Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
আমরা এখন পরিবর্তনের পথে রয়েছি 

শান্তির জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা 

শান্তির জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা  “শান্তির জন্য নেতৃত্ব : একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের সন্ধানে, জাতিসংঘ সনদের প্রতি ঐক্য” শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি-বিএসএস।



 
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণে জোরালো অংশগ্রহণসহ শান্তির জন্য জাতিসংঘের সম্মিলিত উদ্যোগে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব: একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের সন্ধানে, জাতিসংঘ সনদের প্রতি ঐক্য” শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে তিনি তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি তার আলোচনায় তুলে ধরেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কথা এবং তাদের নিয়ে বাংলাদেশ যে সংকট মোকাবিলা করছে সেই কথা। তিনি বলেন, নৃশংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছে, যা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে। উপদেষ্টা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কাউন্সিলকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

তৌহিদ হোসেন বলেন, কাউন্সিল আর এই ইস্যুতে উদাসীন থাকতে পারে না, কারণ এতে বেসামরিক জনগণকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি মিয়ানমারের বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিং এবং সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানে আঞ্চলিক পক্ষ সমূহদের ব্যাপক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানিয়েছেন। 
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, আসুন আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুত্ববাদকে নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করি। জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত মূল্যবোধগুলো পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রীতিনীতিকে সম্মান করা কোনো পছন্দ নয় বরং একটি বাধ্যবাধকতা। 
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই বৈষম্য দূর করতে হবে, জবাবদিহিতা জোরদার করতে হবে এবং কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কঠোর জবাব নিশ্চিত করতে হবে। 

তিনি প্রচলিত ও উদীয়মান নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক ও কার্যকর করতে জরুরি সংস্কারের আহ্বান জানান। 
রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের আলোকে শান্তির জন্য নতুন নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জাতীয় অভিজ্ঞতাকে শান্তির জন্য নেতৃত্বের বৈশ্বিক আলোচনার সঙ্গে যুক্ত করেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচারি শাসনের অবসান ঘটাতে আমাদের জনগণ অসীম সাহস ও দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছে এবং আমরা এখন পরিবর্তনের পথে রয়েছি। 
এছাড়াও তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরেন। জটিল ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে ছোট দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠস্বর যেন হারিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের দায়িত্বের ওপরও জোর দেন।  

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স