Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

রফতানিমুখী ৪৩ খাতের প্রণোদনা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

রফতানিমুখী ৪৩ খাতের প্রণোদনা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা



 

গত মাসে রফতানিমুখী ৪৩টি খাতে নগদ প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এবার সেই নির্দেশনা কার্যকর করার সময় এক মাস পিছিয়ে সংশোধনী প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ক সংশোধনী জারি করে সব ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়।  

 

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান বিষয়ে ৩০ জানুয়ারি জারি করা সার্কুলার বাতিল করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে।ওই দিন এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ জানায়, দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দিয়েছে। ডব্লিউটিও’র বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রফতানিনির্ভর সাবসিডি (সাবসিডি কন্টিনজেন্ট আপন এক্সপোর্ট পারফরমেন্স) হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এগ্রিমেন্ট অন সাবসিডিস অ্যান্ড কাউন্টারভেইলিং মেজার্স (এএসসিএম) অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনোরূপ রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেয়া যাবে না।
 
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়েছে, উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রফতানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। তাই ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
আগের সিদ্ধান্তের ১২ দিন পর গতকাল এ নির্দেশনা কার্যকরের তারিখ ১ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে করা হয় ১ ফেব্রুয়ারি। এতে সবপণ্যই রফতানির বিপরীতে আরও এক মাস আগের হারেই নগদ সহায়তা পাবে।
 
এ সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে জাহাজিকরণ করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার জন্য নতুন প্রণোদনার হার কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এর মধ্যে রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতের শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৩ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রফতানিকারকদের জন্য অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ১ শতাংশ, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য/নতুন বাজার (বস্ত্রখাত) সম্প্রসারণ সহায়তা দেয়া হবে (আমেরিকা/কানাডা/ইইউ/ইউকে ছাড়া) ৩ শতাংশ। আগের নির্দেশনায় ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াকে নতুন বাজার থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। নতুন নির্দেশনায় আবারও দেশ ৩টিকে নতুন বাজার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 
এছাড়া তৈরি পোশাক খাতের বিশেষ নগদ সহায়তা দেয়া হবে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। এগুলোসহমোট ৪৩টি খাতের রফতানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে রফতানিমুখী ৪৩টি খাতে প্রণোদনা কমানোর  বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনাকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তহিসেবে উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। শিল্প মালিকরা এ সিদ্ধান্তের মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত।
 
এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সময় সংবাদকে বলেছিলেন, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় কোনো স্টেকহোল্ডারকে ডাকা হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন তিনি কিছু জানেন না। কেউ এ বিষয়ে জানে না। কেন এই ধরনের সার্কুলার হঠাৎ করে দেয়া হলো? এ সিদ্ধান্তের পেছনে কারা?
 
এ সিদ্ধান্তের পেছনে কাদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে - এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছিলেন, ‘এটিকে কি পরোক্ষভাবে অন্য কোনো দেশের বাজারে পরিণত করতে ইচ্ছে করে করা হয়েছে। ওরা বলছে, প্রণোদনার এক শতাংশ কমে গেছে। এখানে এক শতাংশ না, আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পে পুরোপুরিভাবেই প্রণোদনা বন্ধ করে ফেলা হয়েছে।’
 
তৈরি পোশাক খাতের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রণোদনার বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

ঠিকানা/এসআর


কমেন্ট বক্স