Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
অর্থবন্যায় বাংলাদেশ 🔹 জেলায় জেলায় সেনাশাসক

বঙ্গবন্ধুর বিজয় বনাম হাসিনার পদত্যাগ-প্রতারণা

বঙ্গবন্ধুর বিজয় বনাম হাসিনার পদত্যাগ-প্রতারণা



 
বাংলাদেশে বৈদেশিক অর্থের প্লাবন ছুটেছে যেন। ডোনাল্ড লু-এর নেতৃত্বের মার্কিন প্রতিনিধিদল শুধু নয়। অর্থনীতিতে প্রশান্তির লু হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র, আইএমএফ, বিশ^ব্যাংক, এডিবি. জার্মানি। প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত হয়েছে। গত ১৫ দিনে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার। বন্যা-পুনর্বাসন খাতে এনজিওরা দিচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রাপ্ত সাড়ে ১৩ কোটির ১১ কোটিই তহবিলে। পাচার হওয়া ৯৩ লাখ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে নেমেছে সরকার। চীন-রাশিয়া-ভারত জোটের বাইরে বাংলাদেশ গড়ছে অর্থনীতির ভিত্তি। সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার উত্তোলনযোগ্য গ্যাসও মিলেছে সম্প্রতি।
রাষ্ট্রকে ‘মগের মুল্লুক’ বানানোর ষড়যন্ত্র বিষয়েও সরকার উদ্বিগ্ন। দখল, মব-জাস্টিস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিয়েছে বিকল্প উদ্যোগ। জেলায় জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেনা অফিসার। দুই মাসের মেয়াদে দেয়া হয়েছে ‘ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’। ‘চট করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া’র ঘোষণা- শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি থাকার কথাও জানিয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে বিশেষ মিশন। হাসিনাবাদী নেতা, রাজনীতিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবীদের গ্রেফতার বেড়েছে। অধিকাংশের বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য হত্যা-মামলার খড়্গ। প্রবাসের শৃঙ্খলা বিরোধীদের বিষয়েও চলছে গোপন তৎপরতা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পদত্যাগপত্র নিয়ে চলছে নাটক। ভাইরাল হওয়া পদত্যাগপত্র নিয়ে চলছে বিতর্ক। এ বিষয়ে ‘পদত্যাগ-প্রতারণা’ বিষয়ক মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঠিকানা প্রতিনিধির হাতে এসেছে পদত্যাগের নতুন রেকর্ড। আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের পোস্টে মিলেছে সত্যতা। অন্যদিকে ইতিহাসের আলোকে সম্মান জানানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে। সংবিধানের আলোকে ‘জাতির পিতা’রূপে সম্ভাষিত হচ্ছেন মহামুজিব। জাতিসংঘের ৭৯ তম অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন ড. ইউনুস। ২২-এর বদলে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত সংবর্ধনা বাতিল করেছেন। বলেছেন, আগে রাষ্ট্রসংস্কার, গণতন্ত্র উদ্ধার, অতঃপর সংবর্ধনা-উপহার।
বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের মিউজিয়ামকে শহীদ চত্বর করার প্রস্তাব : গো-আজম পুত্রের পরে মাওলানা মান্নান-পুত্রের নতুন দাবি : ভারত থেকে ফোনালাপ সারছেন শেখ হাসিনা।গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে তিনি দিল্লির নিকটস্থ গজিয়াবাদে পালিয়ে যান। নেতা-কর্মীদের না জানিয়ে আকস্মিক পলায়নে ভক্তরা স্তম্ভিত। বিপদাপন্ন নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই দিশেহারা। রাজধানী, জেলা-উপজেলার নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা। করাগারে ঢুকেছে একাংশ, অধিকাংশই আত্মগোপনে। বৃহত্তর সিলেটের কিছু নেতা ভারতের মেঘালয়ে। অন্যান্য সীমান্ত দিয়েও অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। পলায়নকালে বিচারপতি মানিক, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত আটক। বিপুল অর্থসহ শিলং পাহাড়ে প্রয়াত ই. আ. খা. পান্না। দেশে আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিকান্ড। 
