Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
টর্চার সেলে ডেকে নিয়ে রাসেলকে হত্যায়

জড়িত থাকার কথা স্বীকার ৩ জনের, রিমান্ডে ৯

জড়িত থাকার কথা স্বীকার ৩ জনের, রিমান্ডে ৯ ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার কেরানীগঞ্জে টর্চার সেলে ডেকে নিয়ে রাসেল হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ৩ জন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরা হলো- সজীব, আলমগীর ঠাণ্ডু ও আমির। বাকি ৯ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বন্ধুর নির্যাতনে বন্ধু খুন ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রাব্বিসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  বুধবার সকালে এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আফতাব উদ্দিন রাব্বি, সজীব, রাজীব, হীরা, ফিরোজ, আলমগীর ঠাণ্ডু, আমির, রনি, দেলোয়ার দেলু, শিপন, মাহফুজ ও মো. রতন শেখ। পুলিশ সুপার বলেন, ১০ই জানুয়ারি রাতে আফতাব উদ্দিন রাব্বি তার বন্ধু রাসেলকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তৈলঘাটে পারভিন টাওয়ারের নিচতলায় তার নিজ অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তার নেতৃত্বে রাতভর রাসেলকে এলোপাতাড়ি লাঠিসোঠা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। তারা কাঁচি দিয়ে রাসেলের মাথার চুল কেটে দেয়।

নির্যাতনের একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাব্বির নির্দেশে ৪-৫ জন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় তার বাসায় পৌঁছে দেয়। তারা রাসেলের স্ত্রীকে এ বিষয়ে থানা পুলিশ বা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। 
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হাওলাদার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আফতাব উদ্দিন রাব্বিকে প্রধান আসামি করে এজাহারভুক্ত ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাব্বির অফিসে গিয়ে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও তদন্ত টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্ত করে। 

জানা যায়, আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ও পারস্পরিক মতবিরোধের জেরে রাব্বি ও তার সহযোগীরা রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনার জেরেই তারা রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদিকে রাব্বির সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাসুদুর রহমানের সখ্যতা থাকার অভিযোগে তাকে ক্লোজ করেছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে নিহত রাসেলের স্ত্রী সুমি বেগম এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রানা, রাকিব ও বাপ্পিসহ আরও ৫-৬ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি বলেন, আমার স্বামীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই যারা তড়িঘড়ি করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঠিকানা/ছালিক

কমেন্ট বক্স