইজিপ্ট এয়ারের এসব লোভনীয় সুবিধার কথা এই পরিসরে উল্লেখ না করলেও সম্পাদকীয়র কোনো অঙ্গহানি হতো না। এ কারণে কথাগুলো বলা হলো যে এত সুযোগ দেওয়ার পরও নিশ্চয় এয়ারলাইন্সটি মুনাফা করবে। তারা লোকসান দিয়ে অবশ্যই ফ্লাইট পরিচালনা করবে না। যারা ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট চালাচ্ছে, তারাও নিশ্চয় প্রফিট করেই চালাচ্ছে। বাংলাদেশেরই যেন কেবল লোকসান আর লোকসান। আবার সকলেরই মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে না ফেলে ব্যথার চিকিৎসা করতে দেখা যায় এবং সেটাই নিয়ম। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেন উল্টো। বাংলাদেশে মাথাব্যথার চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই মাথা কেটে ফেলে দেওয়া। এ নিয়মও দেখা যায়, যাদের দ্বারা দেশ উপকৃত হয়, তারাই শিকার হয় বঞ্চনার।

বলা হয়ে থাকে, প্রবাসীরাই বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা সচল রাখেন। অথচ তাদের আবেগ, ভালোবাসা, সুবিধার দিকে যেন সরকারের বিন্দুমাত্র নজর নেই। বাঙালি যাত্রীনির্ভর হয়ে সব এয়ারলাইন্সই মুনাফা করছে। অথচ আমাদের কে বা কারা সরকারকে কী বোঝাল, ব্যস কোনো খোঁজখবর নেই। অনুসন্ধান নেই। যাচাই নেই। বন্ধ হয়ে গেল বিমানের নিউইয়র্ক ফ্লাইট। যারা দেশপ্রেমিক, তাদের শাস্তি দিয়ে অপরাধীদের রক্ষার ব্যবস্থা করা হলো। প্রবাসীরা এ রকম পরিস্থিতির অবসান চান।

কমেন্ট বক্স