মহামুজিবের ৩২ নম্বরের বাড়িটিও এখন ‘পোড়াবাড়ি’। ৬ বিঘার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনকে ‘শহীদ চত্বর’ ঘোষণার দাবি উঠেছে। ‘দৈনিক ইনকিলাব’ সম্পাদক এম এম বাহাউদ্দিন দাবিটি তুলেছেন। তিনি বলেছেন- শহীদ জিয়ার বাড়িটিতে কী হয়েছে। সেনানিবাসের ময়নুল রোডে বেগম জিয়ার আবাসন ছিলো। সেটি থেকে এক ঘন্টার নোটিশে খালি করা হয়েছে। জননেত্রী খালেদা জিয়ার চোখের কান্না জাতি ভোলেনি। শহীদ মিনারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাহাউদ্দিন বলেন- এখনই সময়। ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানে প্রায় এক হাজার শহীদ। তাদের শোকাহত পরিবারের জন্যে এক হাজার অ্যাপার্টমেন্ট চাই। জিয়া- খালেদা জিয়ার বাড়ি ভেঙে অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট হয়েছে। পিলখানা হত্যাকান্ডের শহীদ-পরিবার সেখানে বাসা পেয়েছে। এখন মুজিব মিউজিয়ামের ৬ বিঘাতেও হাজার অ্যাপার্টমেন্ট হোক। ‘শহীদ চত্বর’ নাম দিয়ে হস্তান্তর করা হোক হাজার শোকার্ত পরিবারকে। 
উল্লেখ্য, মি. বাহাউদ্দিন মরহুম মাওলানা মান্নানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ও এমপি ছিলেন মাওলানা মান্নান। মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন ‘জমিয়তুল মোদার্রেসীনের’ কর্ণধার ছিলেন। ১৯৮৬-এ প্রতিষ্ঠিত ‘দৈনিক ইনকিলাব’-এরও প্রতিষ্ঠাতা। যুদ্ধবর্ষ ১৯৭১-এ রাজাকার হিসেবে বিতর্কিত ছিলেন। 
জামায়াত-এর সাবেক আমীর ছিলেন অধ্যাপক গোলম আজম। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত। তার পুত্র ব্রিগেডিয়ার (অব.) আজমী ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন। গত ৬ আগস্ট ১১ বছর পর মুক্তি পান। আওয়ামী সরকারের বন্দিশালা থেকে মুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টাতে হবে। ভারতের নাগরিক রবীন্দ্রনাথ কেনো স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীর সঙ্গীত লিখবে? 
উল্লেখ্য, রাজাকার মাওলানা মান্নানের সন্তানও এবার মুখ খুললেন। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বললেন- মুজিব মিউজিয়াম চলবে না। সেটি ভেঙে নতুন স্বাধীনতার ‘শহীদ চত্বর’ বানাতে হবে। 
বঙ্গবন্ধুর বিজয় : নানকের পোস্টেও হাসিনার পদত্যাগ : আগস্টের পদত্যাগ বিষয়ে দু’রকমের বক্তব্য শেখ হাসিনার। ফোনালাপে দু’জনের সঙ্গে দু’ধরণের তথ্য দিয়েছেন। প্রথমে বলেছেন পদত্যাগ করেছি, তবে রেকর্ড নেই। গণভবনে রেকর্ডের কপি ছিলো, যা লুট হয়েছে। জনগণ গণভবনের সমুদয় সম্পদ লুটে নিয়ে গেছে। আশা করি কেউ আর পদত্যাগপত্রটি দেখাতে পারবে না। 
আরেকটি ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, পদত্যাগ করিনি। সংবিধানে ‘৫৭ ধারা বলে’ পদত্যাগ করা হয়নি। বঙ্গভবনে একটি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছি মাত্র। সেই ছবিটাকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর বলা হচ্ছে। এটাতো ঠিক না, আমি পদত্যাগ করিনি। রক্তপাত এড়াতে আমি দেশ থেকে সরে এসেছি। সংবিধানমতে আমি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে নয়, বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থান করছি। সুযোগমতো চট করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বো। 
দেশের সরকারি নথিপত্রে- প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। গত ৫ আগস্ট বিকেল পোনে চারটায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান। ঘোষণা দেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ছিলো পলায়ন সংবাদ। অতঃপর গোটা বিশ^ জানে পদত্যাগ ও পলায়নের খবর। পরদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
তিনি বক্তব্যের শুরুতে পদত্যাগের কথা বলেন। গত ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য সদস্যও শপথ নেন। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ উদ্ধৃত হয়। 
গত ৮ আগস্ট বিশ^ব্যাপী প্রচার পায় ‘শেখ হাসিনার শেষ খোলা চিঠি’। ৫ আগস্ট বিদায়কালে তিনি এটি পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্ত ‘গণভবন’ ঘেরাও হওয়ায় পাঠের সময় ছিলো না। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে পেছন দরোজা দিয়ে পালিয়ে বাঁচেন। ৭ আগস্ট তিনি গাজিয়াবাদ থেকে নয়াদিল্লিতে থিতু হন। সেখানেই ‘শেষ খোলাচিঠি’টি চূড়ান্ত করা হয়। তাতে বাংলাদেশের দু’জন সাংবাদিকের সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়। ইত্তেফাক-চ্যূত দৈনিক বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক ফরাজী আজমল। দিল্লি হাইকমিশনের সদ্যবিদায়ী প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ। খোলাচিঠির প্রথম পংক্তিটি হলো- ‘আমি পদত্যাগ করেছি’। 
