Thikana News
১৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে আলোচনা

‘ইশরাক দোষী নয় ভূক্তভোগী’

‘ইশরাক দোষী নয় ভূক্তভোগী’ সংগৃহীত



 
সরকার শপথ পড়ায়নি, নিজে ঘোষণা দিয়েই একরকম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নগর ভবনে সভা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। এর জন্য তাকে দোষ দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। তিনি তো ভূক্তভোগী। তাকে শপথ পড়িয়ে দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য দোষটা দিতে হবে সরকারকে। এমন দাবি করলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ।

ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে তিনি আরো যোগ করলেন, ইশরাকের চাওয়াটা দলীয় কোনো বিষয় নয়। তিনি আদালতের রায় পেয়েছেন। সেই হিসেবে মেয়র হওয়ার বিষয়টি তার অধিকার। সরকারই একগুঁয়ে অবস্থান নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্তমান জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে- এমন মন্তব্য করেন ড. সাইমুম পারভেজ।

১৭ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) হয়েছে এই টকশো। যা সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যনেলে। এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দেশের সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের নানা প্রশ্নের জবাব দেন দুই অতিথি।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কখনো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি করছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আবার কখনো এই সরকারকে সময় দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন। অবস্থান পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে নুরুল হক নুর বলেন, একটি রাজনৈতিক দল অবশ্যই দেশের জন্য কাজ করে। তবে দলের প্রয়োজন বুঝেও অবস্থান নিতে হয়। নিজেদের দলের স্বার্থ বুঝেও কথা বলতে হয়।

‘আমাদের দল থেকে শুরুতে একটা জাতীয় সরকার চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। তখন নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছি। বিএনপির সঙ্গে আমরা যুগপৎ হিসেবে ডিসেম্বরে নির্বাচনও চেয়েছি। লন্ডন বৈঠকের পর অনিশ্চিত পরিস্থিতি দূর হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাও দূর হয়েছে।’- এমন মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি আরো বলেন, ‘সবাইকে সবসময় তুষ্ট করা আমার রাজনৈতিক কৌশল না। এখন আওয়ামী লীগ নেই। বিএনপি ও জামায়াত যার যার রাজনীতি করছে। যার যার মতো দল গুছাতে চাইছে। গণঅধিকার পরিষদও নিজের মতো করে কাজ করছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক একটি মহল এই সরকারকে লম্বা সময় ক্ষমতায় দেখতে চায়। তারা বর্তমান সরকারকে পাঁচ বছর চায়, এমন প্রচারণাও চালায়। এতে নির্বাচন কবে হবে- এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটা দ্বিধা তৈরি হয়েছিল, বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ। তিনি আরো বলেন, লন্ডন বৈঠকে যে ঘোষণা এসেছে, এমন সমঝোতা দরকার ছিল। এতে নির্বাচন যে হবে সঠিক সময়ে, বিএনপির মধ্যে সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পেরেছে সরকার।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না সেটা একরকম নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে কার্যকর সংসদ কীভাবে হতে পারে- এ প্রসঙ্গে ড. সাইমুম পারভেজ বলেন, কার্যকর কোনো বিরোধীদল ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় যদি বিরোধীদল তৈরি হয়, সেটা হবে গৃহপালিত বিরোধীদল। ছাত্রনেতাদের দল এনসিপির মধ্যে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তারা বিএনপির মতোই মধ্যপন্থী একটা দল হতে পারতো। এনসিপির সেই সম্ভাবনার জায়গাটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন এই রাজনীতি বিশ্লেষক।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স