গেল সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। দৈনিক ৫-৬ ঘন্টা থাকতো না গ্যাস। আর আজ সকাল থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে সরবরাহ। সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরের কোথাও নেই গ্যাস। আর আকস্মিক এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে নাগরিক জীবনে। অধিকাংশ বাসায় জ্বলছে না চুলা। বন্ধ হয়ে গেছে বেশির ভাগ সিএনজি পাম্প। আর এর ফলে শহরে কমে গেছে গ্যাসচালিত গাড়ি।
জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে আকস্মিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গৃহস্থালির কাজকর্মে সবচেয়ে বেশি ব্যাঘাত ঘটছে। নগরের হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা শাহিদা আক্তার সাথী জানান, 'এমনিতেই গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস সমস্যা দিচ্ছিলো।
আর আজকে সকাল থেকে একেবারেই গ্যাস নেই। এখন শুনেছি লাইনের সমস্যা। এই সমস্যার কথা পাব্লিকলি আগে জানিয়ে দিলে তো এভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।অনলাইনে অর্ডার দিয়েও খাবার পাইনি।গ্যাস না থাকায় নাকি রান্না হচ্ছে না।'
হিলভিউ এলাকার বাসিন্দা আবু রোহামা বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সিএনজি চালিত গাড়িও রাস্তায় তেমন নেই। সকালে বাসা থেকে একটি পরীক্ষা দিতে বের হয়ে আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা পেয়েছি। তাও আবার অনেকটা দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছে।
ঠিকানা/এসআর