পরবর্তী পংক্তি- ‘শুধুমাত্র লাশের মিছিল যেন আর না দেখতে হয়, তোমাদের (ছাত্রদের) লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলো ওরা, আমি তা হতে দিই নি, ক্ষমতা দিয়ে এসেছি।’ 
বিশে^র বিভিন্ন মিডিয়ায় ২৭ পংক্তির বিবৃতিটি প্রচারিত হয়। আ.লীগের নেতারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও পোস্টটি দিয়েছিলেন। তিনি হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে ট্যাগও করেন। সাবেক এই মন্ত্রী বর্তমানে আ.লীগের মুখপাত্ররূপে অনলাইনে ভূমিকা রাখছেন। ফেসবুকে এখনও চিঠিটি দৃশ্যমান। 
গত ১৪ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয় দেন নতুন তথ্য। আমেরিকা থেকে অনলাইনে সাক্ষাৎকার দেন মিডিয়ায়। বলেন, আমার মা কোন বিবৃতি বা বক্তব্য দেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগও করেননি। কেউ ওনার স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র দেখাতে পারবে না। 
বিষয়টি নিয়ে এতোদিন তেমন আলোচনা ছিলো না। সচেতন মহলের মতে, ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে। লক্ষ্মণ সেনের স্টাইলে নৌকার বদল প্লেনে পালিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার ও সংসদ বাতিল ঘোষণা করেছেন। এখন সামান্য একটি পদত্যাগপত্র থাকা-না থাকা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বিষয়টি আলোচনায় আসে শেখ হাসিনার ফোনালাপের পর। তিনি ‘এখনও বৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলে দাবি করছেন। এতে দেশ-প্রবাসের হাসিনা-বাদীরা কিছুটা প্রাণিত হয়েছেন। অন্যদিকে বিরক্ত হয়ে উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রশক্তি, অন্যান্যরাও। ফলাফলে আওয়ামীপন্থী নেতাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া এখন তুঙ্গে। ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে চলছে কারাবন্দিকরণের কার্যক্রম। পাশাপাশি প্রকাশ করা হয়েছে পদত্যাগের নমুনা কপি। 
আ.লীগ শিবিরে অবশ্য সুসংবাদও রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পতনের পর মহামুজিবের ৩০০ ম্যুরাল ভাঙা হয়। ধানমন্ডি ৩২-এর ‘বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম’ পোড়ানো হয়। ১৫ আগস্ট শোকের বদলে চলে উদ্দাম নৃত্য-গান উৎসব। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিষয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ড. ইউনূস সরকার। ‘জাতির পিতা’ হিসেবে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বহাল রাখা হচ্ছে। হাজার বিপ্লবীর মৃত্যুর দায়ে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিলো। আদালতে রিট পিটিশনও দায়ের হয়। কিন্তু সরকার পক্ষের এটর্নির প্রতিবাদে বাতিল হয় রিট। ফলে দল হিসেবে চলমান রয়েছে আ.লীগ। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও দলটি নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে।  
সর্বশেষ জেলায় জেলায় নিয়োগ করা হয়েছে সামরিক কর্মকর্তা। বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ৬০ দিনের জন্যে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে বলে সরকারের বিশ্বাস। দখল, চাঁদাবাজি, মব-জাস্টিস বা দলবদ্ধ আক্রমণ চলছিলো। সেনা শাসকেরা তা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে পড়েছেন। পলাতক আওয়ামী নেতারা এতে স্বস্তি বোধ করছেন। মামলায় নাম ঢুকিয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার জন্যে মাঠ প্রশাসনে এখন আর্মিও। এমন আশ্বাসবাণী দিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
ইতোপূর্বে ঠিকানায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বেরোয়। জানানো হয়, মাঠ পর্যায়ে আ.লীগের দখল অব্যাহত। জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র বিদায় নিয়েছে সত্য। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মূলত আওয়ামী ক্যাডারদের হাতেই। ফলে স্থানীয় জনপদে নিরপেক্ষতা দেখা যাচ্ছিলো না। সেনা কর্মকর্তারা নতুন আশার আলো ছড়াবেন বলে প্রত্যাশা। 


 

কমেন্ট বক্স