সনদ জালিয়াতির মামলায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
১৪ মে (মঙ্গলবার) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল শেহেলা পারভীনকে আটক করা হয়। দুদিনের রিমান্ড শেষে ২৩ এপ্রিল আদালতে তোলা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিমান্ড আবেদন ও রিমান্ডে শেষে আদালতে পাঠানো তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারিগরি বোর্ডের সনদ জালিয়াতির মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি এরইমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শামসুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেছেন, তাকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা শেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন।
এই মামলায় কারাগারে আরও বন্দি আছেন- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমান।
এর আগে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এ সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেয়া হাজার হাজার অরিজিন্যাল সার্টিফিকেট, মার্কশিটের ব্ল্যাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রীকে গ্রেফতারের পর সনদ বাণিজ্য ও জালিয়াতির ঘটনায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়।